২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক

- ছবি : সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতি বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর নতুন আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে। পরাশক্তিগুলো ভূরাজনৈতিক স্বার্থে আধিপত্য বিস্তার ও স্বার্থ রক্ষায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সাথে কৌশলগত পারস্পরিক সম্পর্ক সৃষ্টিতে প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত ও চীন দক্ষিণ এশিয়ায় ভূরাজনীতি নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য ধরে রাখার জন্য নানা ছক ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে। অন্য দিকে সুপার পাওয়ার আমেরিকা তাদের বর্তমান প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উত্থান ও সামরিক আধিপত্য ঠেকাতে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক ও কোয়াড গঠনে মনোনিবেশ করেছে। আমেরিকা চীনের আধিপত্যকে ঠেকাতে এক দিকে দক্ষিণ চীন সাগরকে কেন্দ্র করে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ এশিয়াকে সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছে। অতিমারীকালে আমরা দেখেছি পরাশক্তিগুলোর ভ্যাকসিন কূটনীতি। আমেরিকা, ভারত ও চীন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে অনুদান হিসেবে লাখ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে।

ইতোমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে প্রধান খেলোয়াড় হিসেবে চীন আত্মপ্রকাশ করেছে। চীন যদিও ভারতের মতো দক্ষিণ এশিয়ার দেশ নয়। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে চীনের আগ্রহ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় চীন ভারতের আধিপত্যের লাগাম টানতে চায়। এ জন্য চীন কয়েক বছর ধরেই জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশগুলোতে চীন অর্থনৈতিক সহায়তা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশগুলোর উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অংশীদার হচ্ছে। অর্থনৈতিক শক্তিকে ব্যবহার করে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান প্রায় সব দেশের সাথেই বেশ উষ্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে চীন। একই সাথে কোভিড সঙ্কট মোকাবেলায় দক্ষিণ এশিয়ায় মিয়ানমার, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার সাথে একটি জরুরিভিত্তিক ভ্যাকসিন প্ল্যাটফর্ম নিয়েও জোরেশোরে কাজ করেছে। তা ছাড়া এসব দেশে অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের প্রচুর বিনিয়োগ ও বিভিন্ন প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ভারতের করোনা পরিস্থিতির নাজুক অবস্থার কারণে কোনো দেশকেই ভারত ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে ভ্যাকসিন কূটনীতি ও অর্থনৈতিক কূটনীতিতে ভারত চীন থেকে এখন অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। সুতরাং দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নিজেদের প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠায় চীন ও ভারত দ্বৈরথ এখন বিশ্বরাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের জন্ম দিচ্ছে। এ কারণে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতি ক্রমে অরো বেশি জটিল হয়ে উঠছে।

ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ২০০৪ সালে ভূমিকম্প ও সুনামির পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত কমিটি সর্বপ্রথম কোয়াডের ধারণা চলে আসে। ২০০৭ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে আনুষ্ঠানিকভাবে কোয়াডের প্রস্তাব উত্থাপন করলেও বিগত প্রায় এক দশক ধরে এ সংলাপ অকার্যকর ছিল। ২০১৩ সালে শি জিনপিং চীনের ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়ে বেল্ট রোড ইনিশিয়েটিভ নামে অর্থনৈতিক যে মহাকর্মযজ্ঞ হাতে নেন, অনেকটা তার জবাব হিসেবেই ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া অঞ্চলে তার তিন মিত্র রাষ্ট্র নিয়ে নতুন করে কোয়াড আলোচনা শুরু করে। চীন-ভারত দ্বন্ধ্বের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে কোয়াড জোট। কোয়াড্রিলেটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ; যা সংক্ষেপে কোয়াড নামে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত সমন্বিত কোয়াডের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরো কার্যকর করে তুলতে এ অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, নিরাপত্তা, অবাধ বাণিজ্য ও নৌ চলাচলসহ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে নানামুখী সহযোগিতার ক্ষেত্র গড়ে তোলা হলেও চীন এটিকে নিজের বিরুদ্ধে হুমকি হিসেবেই দেখছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে, কোয়াড নিয়ে চীনের উদ্বেগের কারণ সাম্প্রতিক সময়ে ‘কোয়াড’কে বিস্তৃত করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা। চীনের আশঙ্কা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের মাধ্যমে বাংলাদেশকে কোয়াডে যোগ দেয়ার জন্য চাপ দিতে পারে। বাংলাদেশ সেই চাপে কোয়াডে যোগ দিলে সেটি চীনের জন্য বড় ধরনের মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। এরই মধ্যে চীনা রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে উদ্বেগ দেখা গেছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।

ভারতের উত্তর-পূর্বে আসাম, মনিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, অরুণাচল ও নাগাল্যান্ড- এ সাতটি রাজ্যকে সেভেন সিস্টার্স বলা হয়। এ সাতটি রাজ্য চতুর্দিক অপর রাষ্ট্রের স্থলভাগ দিয়ে বেষ্টিত হওয়ায় চিকেন নেক করিডোর নামক দৈর্ঘ্যে ৬০ কিলোমিটার ও প্রস্থে ২১ থেকে ৪০ কিলোমিটার একটি সরু পথ দিয়ে ভারতের মূল ভূখণ্ডের সাথে এসব রাজ্য যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। এ পথ দিয়ে যোগাযোগ সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। চিকেন নেক করিডোরটি শিলিগুড়ি করিডোর নামেও অবিহিত। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর দিকে অবস্থিত। করিডোরটির এক প্রান্তে বাংলাদেশ এবং অপর প্রান্তে নেপাল ও ভুটান এবং ভারতের সিকিম। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে এ সাতটি রাজ্যের সাথে সড়ক, রেল ও নৌপথে ট্রানজিট স্থাপনে আগ্রহী ভারত। ট্রানজিটের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর এবং সড়ক, রেল ও নৌপথ ব্যবহারে বাংলাদেশের অবকাঠামো ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ের চেয়ে ভারতের পক্ষ থেকে ব্যবহৃত ট্রানজিটের বিদ্যমান মাশুল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ বিবেচনায় অপ্রতুল।

চীন ও ভারতের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা সবসময়ই মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ফলে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের আশা কার্যত সুদূরপরাহত হয়েছে। অধিকন্তু কৌশলগত স্বার্থে মিয়ানমারকে পাশে পাওয়ার জন্য চীন ও ভারত উঠে পড়ে লেগেছে। গত বছর মিয়ানমারকে একটি মিং ক্লাস সাবমেরিন উপহার দেয় চীন। অথচ একই মানের দু’টি সাবমেরিন বাংলাদেশকে চীন থেকে কিনতে হয়েছে ২১৩ মিলিয়ন ডলার অর্থ খরচ করে। অন্য দিকে সাম্প্রতিক সময়ে ভারত মিয়ানমার নৌবাহিনীকে রাশিয়ার তৈরি একটি পুরনো কিলো-ক্লাস সাবমেরিন দিয়েছে। এ উপলক্ষে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব ১৫ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও প্রবৃদ্ধির জন্য ভারতের ‘সাগর’ ভিশনের সাথে এ সাবমেরিন হস্তান্তর সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রতিবেশী দেশগুলোর সক্ষমতা ও আত্মনির্ভরশীলতার জন্য ভারতের যে প্রতিশ্রুতি তা সহায়ক।” এ সামরিক সরঞ্জাম হস্তান্তরের মাধ্যমে মিয়ানমারকে তোয়াজ করছে ভারত। ভারতের মিডিয়া বলছে, মিয়ানমারকে সাবমেরিন দেয়া হয়েছে চীনকে ঠেকানোর জন্য। দ্বন্ধে

বাংলাদেশের সামরিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই সাবমেরিন হস্তান্তরের ফলে চীন-মিয়ানমার ও ভারত-মিয়ানমার কৌশলগত সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। কিন্তু এর প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে। এখন পর্যন্ত চীন ও ভারতের মধ্যে একটা ‘ব্যালান্সিং গেম’ বা ভারসাম্য নীতি বজায় রেখেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এ ভারসাম্য রাখাটা কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ ভারসাম্য রাখতে ব্যর্থতা যেকোনো একটি দেশের সাথে শত্রæতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির সফলতা নির্ভর করবে কতটা দক্ষতার সাথে বাংলাদেশ এ ভারসাম্যের ‘দড়িতে’ হাঁটতে পারে। চীনের কাছাকাছি অবস্থান হওয়ায় স্বাধীন ও যুগোপযোগী পররাষ্ট্রনীতি বাংলাদেশকে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারে। বঙ্গোপসাগরকে সঠিকভাবে ব্যবহার করে বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক করিডোরের একটি ‘হাবে’ বা কেন্দ্রে পরিণত হয়ে দক্ষিণ এশিয়া থেকে শুরু করে মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও চীনের মধ্যে যোগাযোগে অবদান রাখতে পারে। বাংলাদেশে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের বেশির ভাগই হচ্ছে চীনা অর্থায়নে। স্বাভাবিকভাবে তা চীনের ওপর নির্ভরতা বাড়াচ্ছে। শ্রীলঙ্কার মতো চীনা ঋণের ফাঁদে যেন বাংলাদেশ না পড়ে সে বিষয়ে সতর্ক ও কৌশলী হতে হবে। এশীয় অঞ্চলে নিজেদের স্বার্থ আদায়ে যুক্তরাষ্ট্র অনেকটাই ভারতনির্ভর। ভারত কোয়াড জোটেরও শরিক। তা বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকির। আবার ভূকৌশলগত সুবিধাও এনে দিয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন অভিযোগ রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে কথা বলবে। এতেই চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। যার সাথে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এবং এ অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক হিসাব-নিকাশে রয়েছে নানা উপাদান। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে বলতে হচ্ছেÑ সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রæতা নয়। রোহিঙ্গাদের নিয়ে চলা আঞ্চলিক, উপ-আঞ্চলিক পরিস্থিতিও বাংলাদেশকে সামলাতে হচ্ছে। ভূরাজনৈতিক কারণে চীনের কাছে মিয়ানমার অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। একইভাবে মিয়ানমারে চীনের প্রভাব কমানোসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মনিপুর, আসাম ও নাগাল্যান্ডে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী দমনে মিয়ানমারের সাথে ভারতের ঘনিষ্ঠতা হওয়া প্রয়োজন। এতে সমীকরণটি আরো জটিল হয়ে উঠছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি ঠিক রাখতে হলে চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া কঠিন। জোট হিসেবে আসিয়ান দুর্বল হয়ে পড়বে এবং ভারত-পাকিস্তান দ্বন্ধে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক জোট সার্ক বর্তমানে কার্যত অচল। সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়া ও ন্যাটো উভয়পক্ষের মুখোমুখি যুদ্ধ অবস্থা পরিস্থিতি এবং তাইওয়ান দখলে চীনের পরিকল্পনা ইত্যাদি ইস্যুতে সারা বিশ্বে অস্ত্র প্রতিযোগিতার বেড়ে যাবে, ফলে সামরিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। তাতে দারিদ্র্য বিমোচন ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত প্রতিরোধ কর্মসূচি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট হবে। পরিশেষে এ কথা বলতে পারি যে, ভূরাজনীতি ও পররাষ্ট্রনীতিতে সফল হওয়ার জন্য সব দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টির পাশাপাশি সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের সতর্কভাবে পথ চলতে হবে। কেননা ভারসাম্যপূর্ণ নিরপেক্ষতা নীতি বাংলাদেশের ভূরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্য ভূমিকা পালন করবে। অধিকন্তু প্রতিবেশী দেশের সাথে সুসম্পর্ক বাংলাদেশের ভূরাজনীতি অবস্থানকে সুদৃঢ় করবে। এখানে উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে চীন ও ভারতের সাথে ব্যালেন্সিং সম্পর্কের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ঊষ্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে মনোযোগী হতে হবে। আর তা হলেই ভবিষ্যতে যেকোনো সঙ্কট মোকাবেলায় আমরা সফল হতে পারব এবং জটিল ভূরাজনীতির কবল থেকে দেশ মুক্ত থাকবে। এ ছাড়া যেকোনো সঙ্কট ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশকে চাপমুক্ত রাখতে কৌশলগত ভূরাজনীতি অপরিহার্য। সর্বোপরি বৈরিতা নয়, বরং সব দেশের সাথেই বন্ধুত্ব সম্পর্কই দেশের ভূরাজনীতির ক্ষেত্রে সফলতা অর্জিত হবে।
লেখক : সাবেক উপমহাপরিচালক
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী


আরো সংবাদ



premium cement
রাজধানীতে সংঘর্ষে ২ যুবক নিহত জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা তুলে ধরবেন ড. ইউনূস কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু তোফাজ্জল হত্যা : ঢাবির ৬ শিক্ষার্থীর দায় স্বীকার কুমিল্লা-১০ বিনির্মাণে আমাদেরকে কাজ করতে হবে : ইয়াছিন আরাফাত উন্নয়নের নামে দুর্নীতির মহোৎসবে মেতেছিল আ’লীগ : হামিদ আজাদ ভাইকে হত্যা করাতে ১৪ মাসের ষড়যন্ত্র ভান্ডালজুড়ি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে ঢাবি ও জাবিতে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে খুলনায় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সাংবাদিক রনো ও তার পরিবার চট্টগ্রাম পানগাঁও নৌরুট জনপ্রিয় করার উদ্যোগ

সকল