০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১, ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

রিপোর্টিং

রিপোর্টিং - ছবি সংগৃহীত

১৯৭৩ সাল। সকাল-সন্ধ্যা ঢাকা সেন্ট্রাল পাবলিক লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করে সময় কাটাই আর খোঁজ নেই কোথাও একটি চাকরি পাওয়া যায় কি না। ‘অভাগা যেদিকে তাকায়, সাগর শুকায়’। মন চাইল, সাংবাদিকতা করব। ‘দৈনিক বাংলাদেশ অবজারভার’ পত্রিকার সম্পাদক ওবায়েদ-উল হকের সাথে দেখা করলাম। হলো না। বিটিভির সংবাদ পাঠক ও মর্নিং নিউজের সাব-এডিটর আবদুস সাত্তারের সাথে কী করে পরিচয় হয়েছিল, মনে নেই। অ্যাকাডেমিক্যালি তিনি আমার অনুজ। ১৯৭৩ সালের গোড়ার দিকে তার সাথে পরিচয় সূত্রেই দৈনিক মর্নিং নিউজে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করার একটা সুযোগ এলো। কিন্তু কোনো নিয়োগপত্র পেলাম না। কর্তৃপক্ষ বলল আগে কাজ করতে, পরে সময় মতো নিয়োগপত্র দেয়া হবে। তাদের কথা মতো কাজ শুরু করলাম।

সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে মর্নিং নিউজ অফিসে যাই। সেখানে কী কাজে, কোথায় যেতে হবে, জেনে সেখানে যাই। দুপুরে বাসায় এসে খাওয়ার পর খানিক বিশ্রাম নেই। ৪টার দিকে আবার পত্রিকা অফিসে গিয়ে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে টাইপ রাইটারের অক্ষরের ওপরে ডান হাতের তর্জনী চালিয়ে স্টোরি (সংবাদ প্রতিবেদন ইংরেজি পত্রিকা অফিসে স্টোরি বলে পরিচিত) লিখি। এভাবেই লিখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। বাসায় ফিরতে ফিরতে কোনো দিন রাত ১০টাও পার হয়ে যায়। পত্রিকার রিপোর্টিং একটি কঠিন কাজ। সংগৃহীত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে নোট করা রিপোর্টটি পূর্ণাঙ্গভাবে লিখে সাব-এডিটরের ডেস্কে জমা দেয়ার আগ পর্যন্ত সারাক্ষণ ব্রেইন এনগেজড রাখতে হয়। কেউ কেউ শর্টহ্যান্ড রাইটিংয়ে অভ্যস্ত; আমি তা নই। তাই পুরো বিষয়টাই আমাকে মগজে ধরে রাখতে হয়। আধুনিক প্রযুক্তির বদৌলতে বর্তমানে ব্যাপারটা হয়তো সহজ হয়েছে।

মর্নিং নিউজের সিটি এডিটর আমানুল্লাহর সাথে কথা প্রসঙ্গে, ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিকস করাচিতে স্টাফ ইকোনমিস্ট হিসেবে কাজ করেছি শুনে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘স্বদেশ বোসকে চেনেন’? বললাম, ‘চিনব না কেন? আপনি তাকে চেনেন কী করে’? তিনি বললেন, ‘আমরা একসাথে জেল খেটেছি, এক সেলে ছিলাম’। আর কিছু জানতে চাইলাম না। ড. বোস জেল খেটেছেন তা এই প্রথম শুনলাম। একই প্রশ্ন আশির দশক শেষে প্রথম সাক্ষাতে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীও আমাকে করেছিলেন। আমার ‘হ্যাঁ’ সূচক উত্তরের পর তিনি আর কিছু বলেননি। আমানুল্লাহ বললেন, তিনি শেরেবাংলার ঘনিষ্ঠ সহযোগী বরিশালের মরহুম বিডি হাবিবুল্লাহর ছেলে। বাংলা একাডেমির বটতলায় একবার শেরেবাংলার স্মরণসভায় হাবিবুল্লাহর বক্তৃতা শুনেছি। ‘শেরেবাংলা’ শিরোনামে লেখা তার বইটিও পড়েছি এবং আমার সংগ্রহে আছে।

মর্নিং নিউজের পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, বিমানবন্দর, হোটেল পূর্বাণী, মতিঝিলের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ভবন, এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সেক্রেটারিয়েট (সচিবালয়), এয়ারপোর্টসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় সংবাদ ও তথ্য সংগ্রহ করে স্টোরি করতে কোনো অসুবিধা হয় না। একবার খানিকটা বিপাকে পড়তে হয়েছিল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইউরোপের একটি শিপিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্টের ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে। তিনি আমার সাথে আলাপ করার আগে আইডেন্টিটি কার্ড চেয়ে বসলেন। যেহেতু নিয়োগপত্র পাইনি, তাই আমাকে মর্নিং নিউজের পক্ষ থেকে কোনো আইডেন্টিটি কার্ডও দেয়া হয়নি। আর এটা লাগে বলেও আমার জানা ছিল না। আমি তাদের বললাম- ‘I don’t have any Identity Card with me. If you like, you can talk to my Editor’. এই বলে তাদের রুমের টেলিফোন সেটের দিকে ধাবিত হলাম। আমার ব্যস্ততা দেখে প্রেসিডেন্ট বললেন, ‘O.k That’s not necessary. You better tell us what you want to know from us’.

টেলিফোনের রিসিভারটি আর তুললাম না। ফিরে এসে তাদের সামনে বসলাম। তাদের বাংলাদেশ ভ্রমণের উদ্দেশ্য ও তাদের শিপিং লাইন সম্পর্কে একটি স্টোরি করার মতো প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের জন্য তাদের সাথে কিছুক্ষণ আলাপ করলাম। আলাপ শেষে ফেরার পথে তারা আমাকে লিফটের দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে গেলেন। আমি অফিসে এসে আমানুল্লাহ সাহেবকে বললাম, ‘আমার সাথে একটি আইডেন্টিটি কার্ড থাকা দরকার। যেকোনো সময় দরকার হতে পারে’। তিনি আমাকে ম্যানেজারের সাথে দেখা করতে বললেন। ম্যানেজার বললেন, ‘শিগগিরই আপনাকে নিয়োগপত্র দেয়া হবে। তখন আইডেন্টিটি কার্ড পাবেন’। অপেক্ষায় রইলাম। এক রাতে অফিসে দেরি হয়ে গেল। আমানুল্লাহ সাহেব বললেন, ‘চলুন, অফিসের গাড়িতে আপনাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আমরা বাসায় যাবো’। রাত বাজে ১১টার উপর। ভাবলাম সেটাই ভালো।

একদিন অফিসে ঢুকে আমানুল্লাহ সাহেবকে এক অপরিচিত লোকের সাথে আলাপকালে বলতে শুনলাম, ‘মানুষ পাগল না হলে সিন্সিয়ার হয় না, আর সিন্সিয়ার না হলে পাগল হয় না’। কেন কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলছিলেন তা আমি জানি না। তিনি বেশ গম্ভীর ও সংযতভাবে কথা বলছিলেন। আমি এলে এ প্রসঙ্গ থেমে যায়। কথাটা ওভার হিয়ার করেছি বলে তাকে জিজ্ঞেসও করিনি। যে ক’দিন মর্নিং নিউজে কাজ করেছি এর প্রতিদিনই স্টোরি করেছি আর প্রতিটি ছোট-বড় স্টোরিই পরদিন প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হয়েছে। শুধু একটি স্টোরি ভেতরের পাতায় ছাপা হয়েছিল এবং সেটি জাতীয় ফুল শাপলার ওপর। এর আগে ছোট্ট একটি শাপলার ফটো প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হওয়ায় স্টোরিটি ভেতরের পৃষ্ঠায় চলে গেল।

পত্রিকা অফিসে বিভিন্ন দেশের লোক বেড়াতে আসেন। এক বিকেলে আমি মনোযোগ দিয়ে লিখছি। রিপোর্টার্স রুমে আর কেউ নেই। আমার টাইপরাইটারের শব্দই শুধু শোনা যাচ্ছে। এই সময়ে দু’জন সাদা চামড়ার লোক এসে আমার কাছাকাছি চেয়ার টেনে বসলেন। আমি স্টোরি নিয়ে ব্যস্ত। এটা তৈরি করে সময় মতো সাব-এডিটরদের টেবিলে না দিতে পারলে কাল ছাপা হবে না। আমার কোনো দিকে তাকানোর যো নেই। দু’জনে কিছুক্ষণ নিজেদের মধ্যেই আলাপ করলেন। একসময় একটি কথা কানে এলো, ‘perhaps clerk’. আমি তাদের সাথে আলাপ করতে এগিয়ে না আসায় সম্ভবত আমার সম্বন্ধে তারা এ ধারণা পোষণ করলেন। সেদিকে তাকালামই না। তারা উঠে চলে গেলেন। পশ্চিমের এই সস্তা লোকগুলো নিজেদের দেশে চোখ কান নাক মুখ গুঁজে কাজ করে; আর আমাদের মতো দেশে বেড়াতে এসে শুধু বড় বড় কথা আর লম্বা লম্বা আলাপ করতে অভ্যস্ত। আমাদের মতো দেশের লোকদের তারা নিজেদের ‘মানসিক বিনোদনে ব্যবহার’ করতে অভ্যস্ত। এদের দৌরাত্ম্য না কমলে মিডিয়া জগতে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো নিজ পায়ে দাঁড়াতে পারবে না বলে আমার বিশ্বাস।

আরেক দিন সকালের দিকে মধ্যবয়সী এক প্রাণবন্ত ভারতীয় মহিলা এলেন। সাদা প্রিন্টের শাড়ি পরা বাঙালি। তিনি এসে আমাদের সাথে আলাপ জুড়ে দিলেন। বাংলাদেশ দেখতে এসেছেন। আমাদের মধ্য থেকে একজন জিজ্ঞেস করলেন, ‘বাংলাদেশ কেমন লাগছে’? তিনি বললেন, ‘খুব ভালো। ইলিশ মাছ খুব খেতে পাচ্ছি। খুব খাচ্ছি’। এরকম অনেকেই আসেন। একদিন কলকাতার ‘যুগান্তর’ পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক সস্ত্রীক এলেন। নাম মনে পড়ছে না। সে দিন সন্ধ্যায় পল্টন ময়দানে ভারতীয় সঙ্গীত শিল্পীদের গানের অনুষ্ঠান ছিল। আমানুল্লাহ সাহেব আমাকে সাথে করে তাদের নিয়ে সন্ধ্যার দিকে পল্টনের দিকে রওনা দিলেন। স্টেডিয়ামের পশ্চিম পাশ দিয়ে একটু দক্ষিণে এগুতেই জনতার ভিড় নজরে এলো। ময়দান জনাকীর্ণ। যুগান্তরের যুগ্ম সম্পাদক সবিস্ময়ে বললেন, ‘এত লোক’! তার স্ত্রী তাচ্ছিল্যের সাথে বললেন, ‘মূর্খ তো’।

ভারতে কোনো দিন যাইনি। সে সময়ে মর্নিং নিউজের কেউ কেউ কলকাতা বেড়াতে গেছেন। বর্ডার ওপেন ছিল। আমাকেও সাথে নিতে চেয়েছেন, যাইনি। কারণ কাশ্মিরি জনগণের ওপর ভারত যে অবিচার করছে একজন নগণ্য মানুষ হওয়া সত্ত্বেও তা আমাকে ব্যথিত করে। জানি না, ভারতে উন্মুক্ত স্থানে সঙ্গীত সন্ধ্যা হয় কি না; হলেও লোক সমাগম কেমন হয়। বাংলাদেশের জনগণের প্রতি ছুড়ে দেয়া ভদ্র মহিলার ওই মন্তব্য আমাকে সে দিন ভাবনায় ফেলেছে। ভাবলাম, তাহলে কি ‘মূর্খ’ বলে বাঙালি স্বাধীনতার জন্য এদের শরণাপন্ন হয়েছে! এ বিশেষণই কি ভারতের পক্ষ থেকে আমাদের যোগ্য ‘পুরস্কার’! যাক সে কথা। সে অনুষ্ঠানে গাওয়া শ্যামল মিত্রের গানের একটি কলি মনে আছে, ‘তোমাদের ভালোবাসা মরণের পাড় থেকে ফিরিয়ে এনেছে মোরে’। গানটির ভূমিকায় তিনি বললেন, একবার তিনি বেবিটেক্সি দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন। সে দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁঁচে এসে এ গানটি তিনি প্রথম গাইলেন। আর আজ গাইছেন। আমরা পৃথিবীতে কারো না কারো ভালোবাসা পেয়েই বেঁচে থাকি। ভালোবাসার অনুপস্থিতেই আমাদের জন্য মৃত্যুর দুয়ার খুলে যায়। এর মধ্যে একদিন একটি কবিতা লিখলাম। সেটি নিয়ে পাশের দৈনিক বাংলা অফিসে কবি আহসান হাবীবের কাছে যাই। কবিতাটি তার হাতে দিলে তিনি তখনই দু’হাত উঁচিয়ে কাগজটি টান টান করে ধরে গভীর মনোযোগের সাথে পড়তে লাগলেন। মিনিট পাঁচেক কবিতাটির দিকে তাকিয়ে থেকে হঠাৎ বললেন, ‘এটি হবে না’। এই বলে তিনি আমাকে কাগজটি ফেরত দিলেন। বিনা বাক্য ব্যয়ে কাগজটি নিয়ে চলে এলাম। মর্নিং নিউজের প্রৌঢ় স্টাফ ফটোগ্রাফার লাল ভাই আমাকে বেশ স্নেহ করতেন। কত দিন বলেছেন, ‘বাসায় এসো। তোমার ভাবীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো। তোমার কথা তাকে বলেছি’। তবে যাওয়া হয়ে উঠেনি।

একদিন দেশের এমপ্লয়মেন্ট সিচুয়েশনের ওপর একটি স্টোরি করার দায়িত্ব আমার ওপর বর্তায়। আমি এমপ্লয়মেন্ট এক্সেঞ্জ অফিস পরিদর্শন করে এর প্রধান কর্মকর্তা ও অফিসের সামনে জড়ো হওয়া চাকরি প্রার্থীদের সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে বাংলাদেশের কর্মসংস্থান পরিস্থিতির ওপর একটি স্টোরি করলাম। লেখাটি আমানুল্লাহ সাহেবের হাতে দিতেই তিনি এটি মনোযোগ দিয়ে পড়লেন। এরপর এটি নিজে নিয়ে গিয়ে পত্রিকার সম্পাদক মরহুম আবদুল ওয়াহাবকে দেখালেন। সম্পাদক স্টোরিটির খুব প্রশংসা করে কয়েকটি প্যারা ‘ডোরিক’ করে ছাপতে নির্দেশ দিলেন। ফিরে এসে আমানুল্লাহ সাহেব বললেন, ‘তিনি খুব খুশি হয়েছেন’। শাখাওয়াত (?) নামে একজন সহযোগী স্টাফ রিপোর্টার, যিনি পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন, বললেন- ‘রিপোর্টটিতে খালেদ সাহেবের নাম দিয়ে ছাপুন’।

পরদিন রিপোর্টটি বেরুলে দুপুরের দিকে আমি বিএসএস অফিসে যাই। সেখানে আমাদের সমসাময়িক, এসএম হলের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র গোলাম তাহাবুর রিপোর্টিংয়ের কাজ করেন। আমাকে পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এমপ্লয়মেন্টের ওপর রিপোর্টটি কে করেছে’। বললাম, ‘আমি’। তিনি তার সহকর্মীদের উদ্দেশে বললেন, ‘He has beaten all of us’. আমি মর্নিং নিউজ অফিসে ফিরে এলে আমানুল্লøাহ সাহেব জিজ্ঞেস করলেন, ‘কোথায় গিয়েছিলেন’? বললাম, ‘বিএসএস অফিসে’। তিনি বললেন, ‘সেখানে গেছেন কেন? বললাম, ‘গোলাম তাহাবুরের সাথে দেখা করে এলাম’। তিনি আর কিছু বললেন না। চেষ্টায় ছিলাম বিএসএসের রিপোর্টার হওয়ার। এর আগে-পরে বিএসএসের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার সাথেও একাধিকবার দেখা করেছি। কিন্তু হলো না।

পরদিন মর্নিং নিউজে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে আমাকে নিয়োগপত্র ও আইডেন্টিটি কার্ড দেয়ার কথা। যথারীতি সকাল ১০টার দিকে মর্নিং নিউজ অফিসে পৌঁছলাম। সব ফাঁকা। কেউ নেই। মর্নিং নিউজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যা-ও একটা, বিনা বেতনে সময় কাটানোর মতো কাজ ছিল, সেটাও গেল। আবার সেন্ট্রাল পাবলিক লাইব্রেরিতে নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যা পড়াশোনায় মনোযোগী হলাম। যেন এটাই আমার চাকরি। সরকারি কলেজে শিক্ষক নেয়া হবে, সে খবর এসএম হলের আমার অনুজ এক ইতিহাসের ছাত্রের কাছে এখানেই পাই।

লেখক : অর্থনীতির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও ভাইস প্রিন্সিপাল, মহিলা সরকারি কলেজ, কুমিল্লা।


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্যাতিত দল জামায়াতে ইসলামী ইতিহাসের সবচেয়ে বিপজ্জনক সময় পেরুচ্ছে লেবানন : প্রধানমন্ত্রী পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও ওষুধ সঙ্কট কানপুরে বাংলাদেশকে ভারতের ধবলধোলাই স্বৈরাচার হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকতে ‘র’ সহযোগিতা করেছে : রিজভী গাইবান্ধায় ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ঈশ্বরগঞ্জে স্কুল ক্যাম্পাসে নৈশপ্রহরীকে খুন ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি’ সাঁথিয়ার আতাইকুলায় যুবকের লাশ উদ্ধার বেক্সিমকো গ্রুপের সম্পদ দেখভালে রিসিভার নিয়োগের আদেশ বহাল দিরাইয়ে মৎস্যজীবী আব্দুন নুরের খুনীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি এলাকাবাসীর

সকল