০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১, ৪ শাবান ১৪৪৬
`

অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক সংস্কৃতি

-

অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি হলো এমন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা, যেখানে ভিন্নমত, ভিন্নধর্ম, ভিন্ন শ্রেণী, গোষ্ঠী বা জাতির মানুষকে সমানভাবে মূল্যায়ন করা হয়। এই রাজনীতি বৈচিত্র্যকে শক্তি হিসেবে বিবেচনা করে এবং সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে।

রাজনীতির অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি হলো সব মানুষের জন্য সমান সুযোগ, অধিকার ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা। এটি ভিন্ন মতাদর্শ, ধর্ম বা গোষ্ঠীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সমঝোতা ও সহযোগিতার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণকে গুরুত্ব দেয়। জাতীয় স্বার্থ প্রাধান্য দিয়ে বিভাজনের পরিবর্তে ঐক্য গড়ে তুলতে সাহায্য করে, যা শান্তি, স্থিতিশীলতা, টেকসই উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য।

বর্তমান ও অতীতের বিভাজন, বিরোধ এবং প্রতিশোধের রাজনীতি বাদ দিয়ে এক সৌহার্দ্যপূর্ণ ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলা প্রয়োজন। বিরোধীদের প্রতিপক্ষ নয়; বরং সহযোগী হিসেবে দেখা হবে। তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে মামলা, দমননীতি বা শক্তি প্রয়োগের প্রচেষ্টা বাদ দিতে হবে। সব রাজনৈতিক মতাদর্শ, ধর্ম, ভাষা ও সংস্কৃতিকে সম্মান জানিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক দর্শন তৈরি করতে হবে।

অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে প্রতিটি নাগরিকের সমানাধিকার, সুযোগ এবং মর্যাদা নিশ্চিত করা হয়। এখানে জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ, পেশা বা অন্য কোনো বৈষম্যের স্থান নেই। সবাই রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অংশীদার। আইন সবার জন্য সমান এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, সম্পদের সুষম বণ্টন, দারিদ্র্যদূরীকরণ, সবার জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহজলভ্য করা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও প্রান্তিক জনগণের ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার উন্নয়ন নিশ্চিত করে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র। এ ছাড়াও প্রাকৃতিক সম্পদের সুষম ব্যবহার এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করে।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি দারিদ্র্যবিমোচন, বৈষম্যদূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন, টেকসই উন্নয়ন ও আইনের শাসন এবং গণতন্ত্রের পথকে সুদৃঢ় করবে।

অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ হলো এমন একটি সমাজ যেখানে সব নাগরিক সমান অধিকার, সুযোগ এবং মর্যাদা পায়। এতে বৈষম্য, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিভাজন থেকে মুক্ত থেকে সবাইকে সমান সুযোগ দেয়া হয়। এটি সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করে এবং পিছিয়ে পড়া জনগণের জন্য বিশেষ সহায়তা প্রদান করে। অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে সমান সুযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানে মনোযোগ দেয়া গুরুত্বপূর্ণ।

অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি হলো এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে সব শ্রেণী, জাতি, ধর্ম এবং গোষ্ঠীর মানুষ সমানভাবে সুবিধা পায়। এর মাধ্যমে সবার জন্য কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়, বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত জনগণের জন্য। এটি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে বাধা হিসেবে থাকা বৈষম্য দূর করে এবং প্রতিটি নাগরিককে সমান সুযোগ প্রদান করে। অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির মাধ্যমে দেশের প্রতিটি নাগরিককে মূলধারার অর্থনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়, যা দেশটির সার্বিক উন্নতির জন্য অপরিহার্য।

অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্কৃতি হলো এমন একটি সামাজিক বা সাংস্কৃতিক পরিবেশ যেখানে সমাজের প্রতিটি ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং সম্প্রদায় সমান মর্যাদা ও সুযোগ পায়। এখানে ভিন্নমত, ধর্ম, ভাষা, লিঙ্গ, পেশা এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে সম্মান জানানো হয়। এখানে বৈষম্যের কোনো স্থান নেই। সবার জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং কর্মসংস্থানের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হয়। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং অনগ্রসর গোষ্ঠীর ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ভাষা রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়।

অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্কৃতি সামাজিক সম্প্রীতি, ন্যায়বিচার এবং অংশীদারিত্বকে উৎসাহিত করে। এটি একটি এমন সমাজ গড়ে তোলে যেখানে সবাই নিরাপত্তা, মর্যাদা এবং সামগ্রিক উন্নয়নের অংশীদার হতে পারে।

অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্কৃতিতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, জাতিগত, ধর্মীয় বা অন্যান্য পার্থক্যকে শুধু সহ্য নয়, বরং উৎসাহিত এবং মূল্যায়ন করা হয়। এভাবে বৈচিত্র্যকে শক্তি ও সম্পদ হিসেবে দেখা হয়। সামাজিক সংহতি এবং একতা; এই সংস্কৃতি তৈরির মাধ্যমে সমাজের সব অংশ একে অপরের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করতে পারে। একসাথে উন্নতি করতে পারে। প্রতিটি মানুষ তার মত, বিশ্বাস এবং অবস্থানসহ শ্রদ্ধা এবং সহিষ্ণুতার সাথে গ্রহণ করবে।

সমাজে, কাজের জায়গায় বা কোনো সংস্থায় সবার জন্য অংশগ্রহণের সুযোগ উন্মুক্ত থাকে। অর্থাৎ, সব শ্রেণী, জাতি বা ধর্মীয় গোষ্ঠী থেকে মানুষকে নিজ নিজ অবস্থান এবং দক্ষতা অনুযায়ী ভূমিকা পালন করার সুযোগ করে দেয়া হয়।

অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্কৃতি তৈরি করতে হলে, সেটা কেবল সামাজিক নয়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও সক্রিয় প্রচেষ্টা হতে হবে। এর মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ এবং স্থিতিশীল সমাজ গঠন সম্ভব, যেখানে সবাই নিরাপদ, সম্মানিত এবং সক্রিয়ভাবে জীবনযাপন করতে পারে।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক সংস্কৃতি নির্মাণে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। যেমন, রাজনৈতিক দলগুলোর একে অপরের মতামত এবং আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। বিভিন্ন দল, গোষ্ঠী বা ধর্মীয় বিশ্বাসের মানুষের মধ্যে সমঝোতা এবং সহযোগিতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। এ ছাড়া সমাজের সব শ্রেণী, জাতি, ধর্ম ও গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে জনগণের নানা চাহিদা ও মতামত প্রতিফলিত হয়।

রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা ও বিতর্কের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, যেখানে জনগণের মতামত শোনা হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে তা গুরুত্ব পাবে। ক্ষমতা এককভাবে একটি দলের হাতে না রেখে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীর মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে নিতে হবে, যাতে সমাজের প্রতিটি অংশের অনুভূতি প্রতিফলিত হয়।

জনগণকে রাজনৈতিক সম্প্রীতি, ঐক্য এবং সহযোগিতার গুরুত্ব বিষয়ে সচেতন করতে হবে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিষয়ে শিক্ষাদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনপ্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা বাড়াতে হবে।

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হয়রানি বা অত্যাচার না করে একটি শক্তিশালী, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন বিচারব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকে। গণমাধ্যমকে মুক্ত ও স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেয়া উচিত, যাতে জনগণ অবাধ ও সঠিক তথ্য পেতে পারে। এতে জনগণের মতামত গঠন এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশে সহায়ক হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা, সহযোগিতা এবং একে অপরকে সম্মান দেয়ার সংস্কৃতি গড়ে তোলা প্রয়োজন। সমতা নিশ্চিত করতে সমাজের সব স্তরের মানুষের জন্য অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সুযোগ সৃষ্টি করা উচিত, যা রাজনীতির কাঠামোকে জনগণের বৃহত্তর কল্যাণের দিকে পরিচালিত করবে।

রাজনৈতিক সহিংসতা, হানাহানি এবং সংঘর্ষ কমিয়ে আনতে হবে, যাতে এটি নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশকে শান্তিপূর্ণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক করে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অভিযোগ নিষ্পত্তিতে একটি জাতীয় বা স্থানীয় প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা উচিত, যেখানে এক দল অন্য দল বা গোষ্ঠীকে সুনির্দিষ্ট সমস্যার সমাধানে সহযোগিতা করতে পারে।

রাজনৈতিক দলের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং দলের অভ্যন্তরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া অত্যন্ত জরুরি। এতে জনগণের আস্থা বাড়বে এবং রাজনীতি হবে স্বচ্ছ ও পেশাদার। এ ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি জাতীয় সমঝোতাচুক্তি করা যেতে পারে, যা দেশ ও জনগণের স্বার্থে একত্রে কাজ করার উদ্দেশ্যে হবে। এই ধরনের চুক্তি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়ন সাধনে সহায়ক হতে পারে।

তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা এবং ডিজিটাল সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। সৎ, নির্ভীক এবং জনগণের প্রকৃত কল্যাণে কাজ করতে নেতাদের গড়ে তোলা প্রয়োজন। নেতৃত্ব যদি জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারে, তাহলে রাজনীতি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও দেশের উন্নতির দিকে যাবে।
রাজনৈতিক ভাষা ও আচরণে বিভাজন, হিংসা এবং বিদ্বেষের পরিবর্তে ঐক্য, শান্তি এবং সহাবস্থানের বার্তা প্রচার করা উচিত। নেতাদের মধ্যে সহিষ্ণুতা, শ্রদ্ধা ও দয়া নিশ্চিত করতে হবে। জনগণকে রাজনৈতিক সংস্কারের প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। তাদের মতামত ও চাহিদা জাতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

জনগণের মৌলিক অধিকার যেমন বাকস্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সমতামূলক নাগরিক অধিকার ইত্যাদি রক্ষা করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে হবে। রাজনীতির সাথে অনৈতিকতা, দুর্নীতি বা অবৈধ অর্থের সম্পর্কের প্রতিরোধ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে পরিশুদ্ধ, সৎ ও জনগণের কাছে দায়বদ্ধ হতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একে অপরের প্রতি দায়িত্বশীলতা ও সহযোগিতার মনোভাব গড়ে তুলে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতির সংস্কৃতি তৈরি করতে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গরিব ও প্রান্তিক মানুষের জন্য সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। উন্নয়ন প্রকল্পগুলো তাদের জন্য প্রযোজ্য হতে হবে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে ছোট কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ ও আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তির সুবিধা মিলবে।

দারিদ্র্যনিরসনে প্রধান লক্ষ্য হিসেবে কাজ করতে হবে, যাতে সবাই মূলধারার অর্থনীতির অংশ হতে পারে। প্রযুক্তি, ই-কমার্স, ডিজিটাল ব্যাংকিং ইত্যাদি গ্রামাঞ্চলেও পৌঁছে দিতে হবে, যাতে প্রান্তিক জনগণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারে। শিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে মানুষ কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণ করে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারে। নারী, শিশু ও সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ সুবিধা এবং সুযোগ তৈরি করতে হবে। সরকারকে চাকরিবাজারে স্থিতিশীলতা আনার চেষ্টা করতে হবে, যাতে বৈষম্যহীনভাবে চাকরি ও আয় বৃদ্ধি করা যায়। অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণের সময় রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের চাহিদা ও সুযোগের প্রতি মনোযোগ দেয়া, যাতে উন্নয়ন থেকে কেউ বঞ্চিত না হয়।

‘অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতি’ যা ‘সবার বাংলাদেশ’ নির্মাণের ভিত্তি যা গণতন্ত্র, সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতীক হবে আগামীর বাংলাদেশে, এটিই আমাদের চাওয়া।

লেখক : সাংগঠনিক সম্পাদক-ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন


আরো সংবাদ



premium cement