বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের সহায়তা প্রয়োজন
- অধ্যাপক এ বি এম ফজলুল করীম
- ২৯ জুন ২০২১, ২০:০৩
২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাধ্যমিক স্কুল, কিন্ডারগার্টেন, মাদরাসা-মক্তব, ফোরকানিয়া এবং ইবতেদায়ি মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করোনার কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণের ভয়ে এর আগে হোম কোয়ারেন্টিন, লকডাউন প্রভৃতির মতো ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছিল। বাংলাদেশে আবারো ২০২১ সালের ৫ মার্চ থেকে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত সরকারিভাবে লকডাউন চলছে। ২০২০ সালে মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় করা পর্যন্ত বন্ধ করে ঘরে নামাজ পড়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল এবং বিগত পবিত্র রমজান মাসে তারাবিহ নামাজও বাসায় পড়তে হয়েছে। পরবর্তী সময়ে মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় করা শুরু হয়েছে।
করোনা মহামারীতে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থার। এর ফলে আমাদের শিশু, কিশোর ও যুবকদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ধ্বংস হওয়ার পথে। সরকার ১২ জুলাই ২০২০ সাল থেকে হেফজখানা এবং পরে কওমি মাদরাসা খুলে দিলেও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেয়নি। হেফজখানা ও কওমি মাদরাসা খোলার কারণে ওই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা উপকৃত হয়েছে। তা ছাড়া হেফজখানা ও কওমি মাদরাসা খোলার কারণে তাদের করোনায় বড় ধরনের কোনো ক্ষতির সংবাদও আমরা পাইনি।
দীর্ঘ ১৩ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নন-এমপিওভুক্ত, বেসরকারি সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটে। এমন কি অনেক এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও এ সঙ্কটের বাইরে নয়। তা ছাড়া দেশে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নার্সিং কলেজ, ফিজিওথেরাপি কলেজ, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রভৃতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইবতেদায়ি ও ফোরকানিয়া মাদরাসা, মক্তব ও কওমি মাদরাসার ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারী এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে এবং অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
সরকারি ঘোষণার মাধ্যমে ২০২০ সালে ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়াও বন্ধ হয়ে গেছে। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আবার মেডিক্যাল কলেজ, সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফিজিওথেরাপিসহ অন্যান্য বৃত্তিমূলক প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ শ্রেণীর পরীক্ষা দিয়ে হাজার হাজার ছেলেমেয়ে চাকরি, ব্যবসায়-বাণিজ্য বা কিছু করার কথা থাকলেও তারা এখনো কিছ্ইু করতে পারছে না। বিশেষ করে চাকরি সংক্রান্ত প্রায় সব পরীক্ষা বন্ধ থাকায় তারা চাকরি থেকে বঞ্চিত। ফলে তাদের ক্যারিয়ারে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। দেশে ব্যাপকভাবে বেকারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার বিস্তার বন্ধের পাশাপাশি, ছাত্রছাত্রীদের বেতন আদায় বন্ধ রয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য খরচ ছাত্রছাত্রীদের বেতন থেকে বহন করে থাকে। এ দিকে অনেক ক্ষেত্রে বাড়িভাড়াও ১০-১২ মাস যাবত পরিশোধ করতে পারছে না।
এমপিওভুক্ত যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে, এ ক্ষেত্রে তাদের ততটা সমস্যা না হলেও এমপিও বহির্ভূত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালকরা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। আবার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত হাজার হাজার এমন ছাত্রছাত্রী আছে, যারা টিউশনি করে নিজেদের লেখাপড়ার খরচ চালায়। করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যেসব শিক্ষার্থী টিউশনি করত, তাদের টিউশনিও প্রায় বন্ধ। ফলে তারা ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখছে এবং আর্থিক কষ্টে দিনাতিপাত করতে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা বাধ্য হচ্ছেন।
শিশু শ্রেণী থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সব পর্যায়ের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা দিন কাটাচ্ছেন চরম উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায়। পিইসি ও জেএসসির পরীক্ষা ২০২০ সালে সরকার বাতিল করেছে এবং অনার্স ও মাস্টার্স পরীক্ষা মানসম্মতভাবে নেয়া যাচ্ছে না। এমনটা চলতে থাকলে, শিক্ষাব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ধ্বংসের মুখে পড়বে। ২০২০ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে ষান্মাসিক ও বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। তাই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেয়া খুবই জরুরি।
করোনার প্রভাবে কলকারখানা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান, দেশ-বিদেশের জল-স্থল ও আকাশপথে আংশিক যোগাযোগ ব্যবস্থা দীর্ঘ দিন ধরে বিচ্ছিন্ন থাকার পর চালু হয়ে আবার ‘বিচ্ছিন্ন হয় আর চালু হয়’ এমনভাবে চলছে। বিশ্বে করোনা মহামারী ১৭ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। শিল্পকারখানা প্রায় বন্ধ থাকার ফলে বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ শ্রমিক কর্মচ্যুত এবং এর ফলে প্রবাসী শ্রমিকরা শূন্য হাতে বাংলাদেশ ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। গৃহকর্মী, দিনমজুর, গৃহশিক্ষক থেকে শুরু করে সামাজিক খাতের দৈনন্দিন কর্মীরা কর্মচ্যুত হওয়ার ফলে তাদের জীবনে দুর্যোগ নেমে এসেছে। বিশ্বের বড় বড় দেশগুলো করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেও আজ পর্যন্ত এর কোনো ওষুধ কোনো দেশ আবিষ্কার করতে পারেনি। হাজার কোটি টাকার মালিক বা অতিধনী ব্যক্তি ও হতদরিদ্র ব্যক্তির মতো চিকিৎসার অভাবে বিনাচিকিৎসায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। আবার অনেকে সর্বস্ব দিয়েও চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে টানাটানিতেও অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করছেন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমনকি বাংলাদেশেও কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়েছে এবং হচ্ছে; আবার বন্ধও হয়ে যাচ্ছে। অনলাইনে শিক্ষা নেয়ার মতো আর্থিক অবস্থাও সব ছাত্রছাত্রীর পরিবারের নেই। অর্থাভাবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনতে পারে না। আবার মোবাইল ডাটা কেনার মতো সামর্থ্যও অনেকের নেই। অনলাইন সুবিধা চালু হলেও বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রীই এই সুযোগ নিতে পারছে না। তারা মূলত সুশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আবার প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিদেশী ছাত্রছাত্রী এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীরা মোবাইলে শিক্ষা গ্রহণ করতে গিয়ে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে।
এ অবস্থার আলোকে বিষয়টি গভীরভাবে পর্যালোচনা করে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২০২১ সালের ২৪ মে থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া দরকার। শৈশব, কৈশোর ও যৌবনই হচ্ছে ভবিষ্যৎ জীবন গঠনের মূল সময়। এ সময়টি যদি মানুষ কাজে লাগাতে না পারে তাহলে তাদের জীবনই ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। বিশ্বের বহু দেশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে। এতে শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে, আবার অনেক দেশ ২০২১ সালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করছে। বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছাত্রছাত্রীরা তাদের বেতন পরিশোধ করছে না। ফলে শিক্ষক-কর্মচারীদের ১০-১২ মাসের বেতন বকেয়া পড়েছে এবং অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাড়িভাড়া দিতে পারছে না। ফলে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে এবং আরো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অসহায় শিক্ষকরা পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। করোনা মহামারী কখন শেষ হবে তা নির্দিষ্ট করা মুশকিল। তাই আমাদের দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সরকারি ঘোষণা বাস্তবায়ন করা উচিত বলে আমরা মনে করি। করোনার সাথে চলেই আমরা জীবনযাপন করতে অভ্যস্ত হতে পারব।
গত ২০২১ সালের ২৫ মার্চ করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জাতীয় পরার্মশক কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তের আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৩ মে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আমরা আশা করব, সরকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা অবশ্যই বাস্তবায়ন করবে।
ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিলে আমাদের যে লাভ হবে তা উপস্থাপন করা হলো- করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, আল্লাহর রহমতে দীর্ঘমেয়াদি করোনার সাথে শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীসহ জনগণ চলার চেষ্টা করার অভ্যাস গড়ে উঠতে পারবে ইনশা আল্লাহ। ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাজীবন আল্লøাহ চাহে তো ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। মেধাবী শিক্ষার্থী ধারাবাহিকভাবে তৈরি হবে। অসহায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন পাবে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। কারণ ছাত্রছাত্রীরা তাদের মাসিক বেতন দিতে পারবে। ব্যক্তি মালিকানার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ও বাড়ি ভাড়া দিতে পারবে এবং মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবে।
তা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ছাত্রছাত্রীরা মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে নকল প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এমনকি উঠতি বয়সী শিক্ষার্থীরা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। ফলে তাদের নৈতিক চরিত্র ধ্বংসের পথে।
দীর্ঘ ১৫ মাস যাবত দেশের প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। ফলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে সব শ্রেণীর শিক্ষার্থী অলস সময় কাটাচ্ছে। তারা নিয়মিত পড়াশোনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। ফলে শিক্ষার্থীরা অতিমাত্রায় স্মার্টফোন আসক্তিতে পড়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া সরকারের নৈতিক ও জরুরি দায়িত্ব বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করে।
এমতাবস্থায় সারা দেশে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি। এ ছাড়া নোটিশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সরকারের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ভাওয়াল মির্জাপুর পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল কাইয়ুমের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। এই নোটিশের পরও সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ছুটি বারবার বর্ধিত করে ৩০ জুলাই ২০২১ পর্যন্ত করা হয়েছে।
উক্ত লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা এ সময়ে বাইরে ঘোরাঘুরি করছে; টিভি দেখে সময় ব্যয় করেছে। এ ছাড়া মোবাইল ব্যবহার করে খারাপ অভ্যাস হয়ে যাচ্ছে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি খুবই যুক্তিযুক্ত ও সময়োচিত। যা সত্যিই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।
‘মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা’, সন্ত্রাসমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনের মতোই শিক্ষাঙ্গন মোবাইলমুক্ত করার দাবি সব অভিভাবক, শিক্ষিত ও আত্মসচেতন মানুষসহ সব মহলের। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীর সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য মাল্টিমিডিয়া মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ করে, ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ায় ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি উঠেছে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কুপ্রভাব এবং অতিমাত্রায় মোবাইল আসক্তি থেকে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে অবিলম্বে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার তাগিদ এসেছে। এমতাবস্থায় অবিলম্বে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া এখন সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি। অন্যথায় আমাদের ভবিষৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানো যাবে না।
নন-এমপিভুক্ত বেসরকারি সব স্তরের মাদরাসা, কলেজ, মাধ্যমিক স্কুল, কিন্ডারগার্টেনসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা যাতে নিয়মিত বেতনভাতা পেতে পারেন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মালিক ও পরিচালকরা বকেয়া বাড়িভাড়া দিতে পারেন সে জন্য দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা করা অতীব জরুরি। তাই আমরা আশা করি, সরকার আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করবে।
আসুন, আমরা দোয়া করি, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন আমাদের দেশসহ বিশ্বের সব দেশকে করোনা মহামারী থেকে মুক্ত রাখেন। আমিন।
লেখক : সাবেক সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জেনারেল সেক্রেটারি, বাআশিফ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা