১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ শাবান ১৪৪৬
`

ফিলিস্তিনিদের ভাগ্য বিড়ম্বনার শেষ কোথায়

-

ফিলিস্তিনের নাগরিকদের ভাগ্য নিয়ে নতুন কৌশলে ভিন্ন খেলা শুরু করেছে বিশ্বশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার দোসররা। প্রায় ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী ও ধ্বংসাত্মক ইসরাইলি আগ্রাসনের পর গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় বহুল কাক্সিক্ষত ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায় কার্যকর হয়েছে। এতে গাজায় ইসরাইলি বর্বর আগ্রাসনের আপাতত অবসান ঘটেছে মনে করা হচ্ছে। তবে যেকোনো অজুহাত দেখিয়ে ইসরাইলি বাহিনীর সেখানে নতুন করে আক্রমণ শুরুর আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না।

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে না হতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি চলমান থাকবে, এর কোনো গ্যারান্টি বা নিশ্চয়তা নেই। তিনি এমন সময় এই আশঙ্কার কথা বলেন যখন ইসরাইলি যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন। এ দিকে স্বল্পকালীন এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার সাথে সাথে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা নিজ আবাসস্থলে ফিরতে শুরু করেন। অনেক পরিবার মালপত্র নিয়ে গাধার গাড়িতে চড়ে কিংবা মাইলের পর মাইল হেঁটে বাড়িতে ফেরে। যদিও ফিলিস্তিনিদের বসবাসের স্থাপনাগুলো দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার বিমান ও মিসাইল হামলায় ভয়াবহ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ফলে গাজাবাসী নিজ বাড়িতে ফিরলেও তাদেরকে নিজের বাড়িতে তাঁবু টানিয়ে বসবাস করতে হবে। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও ফিলিস্তিনিরা যখন তাদের বাড়িতে ফিরছে ঠিক তখনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে মিসর ও জর্দানে পাঠানোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। যা প্রকারান্তরে গাজা খালি করার পরিকল্পনার নামান্তর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কোনো রাখঢাক না করেই ফিলিস্তিনিদেরকে তাদের জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত করতে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা দখলে নেয়ার কথা বলেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আমরা গাজা উপত্যকা দখল করব এবং আমরা এখানে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব। তিনি আরো বলেন, আমরা গাজার মালিক হবো এবং উপত্যকাটিতে রয়ে যাওয়া সমস্ত অবিস্ফোরিত বিপজ্জনক বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্র ধ্বংস করব।

এলাকাটিকে সমতল করব এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনগুলোও অপসারণ করা হবে। সেখানে এমন অর্থনৈতিক উন্নয়ন করব, যা ওই এলাকার মানুষের জন্য প্রচুর চাকরি ও আবাসন সৃষ্টি করবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গাজার জন্য প্রয়োজনে আমরা সব করব। যদি সেখানে সেনা পাঠানোর প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা পাঠাব। ট্রাম্প স্পষ্টই যা বলেছেন তা হলো, ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে তাদের নিজস্ব ভূখণ্ড থেকে সরিয়ে দেয়ার বন্দোবস্ত করা।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সৌদি আরবে ফিলিস্তিনিদের একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য পর্যাপ্ত জমি রয়েছে। সৌদি আরব সে দেশে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র তৈরি করতে পারে।

ফিলিস্তিনিদের চিরদিনের জন্য বাস্তুচ্যুত করতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তাল মিলিয়ে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ গাজার যেসব বাসিন্দা উপত্যকাটি ছেড়ে যেতে চান, তাদের সে সুযোগ দেয়ার জন্য সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, গাজার বাসিন্দাদের নিজেদের অবস্থান থেকে ‘সরে যাওয়ার এবং অভিবাসনের স্বাধীনতা’ রয়েছে। যেসব দেশ হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধের সমালোচনা করেছে, তারা এই ফিলিস্তিনিদের জায়গা দিতে ‘বাধ্য’। যদিও গাজাবাসীকে নিয়ে ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা নাকচ করে দিয়েছেন ফিলিস্তিনি নেতারা ও আরব দেশগুলো। তাদের ভাষ্যমতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হলে তা হবে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এ বিষয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকেরি বলেছেন, এটি ফিলিস্তিনকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়ার ইসরাইলি পরিকল্পনার অংশ। জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব এন্ত্যোনিও গুতেরেসও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, যেকোনো ধরনের জাতিগত নিধন এড়ানো জরুরি। তিনি আরো বলেছেন, ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হবে গাজা। এ দিকে মিসরের রাজধানী কায়রোতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠক শেষে গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে মিসর ও জর্দানে পাঠানোর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে আরব দেশগুলো। সৌদি আরব, মিসর, জর্দান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং আরব লিগের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কর্মকর্তারা যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ এবং তা সঙ্ঘাত ছড়িয়ে দেবে। তাদের মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাও নস্যাৎ করবে। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল, অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইহুদি বসতি স্থাপন এবং ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরসহ তাদের অধিকার খর্ব করার যেকোনো ষড়যন্ত্র বা অপচেষ্টা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। বৈঠকে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে জাতিসঙ্ঘের সাথে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের মিসরের পরিকল্পনাকেও স্বাগত জানিয়েছেন আরব মন্ত্রীরা। অন্য দিকে জর্দানের প্রধান বিরোধী দল ইসলামিক অ্যাকশন ফ্রন্ট পার্টির আইনপ্রণেতা সালেহ আল-আরমৌতি বলেছেন, ট্রাম্পের প্রস্তাব ‘জর্দানের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন’ ও ‘যুদ্ধ ঘোষণার সমতুল্য’।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই পরিকল্পনা আমাদের নির্ধারিত সীমারেখার (রেড লাইন) সরাসরি লঙ্ঘন। আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই, ফিলিস্তিনি জনগণ কখনোই তাদের ভূমি বা পবিত্র স্থান ত্যাগ করবে না। আমরা ১৯৪৮ ও ১৯৬৭ সালের বিপর্যয়ের পুনরাবৃত্তি হতে দেবো না। আমাদের জনগণ দৃঢ়ভাবে টিকে থাকবে এবং নিজেদের মাতৃভূমি ছেড়ে যাবে না। ইতোমধ্যেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজাবাসীকে আশ্রয় দেয়ার জন্য জর্দানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি চাই আপনি আরো বেশি দায়িত্ব নিন, কারণ আমি গাজার পুরো চিত্র দেখছি। এটি একেবারেই লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। অর্থাৎ তিনি গাজাবাসীর দুর্ভোগ, দুর্দশাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছেন। ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে মিসরীয় প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেছেন, গাজাবাসীর জন্য সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত তার দেশ।

ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইতোমধ্যেই ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি শরণার্থী জর্দানে বসবাস করে, যাদের অধিকাংশকেই নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে। জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী এজেন্সির তথ্য অনুসারে, জর্দানে মোট ফিলিস্তিনি শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ২৪ লাখ। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গাজা উপত্যকা থেকে শরণার্থী হিসেবে এসেছে। যার বেশির ভাগ ১৯৪৮ এবং ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত হয়। যদিও মিসরে গাজার ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। তবে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ তীব্র হওয়ায় গাজার অনেক অধিবাসী মিসরে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। বস্তুত ইসরাইলের যুদ্ধবাজ নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধের মাধ্যমে গাজাবাসী এবং হামাসকে নির্মূল করতে না পেরে এখন নতুন কৌশলে ফিলিস্তিনিদের জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত করে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ এবং ইহুদিদের জন্য নিরাপদ আবাস তৈরির প্রয়াস চালাচ্ছে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া ইসরাইলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৭ হাজার ৫১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ ফিলিস্তিনিদের মৃত হিসাবে গণ্য করা হলে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৬১ হাজার ৭০৯ জনে। এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন এক লাখ ১১ হাজার ৬১২ জন। জাতিসঙ্ঘের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলের হামলায় গাজার ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এই যুদ্ধে দীর্ঘ ১৫ মাসের ইসরাইলি হামলায় গাজার ৩৮ হাজারেরও বেশি শিশু এতিম হয়েছে। অনেকেরই বাবা-মা এমনকি কোনো স্বজনই বেঁচে নেই। বিধবা হয়েছেন ১৪ হাজার নারী। ইসরাইলের সর্বশক্তি প্রয়োগের ফলে এত হত্যাকাণ্ড, ধ্বংসযজ্ঞ, নির্মমতার পর সর্বহারা, সহায়-সম্বলহীন ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত করতে কেন অপতৎপরতা ও ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিচ্ছে বিশ্বশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের দোসররা তা আমাদের বোধগম্য নয়। যদিও দমন-পীড়ন করে কোনো জাতিকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করা গেছে এমন নজির ইতিহাস খুব একটা নেই, তার পরও দখলদার ইসরাইল ও তার সেবাদাসরা গোটা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটি দখলে নেয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বস্তুত প্রথম বিশ্বযুদ্ধে উসমানীয় খেলাফতের (অটোমান) পরাজয়ের পর ১৯১৭ সালের নভেম্বর মাসে তুরস্কের সেনাদের হাত থেকে জেরুসালেম দখল করে ব্রিটেন এবং ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনের ভূমি দখলে রাখে। ফিলিস্তিন ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণে থাকার সময় ব্রিটিশ সরকার পরিকল্পনা প্রণয়ন করে ফিলিস্তিনের মাটিতে ইহুদিদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের জন্য। ১৯৩৩ সাল থেকে জার্মানির শাসক এডলফ হিটলার ইহুদিদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর ও নিষ্ঠুর আচরণ শুরু করেন। ফলে ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর বেঁচে যাওয়া ইহুদিদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠনের বিষয়টি ব্রিটেনের পরিকল্পনায় চূড়ান্ত করা হয় এবং ১৯৪৭ সালের নভেম্বর মাসে জাতিসঙ্ঘ ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে দু’টি রাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। এর একটি ইহুদিদের জন্য এবং অন্যটি আরবদের জন্য। ইহুদিরা মোট ভূখণ্ডের ১০ শতাংশের মালিক হবে বলা হলেও কার্যত তাদের দেয়া হয় মোট জমির অর্ধেক। অথচ আরবদের জনসংখ্যা এবং জমির মালিকানা ছিল তাদের দ্বিগুণ। ফলে জাতিসঙ্ঘের এ সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকার করে আরবরা। এই অবস্থায় ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ফিলিস্তিন ছেড়ে চলে যায় ব্রিটেন। জন্ম নেয় নতুন ইহুদি রাষ্ট্রের। ১৯৪৮ সালে ইসরাইল নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের যাত্রা শুরুর পরপরই আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সূচনা হয়। এই যুদ্ধের মধ্য দিয়ে লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত করা হয়। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ইসরাইল নামক ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ফিলিস্তিনিরা ভাগ্য বিড়ম্বনা ও নিষ্পেষণের শিকার হয়ে আসছে। প্রশ্ন হচ্ছে, ফিলিস্তিনিদের ভাগ্য বিড়ম্বনা ও নিষ্পেষণের শেষ কোথায়? অনেক রাষ্ট্র ও সংস্থা মানবাধিকারের বিষয়ে সোচ্চার হলেও ফিলিস্তিন ইস্যুতে সত্য ও ন্যায়সঙ্গত ভূমিকা পালনে নির্বিকার।

লেখক : আইনজীবী ও কলামিস্ট


আরো সংবাদ



premium cement
টিকিট সিন্ডিকেট ভাঙার খবরে স্বস্তি বাংলাদেশে আদানিকে পূর্ণমাত্রায় বিদ্যুৎ সরবরাহের আহ্বান আবরার হত্যা মামলায় হাইকোর্টে তৃতীয় দিনের শুনানি সাবেক মেয়র আতিকসহ ৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম সরাসরি বিমান চলাচল নিয়ে আলোচনা রাজবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় সেনা সদস্য নিহত মানিকগঞ্জে থানায় দায়িত্বরত অবস্থায় পুলিশ সদস্যের মৃত্যু সোনারগাঁওয়ে ধরা পড়ল ৮ মণ ওজনের শাপলাপাতা মাছ তরুণদের হাত ধরেই বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হবে : যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা সাড়ে ১৬ হাজার গায়েবি মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে : আইন উপদেষ্টা তৌহিদী জনতাকে হুমকি নয়, সতর্ক করেছি : উপদেষ্টা মাহফুজ

সকল