২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৬ শাবান ১৪৪৬
`

কৃষি বিপ্লবের সুফল কৃষকের কাছে পৌঁছাতে হবে

-

বাংলাদেশের কৃষকদের দুর্ভোগ-দুর্যোগ, বিপর্যয় শতাব্দীপ্রাচীন। গোলা ভরা ধান, গোয়ালভরা গরুর যে মিথ তার নজির ঐতিহাসিক কোনো কালপর্বেই খুব একটা পাওয়া যায় না; বরং চর্যাপদের ‘হাড়িত ভাত নাহি নিতি আবেশি’ কিংবা অন্নদা মঙ্গলের ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধেভাতে’র আকুতিই শোনা যায় শতাব্দী পরম্পরায়। কিন্তু এই কৃষকের উৎপাদিত ফসলের উদ্বৃত্ত নিয়েই পাল, সেন, খিলজি, মোগলদের শান-শওকত গড়ে উঠেছিল। কৃষকের এ দুর্দশা স্থায়ী রূপ পেয়েছিল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক প্রভুদের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে। এর ফলে ব্রিটিশ শাসক ও বাংলার কৃষকদের মধ্যে কয়েক স্তরের মধ্যস্বত্বভোগী তৈরি হয়েছিল। ব্রিটিশ প্রভু, জমিদার, জোতদার, নায়েব, বরকন্দাজ সবার ‘খাই’ মেটাতে উৎপাদক শ্রেণী কৃষক হয়ে পড়েছিল নিঃস্ব থেকে নিঃস্বতর। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রচলনের পৌনে ৩০০ বছর পেরিয়ে গেছে। ব্রিটিশ ও পাকিস্তানিদের থেকে দুই দফায় আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এ বছর স্বাধীনতার ৫৪ বছর উদযাপিত হচ্ছে। চার দিকে উন্নয়নের এত ডামাডোল। কিন্তু আমাদের কৃষকরা মধ্যস্বত্বভোগীদের সেই ‘চিরস্থায়ী দৌরাত্ম্য’ থেকে কতটা মুক্তি পেয়েছে! এ ব্যবস্থার সাথে আবার যুক্ত হয়েছে আমাদের এখানকার মুক্তবাজার ব্যবস্থা। মুক্তবাজার অর্থনীতির নামে বাংলাদেশে ক্রনি ক্যাপিটালিজম বা স্বজনতোষী অর্থনীতি গেড়ে বসেছে। রাজনৈতিক, প্রশাসনিক কিংবা অন্য কোনো ক্ষমতাতন্ত্রের সাথে যুক্ত একটি অংশের ফুলেফেঁপে ওঠার সব আইন, বিধি, শর্তই এখানে উপস্থিত। এ ব্যবস্থায় উৎপাদক ও ভোক্তা উভয়েই সেই সোনার ডিম দেয়া হাঁস। তাদের পেট চিড়ে ডিম বের করার সব আয়োজনই উপস্থিত। আজকাল আমাদের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে (প্রকৃতপক্ষে তারা মধ্যস্বত্বভোগী শ্রেণীর প্রতিনিধি) একটি কথা বেশ ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে যে, কৃষিজাতীয় উৎপাদনে জিডিপিতে অবদান মাত্র ১৪-১৫ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পরিসংখ্যান বলছে, জিডিপিতে অবদান কম হলেও ৪০ শতাংশ মানুষ এখনো কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এর অর্থ হচ্ছে, এককভাবে এখনো সবচেয়ে বেশি মানুষ কৃষির সাথে যুক্ত। বাংলাদেশের গত কয়েক দশকের যে অর্জন, তাতে কৃষকের ভূমিকা অভাবনীয়। ধান ও পাটকেন্দ্রিক উৎপাদন থেকে বেরিয়ে এসে কৃষিতে বৈচিত্র্য এনে ও নিজস্ব নানা উদ্ভাবনের মাধ্যমে ১৮ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির জোগান দিচ্ছেন তারা। উদ্যোক্তার কথা যদি বলতেই হয় তাহলে কৃষকদের চেয়ে বড় উদ্যোক্তা আর কারা আছেন? কিন্তু উৎপাদিত ফসলের দাম না পেয়ে এনজিওর কিস্তির টাকা শোধ না করতে পেরে আত্মহত্যার পথও বেছে নিচ্ছেন তাদের কেউ কেউ। আবার সেই ফসল দিয়েই কয়েক স্তরের মধ্যস্বত্বভোগী ঠিকই বিপুল মুনাফা গড়ছেন। এখানে বড় প্রশ্নটা হচ্ছে, কৃষক কিংবা উদ্যোক্তাদের জন্য নীতি ও সহায়ক পরিবেশ কোথায়? উৎপাদক উদ্যোক্তাদের অবস্থা বাংলাদেশে চালু হওয়া একটি ধারণা হচ্ছে, ‘যদি তুমি উৎপাদক হও, তাহলে তুমি শেষ, যদি তুমি বেনিয়া হও, তাহলেই সামনে তোমার দিন।’

ভারতকে নাড়া দেয়া কৃষক আন্দোলনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষকদের কাছে করজোড়ে ক্ষমা চেয়ে বিতর্কিত কৃষি বিল থেকে সরে এসেছিলেন। ভারতের ওই কৃষি বিলে কৃষকদের বড় করপোরেটদের মর্জির ওপর নির্ভরশীল করে রাখার চেষ্টা ছিল। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (উৎপাদন খরচ ও মুনাফা) পেয়ে আসছিলেন, সেই সুবিধা বাতিল হয়ে যেত বিলটি চালু হলে। পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকরা এক বছরের বেশি সময় ধরে শীত, গরম, বৃষ্টিতে ভিজে রাজপথে যে আন্দোলন করেছেন, তার ফলে সরকার তাদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়। বামপন্থী রাজনৈতিক দল, কংগ্রেসসহ বেশির ভাগ বিরোধী দল এই আন্দোলনে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ছাত্র, বুদ্ধিজীবী, নারী, সাধারণ মানুষ কৃষকদের আন্দোলন সমর্থন করেছেন, খাবার, ওষুধ, কাপড় দিয়ে তাদের সহযোগিতা করেছেন। কৃষকদের সমর্থনে সেখানে অভূতপূর্ব সংহতি তৈরি হয়েছিল। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে সবখানেই যেন কৃষকরা গরহাজির। জাতীয় সংসদে তাদের প্রতিনিধি নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর কৃষকদের জন্য আলাদা সংগঠন থাকলেও তাতে কৃষকদের প্রতিনিধিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফলে কৃষকের কণ্ঠস্বর কোথাও শোনা যায় না। কৃষকদের কাছে তার প্রত্যাশা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, লাভসহ নিজের উৎপাদিত ফসলের মূল্য চান (সহায়ক দাম)। প্রয়োজনের সময় কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ চান। তাদের এই চাওয়াটা কি খুব বেশি বড়? গত দেড় দুই দশকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শাকসবজি, ফলমূলসহ কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনে দারুণ বিপ্লব ঘটেছে। বিভিন্ন জেলায় কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়েছে। কৃষকের হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে কৃষি। কিন্তু উৎপাদন বাড়লেও মৌসুম ছাড়া বাজারে সহজলভ্য হয় না শাকসবজি ফলফলাদি। এক মৌসুমের সবজিও ফলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় আরেক মৌসুম পর্যন্ত। উৎপাদন সূচক ঊর্ধ্বগামী হলেও দামের বেলায় আকাশ-পাতাল পার্থক্য দেখা যায়। মৌসুমের শুরুতে যে সবজি ১০০ কিংবা ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়, তা আবার নেমে যায় ১০ থেকে ২০ টাকায়। দাম না পাওয়ায় ক্ষেতের ফসল ক্ষেতেই পচতে থাকে। কৃষকরা অনেক সময় রাগে ক্ষোভে তাদের উৎপাদিত ফসল শাকসবজি, ফলমূল ফেলে দেয়। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক, ভোক্তা উভয়েই। উৎপাদিত কৃষিপণ্য, শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি দীর্ঘসময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে যথেষ্ট পরিমাণ হিমাগার, সংরক্ষণাগার ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন আমাদের কৃষক। এ নিয়ে আশা-নিরাশার দোলা শুধু দেশীয় বাজারেই নয়, রফতানির ক্ষেত্রেও চলছে বিপর্যস্ত অবস্থা। আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের দেশীয় সবজি ও ফলফলাদির বেশ ভালো চাহিদা থাকলেও সুষ্ঠু পরিকল্পনা এবং সরকারের নজরদারির অভাবে মার খাচ্ছে কৃষিপণ্য রফতানি খাতও। উৎপাদন সূচকের সাথে বাজার বণ্টন, দামের ভারসাম্য ও রফতানি নীতিমালা বজায় রাখতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আধুনিক মানের আরো অধিকসংখ্যক হিমাগার ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণের দাবি কৃষক, ভোক্তা ও রফতানিকারকদের। এ দাবি অনেক দিনের। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে যে হারে ফলের উৎপাদন বাড়ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক আয়ের একটি বড় অংশ আসবে ফলের বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে।

সাধারণ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে পার্বত্য জেলাগুলোতে আজকাল প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি, ফলমূল উৎপাদন হচ্ছে। সেখানে উৎপাদিত কৃষিপণ্য সংরক্ষণের জন্য হিমাগার না থাকায় বাধ্য হয় উৎপাদনকারীদের অবিশ্বাস্য কমমূল্যে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। দীর্ঘসময় ধরে সাধারণভাবে থাকার কারণে সবজি ও ফলমূল পচে যায়। ফলে সেগুলোর মান অনেক নষ্ট হয়। তখন লোকসান গুনতে হয় সংশ্লিষ্ট কৃষক এবং বাজারজাতকরণে নিয়োজিত ব্যবসায়ী ও রফতানিকারকদের। তখন তাদের সবাইকে লোকসান গোনা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। এভাবেই অনেক কৃষক, উৎপাদনকারী চাষি ও ব্যবসায়ী পুঁজি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে কৃষি পণ্য উৎপাদন খরচ বেড়েছে। সার, বীজ, কীটনাশক থেকে শুরু করে জমিতে পরিচর্যা, পানি দেয়া ইত্যাদি কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরিও বেড়ে গেছে। ফসল উৎপাদনের পর যদি তার উপযুক্ত মূল্য না পাওয়া যায় স্বাভাবিকভাবে কৃষক বড় ধরনের লোকসানের মধ্যে পড়ে যান। অনেক সময় উৎপাদিত ফসল বাজারে নিয়ে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন কৃষক। খরচ পোষাতে না পেরে কৃষকের ক্ষেতের ফসল ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে যায়। বিক্রি না করে রাস্তায় কিংবা নদীতে ফেলে দেন তারা। এ ক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন কৃষিপ্রধান এলাকায় যদি সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত এবং যথেষ্ট সংখ্যক হিমাগার কিংবা আধুনিক সংরক্ষণাগার থাকত তাহলে কৃষক অনেক বড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেত।

যদিও সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রণোদনা ও প্রদর্শনী খামারের মাধ্যমে কৃষির উন্নয়নে আলাদাভাবে কাজ করছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কৃষকবাজারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে এটি সারা দেশে সমানভাবে চালু হয়নি এখনো। মাঠপর্যায়ের কৃষকদের সাথে বিভিন্ন সময়ে কথা বলে জানা যায়, মৌসুমের শুরুতে সবজি-ফলমূলের ভালো দাম পাওয়া যায় বটে। কিন্তু ভরমৌসুমে উৎপাদন ও সরবরাহ বেড়ে গেলে সবজি ও ফলমূলের দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ গুণ কম দামে বিক্রি করতে হয়। তখন হতাশা পেয়ে বসে উৎপাদনকারী কৃষক ও খামারিদের মধ্যে। কাক্সিক্ষত দাম না পাওয়ায় তারা উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিপণনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। এমন পরিস্থিতি প্রতি বছরই সৃষ্টি হচ্ছে।

বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে সবজি ও দেশীয় ফলমূল রফতানি হয়। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে বেশি রফতানি হয়। বিভিন্ন ধরনের কচু থেকে কচুর লতি, কচুরমুখী, ওলকচু, কচুর ফুল, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, লাউ, আলু, মিষ্টিআলু, করলা, কাঁকরোল, পটোল, ঝিঙে, শসা, শিম, লেবু, পেঁপে, জলপাই, কলার মোচা, কাঁচকলা, সাতকরা, শালগম, গাজর, বাঁধাকপি, ফুলকপি, মুলাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি, ফলমূল পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রফতানি হয়। বেশির ভাগ সবজি মৌসুমভিত্তিক এবং কিছু সবজি সারা বছর রফতানি করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছে এ দেশের মৌসুমি ফল ও সবজির কদর বেশি। তবে এখন বিদেশীরাও বাংলাদেশের শাকসবজি, ফলমূল খেতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন।

গত প্রায় এক দশকে বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে সবজি ছাড়াও ফলমূল উৎপাদনে রীতিমতো কৃষিবিপ্লব ঘটেছে। পেঁপে, আনারস, কাঁঠাল, আম, কমলা, মাল্টা, কলা, কাজুবাদামের মতো মূল্যবান ফলমূল ব্যাপকভাবে চাষ করা হচ্ছে এখন। এ ছাড়া বিভিন্ন জাতের মসলা, ড্রাগন ফল চাষেও অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন এখানকার কৃষকরা। সেখানে উৎপাদিত ফলমূল সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের আধুনিক ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি এখনো। এ জন্য সরকারি উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে ফলমূল সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের কারখানা ও অবকাঠামো প্রতিষ্ঠা করা দরকার। পাহাড়ে উৎপাদিত নানাজাতের ফলমূল, সবজি ইত্যাদি দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানির মাধ্যমে আরো বেশি বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা সম্ভব হবে।

দেশে কৃষিবিপ্লব ঘটেছে, তাতে কোনো সংশয় কিংবা সন্দেহ নেই। কিন্তু নানা অব্যবস্থা ও সুযোগ-সুবিধার অভাবে কৃষি বিপ্লবের সুফল পাচ্ছে না কৃষক। কৃষি বিপ্লবের সুফল কৃষকের কাছে পৌঁছানোর যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে।

লেখক : কলামিস্ট, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার


আরো সংবাদ



premium cement
যাত্রাবাড়ীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, ছিনতাইকারীর গুলিতে আহত ১ ছিনতাইকারী সন্দেহে টঙ্গীতে যুবককে হত্যা, উত্তরায় ২ জনকে ঝুলিয়ে গণপিটুনি একটি পরিবারকে আমানতের ৮৭ শতাংশ দেয়া হয়েছে : গভর্নর টাঙ্গাইলে বনভোজনের বাসে ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে মালামাল লুট চীনের হাংজো দিয়াংজি ইউনিভার্সিটির সাথে ডুয়েটের সভা অনুষ্ঠিত আমিরাতে নারী জাতীয় দলের প্রথম ম্যাচ কাল নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ বুধবার কেরানীগঞ্জে পরকীয়ার জেরে গৃহবধূকে হত্যা, প্রেমিক আটক তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ কাবাডি দলের জয় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেউ চীন সফরে যাচ্ছেন না নারায়ণগঞ্জের সমাবেশে জেলা যুবদল ও ফতুল্লা বিএনপির শো ডাউন

সকল