পাঠ্যপুস্তক পুনর্লিখন : প্রকৃত সত্য তুলে আনতে হবে
- ব্রি. জে (অব:) রোকন উদ্দিন, পিএসসি
- ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৩২
একটি জাতির নাগরিকসমাজের মানসিক গঠনে পাঠ্যপুস্তকের ভূমিকা অপরিসীম। এটি শুধু জ্ঞান বিতরণের বিষয় নয়; বরং সমাজের বুদ্ধিবৃত্তিক ও নৈতিক বিকাশের মূল উপকরণ। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের দেশে পাঠ্যপুস্তক রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে, যেখানে সত্যনিষ্ঠ তথ্যের পরিবর্তে রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা অনুযায়ী ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ধর্মের প্রকৃত তথ্য বিকৃত করা হয়।
সম্প্রতি পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা ও সংশোধন নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তা দীর্ঘ দিনের সমস্যার বহিঃপ্রকাশ। মি. সাজাদুর রহমান (রাখাল রাহা) এবং অন্যান্য কমিটির সদস্যদের অতীত কর্মকাণ্ড বিতর্কিত হওয়ার পাশাপাশি তারা যথেষ্ট সময় ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন না করায় পাঠ্যপুস্তকে অনেক ভুল তথ্য রয়ে গেছে। এমনকি জুলাই বিপ্লবের কাহিনীও সঠিকভাবে লেখা হয়নি ও স্বৈরাচারের নাম উচ্চারিত হয়নি। ফলে সঙ্গত কারণেই অনেকে আপত্তি তুলেছেন। এ কারণে পাঠ্যপুস্তক জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করছে।
পাঠ্যপুস্তক ও রাজনৈতিক এজেন্ডা
প্রতিটি নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাঠ্যপুস্তকে তাদের নিজস্ব মতামতের আলোকে পরিবর্তন আনে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য সত্যনিষ্ঠ ইতিহাসের বদলে একপক্ষীয় রাজনৈতিক প্রচারণায় পরিণত হয়। রাজনৈতিক দলগুলো ইতিহাসের যেসব ঘটনা তাদের স্বার্থের সাথে যায় না, তা ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেয় অথবা বিকৃত করে উপস্থাপন করে। এর ফলে জাতীয় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা কখনো অতিরঞ্জিত করা হয়, কখনো আবার কম গুরুত্ব দিয়ে দেখানো হয়। উদাহরণস্বরূপ- স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, রাজনৈতিক রদবদল ইত্যাদি এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যাতে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর ভূমিকা বাড়িয়ে দেখানো হয়, অন্য দিকে বিরোধীদের ভূমিকা হ্রাস করা হয়।
এ ছাড়া জাতীয় বীরদের ইতিহাসও রাজনৈতিক স্বার্থে বদলে দেয়া হয়। যারা একসময় জাতীয় ইতিহাসের গৌরবময় অংশ ছিলেন, তাদের অনেককে রাজনৈতিক কারণে খলনায়ক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, অন্য দিকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের মহিমান্বিত করা হয়। এর ফলে জাতীয় পরিচয়ের বিকৃতি ঘটে এবং ভিন্ন প্রজন্মের মানুষ একই ইতিহাসের ভিন্ন সংস্করণ শিখতে বাধ্য হয়। শুধু ইতিহাস নয়, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বিষয়গুলোকেও রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হয়। যারা ক্ষমতায় থাকে, তারা তাদের মতাদর্শের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সংস্কৃতি ও ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রাধান্য দেয়, অন্য দিকে অন্যান্য ঐতিহ্য ও বিশ্বাসকে উপেক্ষা করা হয়। এর ফলে জাতীয় ঐতিহ্যের সঠিক উপস্থাপনা বাধাগ্রস্ত হয় এবং বিভেদ সৃষ্টির ঝুঁকি তৈরি হয়।
এ ধরনের বিকৃতি শিক্ষাব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ণ করে এবং জাতীয় ঐক্য ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জ্ঞানার্জনের ভিত্তি দুর্বল করে। শিক্ষার্থীরা সঠিক ইতিহাস জানতে ব্যর্থ হলে সমাজে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে পারে না। তাই পাঠ্যপুস্তক অবশ্যই রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রেখে নিরপেক্ষ, গবেষণাভিত্তিক ও সত্যনিষ্ঠ তথ্যের ভিত্তিতে সাজানো উচিত।
সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা
বর্তমান সময়ে পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা ও পুনর্লিখন অত্যন্ত জরুরি, যাতে তাতে প্রকৃত সংস্কৃতি, ধর্ম ও ইতিহাসের সঠিক তথ্যের প্রতিফলন ঘটে। দীর্ঘ দিন ধরে রাজনৈতিক স্বার্থে পাঠ্যপুস্তক বিকৃত করা হয়েছে। সরকারগুলো তাদের মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য নিরপেক্ষ ও প্রমাণভিত্তিক ইতিহাসের পরিবর্তে তথ্যবিকৃতি ঘটিয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের সামনে প্রকৃত ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ধর্মের একটি বিকৃত রূপ তুলে ধরা হয়েছে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এখন সময় এসেছে এ ধরনের অনৈতিক প্রবণতা বন্ধ করে সত্যনিষ্ঠ শিক্ষার প্রসার ঘটানোর।
প্রকৃত সংস্কৃতি শুধু শিল্প, সাহিত্য ও কৃষ্টির সমন্বয় নয়; এটি একটি জাতির আত্মপরিচয়ের মূল ভিত্তি। পাঠ্যপুস্তকে আমাদের জাতীয় ইতিহাস, লোকসংস্কৃতি, ভাষা ও ঐতিহ্য যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের শেকড়ের সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান লাভ করতে পারে।
ধর্মীয় মূল্যবোধ একটি দেশের সামাজিক কাঠামো ও নৈতিক শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পাঠ্যপুস্তকে ধর্মীয় উপাদান এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে, যাতে তা বিভেদ তৈরি না করে; বরং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়। অনেকসময় দেখা গেছে, কিছু ধর্মীয় উপাদান ইচ্ছাকৃতভাবে হ্রাস বা বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। ধর্মীয় মূল্যবোধগুলো যথাযথভাবে, পক্ষপাতিত্ব ছাড়া উপস্থাপন করা হলে তা জাতীয় ঐক্য সুসংহত করবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিকতা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইতিহাস একটি জাতির পরিচয় গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে; কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের স্বার্থের অনুকূলে ইতিহাস পরিবর্তন করে পাঠ্যপুস্তকে উপস্থাপন করেছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা অতিরঞ্জিত করেছে, আবার কিছু বিষয়কে ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করেছে। জাতীয় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের ভূমিকা কখনো বাড়িয়ে আবার কখনো খাটো করে উপস্থাপন করা হয়েছে। ইতিহাস বিকৃত না করে নির্ভরযোগ্য গবেষণা ও প্রামাণ্য উৎসের ভিত্তিতে উপস্থাপন করা হলে শিক্ষার্থীরা সঠিক জ্ঞানার্জন করতে পারবে এবং জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ় হবে।
পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা ও পুনর্লিখনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো একে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত রাখা। এ জন্য নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। ইতিহাস ও অন্যান্য বিষয়কে যথাযথ প্রামাণ্য তথ্যের ভিত্তিতে উপস্থাপন করতে হবে, যাতে রাজনৈতিক পক্ষপাত বা বিকৃতি না থাকে। পাঠ্যপুস্তক সংশোধন প্রক্রিয়ায় শিক্ষাবিদ, অভিভাবক ও সাধারণ জনগণের মতামত নেয়া উচিত, যাতে এটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা ও হালনাগাদ করতে হবে, যাতে তা আধুনিক গবেষণা ও সত্যনিষ্ঠ তথ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে।
পাঠ্যপুস্তক শুধু শিক্ষার মাধ্যম নয়, এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিকতা ও মূল্যবোধ গঠনের প্রধান উপকরণ। পাঠ্যপুস্তকে সঠিক তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের জাতীয় পরিচয় সম্পর্কে প্রকৃত ধারণা লাভ করবে এবং ভবিষ্যতে একটি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। এখনই সময় এ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার, কারণ একটি জাতির ভবিষ্যৎ তার শিক্ষাব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে।
এ ক্ষেত্রে যেসব গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে তা হলো:
১. নিরপেক্ষ কমিটি গঠন : সরকারের উচিত একটি নিরপেক্ষ ও অরাজনৈতিক কমিটি গঠন করা, যেখানে ইতিহাসবিদ, শিক্ষাবিদ ও সংস্কৃতি বিশেষজ্ঞরা রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করবেন। কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি ও বিদেশের তাঁবেদার এতে থাকবে না এবং যারা একনিষ্ঠ ও একাগ্রতার সাথে কাজটি করবেন কেবল তাদেরকেই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
২. বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির অন্তর্ভুক্তি : পাঠ্যপুস্তক যেন একমুখী বা পক্ষপাতদুষ্ট না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো উপস্থাপন করা হলে শিক্ষার্থীরা পুরো প্রেক্ষাপট বুঝতে সক্ষম হবে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা কেবল বিজয়ীদের দৃষ্টিকোণ থেকে নয়; বরং সাধারণ জনগণ, বিরোধী দল এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গিসহ তুলে ধরা উচিত। এটি শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার সক্ষমতা বাড়াবে এবং ইতিহাসের বহুমাত্রিকতা সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেবে।
৩. সত্য ও প্রামাণিকতার ওপর গুরুত্ব দেয়া : শিক্ষাব্যবস্থার ভিত্তি হওয়া উচিত সত্য। পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু অবশ্যই যাচাইযোগ্য তথ্য, মূলসূত্র এবং স্বীকৃত গবেষণার ভিত্তিতে রচিত হতে হবে। নির্ভরযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য তথ্যভিত্তিক ইতিহাস শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বিষয়গুলো সঠিক প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করতে হবে, যাতে এটি বিভাজন নয়; ঐক্য সৃষ্টির সহায়ক হয়।
৪. নির্ধারিত সময় পরপর পর্যালোচনা ও আপডেট : বিশ্ব প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং নতুন গবেষণা ও তথ্য আমাদের বোঝাপড়ার সীমা প্রসারিত করছে। সে জন্য পাঠ্যপুস্তক স্থির না রেখে সময়ে সময়ে পর্যালোচনা ও হালনাগাদ করা জরুরি। নতুন প্রতœতাত্তি¡ক আবিষ্কার, ঐতিহাসিক গবেষণা এবং সমসাময়িক বিষয়ে উন্নয়ন পাঠ্যপুস্তকে যুক্ত করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা সর্বশেষ ও নির্ভুল তথ্য পায়।
৫. জনসাধারণে জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ : পাঠ্যপুস্তক সংশোধন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখতে হবে, যাতে শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও গবেষকরা এতে মতামত দিতে পারেন। খসড়া পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করে জনসাধারণের মতামত গ্রহণ করা, বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করা এবং পর্যালোচনার ভিত্তিতে পরিবর্তন আনা হলে পাঠ্যপুস্তকের গ্রহণযোগ্যতা ও উচ্চমান নিশ্চিত হবে। এভাবে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পরিবর্তনের সুযোগ কমবে।
সরকারের ভূমিকা
সরকারের দায়িত্ব হলো একটি সুসংগঠিত ও নিরপেক্ষ শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করা, যেখানে পাঠ্যপুস্তক কেবল সত্য, প্রামাণ্য ইতিহাস ও সংস্কৃতির যথাযথ প্রতিফলন ঘটাবে। পাঠ্যপুস্তক সংশোধন প্রক্রিয়াটি কঠোর তদারকি ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে পরিচালিত হওয়া উচিত, যাতে কোনো দল বা গোষ্ঠী তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে না পারে।
পাঠ্যপুস্তক কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সম্পত্তি নয়; এটি জাতির যৌথ ঐতিহ্য ও ভবিষ্যৎ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। একটি শক্তিশালী ও কার্যকর শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে পাঠ্যবই এমনভাবে রচনা করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা শুধু তথ্য মুখস্থ না করে; বরং তাদের বিশ্লেষণী দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ ঘটে। তাদেরকে এমন শিক্ষার সুযোগ করে দিতে হবে, যা তাদেরকে সত্যের সন্ধান করতে উদ্বুদ্ধ করবে এবং তাদের মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটাবে।
সরকারের দায়িত্ব পাঠ্যপুস্তকের নিরপেক্ষতা ও গুণগত মান নিশ্চিত করা এবং শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা। শিক্ষাব্যবস্থা এমন হতে হবে, যা জাতীয় গর্ব ও মূল্যবোধকে জাগ্রত করবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক দিকনির্দেশনা দেবে। এ জন্য এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সত্য, ন্যায় ও সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পায় এবং তারা ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়।
উপসংহার
একটি আলোকিত, ঐক্যবদ্ধ এবং সংস্কৃতিগতভাবে সমৃদ্ধ প্রজন্ম গড়ে তুলতে আমাদের অবশ্যই সত্য, নিরপেক্ষতা ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে পাঠ্যপুস্তক পুনর্লিখন করতে হবে। এ জন্য সরকার ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। সময় এসেছে পদক্ষেপ নেয়ার, কারণ আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ এর ওপর নির্ভর করছে। শিক্ষা উপদেষ্টা দায়সারাভাবে বিষয়টি শেষ করতে চাইলে জাতির কাছে তিনি প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন।
লেখক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা