নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য ও টাকার খেলা
- কমোডর জসীম উদ্দীন ভূঁইয়া, এনডিসি (অব:)
- ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৩০
আমাদের সমাজ এখন এতটাই কলুষিত ও দূষিত হয়ে গেছে যে, দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত বা সুযোগ পেলে দুর্নীতি করতে কোনো ধরনের দ্বিধা করে না। এ প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীনদের মধ্যে এই প্রবণতা মাত্রাতিরিক্ত। আর যেহেতু ক্ষমতার স্বাদ পাওয়ার উপায় হলো রাজনৈতিক দলের বিশেষ করে ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা যে দলের বেশি সেটির মনোনয়নে প্রার্থী হয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়া। তাই তো দেশে নির্বাচনে ভালো মানুষের অংশগ্রহণ দুর্লভ হয়ে উঠছে। অথচ সুষ্ঠু নির্বাচন একটি রাষ্ট্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সাধারণত রাজনীতি বলতে সেসব নীতি বোঝায়, যেসব নীতি অনুসরণে একটি রাষ্ট্র পরিচালিত হয়ে থাকে। আবার একটি রাজনৈতিক দল হচ্ছে নাগরিকদের এমন একটি প্লাটফর্ম; যারা নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে এবং ক্ষমতায় গিয়ে সরকার গঠনের উদ্দেশ্যে সমষ্টিগত কল্যাণ কিংবা তাদের সমর্থকদের চাহিদা অনুযায়ী কিছু প্রস্তাবিত নীতি ও কর্মসূচির ভিত্তিতে ঐকমত্য পোষণ করে। তাই জনকল্যাণমুখিতায় কাজ করা রাজনীতির প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। অন্য দিকে এ দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতিকে অর্থ ও পেশিশক্তি নির্ভর করে ফেলেছে। দেশীয় রাজনীতিতে রাজনৈতিক দক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি এখন চরমভাবে উপেক্ষিত।
দেশের স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন পর্যায় তথা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনপ্রক্রিয়া পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, বর্তমানে আমাদের দেশের নির্বাচন মানে, টাকার খেলা ও চরম দুর্নীতি। কিন্তু এক সময় আমাদের দেশের নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের নেতা, রাজনীতিবিদ নিজেদের জননেতা মনে করতেন। জনকল্যাণমুখী কাজ তাদের ব্রতী ছিল। তখন নির্বাচনে আলাদা তেমন খরচ ছিল না, মনোনয়ন পেতেও তেমন বেগ পেতে হতো না। কিন্তু বিগত কয়েক দশক থেকে ইউনিয়ন পরিষদের মতো নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন প্রদানে দলীয় নেতারা কতটা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন তা দেখেছি আমরা। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সব পেশার মানুষ নির্বাচনকে মনে করছেন টাকা উপার্জনের অতি সহজ মাধ্যম। যার কারণে অনেকে নির্বাচনে বিনিয়োগ করেন লাখ লাখ টাকা। সামান্য ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারের চিত্র যদি এই হয়ে থাকে তাহলে উপজেলা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অবস্থা কতটা ভয়ঙ্কর তা আমাদের ধারণারও বাইরে।
বর্তমানে একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, বড় দলগুলোর নির্বাচনী ব্যয় বৃহৎ পরিসরে হয়ে থাকে। দলীয় খরচ তো আছেই; প্রার্থীর ব্যক্তিগত খরচও হয়ে থাকে বিপুল পরিমাণ টাকা।
দেশে নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যের সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই। কারণ এ লেনদেনের ঘটনা ঘটে সম্পূর্ণ গোপনে। বিপুল অঙ্কের টাকা দলীয় তহবিলে দিয়ে দীর্ঘদিন মাঠপর্যায়ে রাজনীতি করা ত্যাগী নেতাকে হটিয়ে ভুইফোড় বণিক নির্বাচনের টিকিট বাগিয়ে নেন। এটি কতটা ভয়ঙ্কর অবস্থান পরিগ্রহ করেছে সেটি আন্দাজ করতে একটি পরিসংখ্যান দেখা যেতে পারে। ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি ‘রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণ ব্যবসায়ীদের দখলে’ নামক শিরোনামে প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি খবরে ১৯৭৩ থেকে ২০২৪ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে দু’টি পেশা তথা আইন ও ব্যবসায় জড়িত প্রতিনিধিদের হার তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে ১৯৭৩ সালে ব্যবসায়ী প্রতিনিধির হার ছিল ১৮% ও আইনজীবী ৩১%, ১৯৭৯ সালে ব্যবসায়ী ২৬% ও আইনজীবী ২৪%, ১৯৯১ সালে ব্যবসায়ী ৩৮% ও আইনজীবী ১৫%, ১৯৯৬ সালে ব্যবসায়ী ৪২.৫% ও আইনজীবী ১৬%, ২০০১ সালে ব্যবসায়ী ৫৮% ও আইনজীবী ১২%, ২০০৮ সালে ব্যবসায়ী ৫৭% ও আইনজীবী ১৪%, ২০১৪ সালে ব্যবসায়ী ৫৯% ও আইনজীবী ১৩%, ২০১৮ সালে ব্যবসায়ী ৬২% ও আইনজীবী ১৪%, ২০২৪ সালে ব্যবসায়ী ৬৭% ও আইনজীবী ৮%।
আমাদের দেশে বর্তমান প্রবণতা হলো- বড় দলগুলো নির্বাচনে জিততে ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে কোটি কোটি টাকা নিচ্ছেন। অন্যভাবে বললে বলা যায়, ব্যবসায়ীদের দিয়ে রাষ্ট্রের নীতিকাঠামো দখল করা হচ্ছে। এভাবে টাকা ছড়িয়ে যারা নির্বাচিত হন, তারা নির্বাচনের পর তাদের বিনিয়োগ তুলতে ব্যস্ত থাকবেন, এটিই স্বাভাবিক। এরা নেতৃত্বের প্রশংসাসহ নিজেদের সুযোগ সুবিধা বাগিয়ে নিতে বেশি মনোযোগী হয়ে থাকেন। যা আমরা বিগত ১৫ বছরে সালমান এফ রহমানের মতো ব্যবসায়ীদের দেখলেই সহজে অনুমান করা যায়। অসততা শুরু হয় এ ধরনের নেতাদের হাত ধরে। যাদের মধ্যে কোনো ধরনের নৈতিকতার বালাই থাকে না।
গত ১৫ বছরে আমরা দেখেছি, অনেক সংসদ সদস্য অবৈধভাবে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছেন। তাদের সম্পদ কয়েক শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সন্ত্রাসী পোষার সংস্কৃতি দিয়ে কেউ কেউ দখল-বাণিজ্যে রাজা বনেছেন। জমি দখল এবং বস্তি বানিয়ে সেখানে অবৈধভাবে বৈদ্যুতিক ও পানির সংযোগ দিয়ে বস্তি ভাড়া দিতেন। তারা বস্তি বাসিন্দাদের ভোটব্যাংক হিসেবেও ব্যবহার করতেন।
নির্বাচনের মাঠে কর্মীরাও এখন কতটা বাণিজ্যিক হয়েছেন ইতোমধ্যে এটিও আমরা দেখেছি। চা-বিস্কুট আর বিড়ি খাওয়ালে এখন আর চলে না। ভোটকেন্দ্র দখল বা এলাকায় প্রভাব বিস্তারে রীতিমতো লাখ লাখ টাকা খরচ করে পুষতে হয় গুণ্ডাপাণ্ডা। ১০ কোটি টাকায় দলীয় এমপি নমিনেশন বাগানো, তারপর এমপি নির্বাচনের কাজে আরো ১০ কোটি টাকা খরচ করেন। তাই এমপি নির্বাচিত হয়ে ৫ বছরের মধ্যে ন্যূনতম ৪০ কোটি টাকা আয় করতে হয় তাদের পুনর্নির্বাচনের লক্ষ্যে। এই ৪০ কোটি টাকা কোথা থেকে আসবে? মানবসেবা ও জনকল্যাণে টাকা ব্যয় করতে হয়। কিন্তু ৪০ কোটি টাকা কী মানবসেবা করলে, জনকল্যাণমুখী কাজ করলে উপার্জন করা সম্ভব? চাঁদাবাজি এবং বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে এমপিকে তা অর্জন করতে হবে। আর এভাবে চলছে এই সিস্টেম। এ ভোটিং সিস্টেমে আমরা একজন দুর্নীতিবাজকে নির্বাচিত করি। সিস্টেমের নিয়ম অনুযায়ী তাদেরও দুর্নীতি করতে হয়। ভোটাররাও দুর্নীতির অংশীদার। কারণ তারাও টাকার বিনিময়ে ভোট দিচ্ছেন। আবার নিজেদের সুবিধায় তারাও নির্দিষ্ট মার্কা দেখে ভোট দিচ্ছেন, প্রার্থীকে যোগ্যতার মানদণ্ডে বিচার করে নয়। এ পদ্ধতিতে এভাবে অসততার বীজ বপন করা হয়। আমরা নীতিনির্ধারকসহ দেশের তথাকথিত সুনাগরিকরা তা ছড়িয়ে দিচ্ছি। এভাবে আমরা অসততাকে প্রচার ও মহিমান্বিত করি। একে রাজনৈতিক সততা ও নৈতিকতা বলি।
২০০৭ সালের ১৭ জুন তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব:) এম সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধে প্রতিটি দলে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন এমন যোগ্য দুই বা তিনজনকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ছয় মাস থেকে এক বছর আগে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত করতে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার নিজ নিজ দলের স্থানীয় কমিটি গোপন ব্যালটের মাধ্যমে তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করে রাখবে। পরে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর দলের কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের মধ্যে থেকে একজনকে মনোনয়ন দেবে। নির্বাচন কমিশনে দলের রেজিস্ট্রেশন পেতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকে এই বিধান মানতে হবে।
কিন্তু পরে এ ধরনের বিধানের পরিবর্তে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা সংসদ নির্বাচনের আইনে প্রার্থী মনোনয়নে দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে তৃণমূলের মতামত বিবেচনায় নেয়া এবং সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে নিরবচ্ছিন্নভাবে তিন বছরের বেশি সময় দলের সদস্য থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়। বর্তমানে তিন বছরের বেশি সময় দলের সদস্য থাকার বাধ্যবাধকতাও বিলুপ্ত করা হয়েছে। রাজনীতিতে প্রকৃত রাজনীতিবিদদের টিকে থাকতে হলে মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করা জরুরি।
ফ্রিল্যান্স লেখক জেরাল্ড এফ লিবারমান নির্বাচন সম্পর্কে বলেছেন, ‘প্রতিটি নির্বাচন থেকে আমরা কী শিখি? আমরা এটাই শিখি যে আগের নির্বাচন থেকে আমরা কিছুই শিখিনি। ‘এত এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বিপ্লবের পর আমরা যেন ‘মউটোন ডি পানুর্গ’ হয়ে আবারো জেরাল্ড এফ লিবারমানের উক্তিটি যথার্থ করে না তুলি। ‘মউটোন ডি পানুর্গ’ শব্দগুচ্ছ ফরাসি ভাষায় বেশ পরিচিত; যা এমন একজন ব্যক্তিকে বর্ণনা করে, পরিণতি যাই হোক না কেন, অন্যদের অন্ধভাবে অনুসরণ করে। এটির উদ্ভব ঘটেছিল এমন একটি গল্পে যেখানে পানুর্গ বণিক ডিনডেনল্টের কাছ থেকে একটি ভেড়া কেনে এবং তারপরে অতিরিক্ত চার্জ হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে ভেড়াটিকে সমুদ্রে ফেলে দেয়। রাখালের সর্বোত্তম প্রচেষ্টা সত্তে¡ও পালের বাকি ভেড়াগুলো নৌকার পাশের প্রথম ভেড়াটিকে অনুসরণ করে সমুদ্রে লাফ দেয়। পুরো সিস্টেম ভেঙে নতুন করে না গড়লে আমরা এ থেকে রেহাই পাবো না। আমরা এভাবে একসাথে আর ডুবে মরতে চাই না।
আমরা এমন সংস্কার চাই, যেখানে পুরনো নির্বাচনব্যবস্থা ভেঙে এমন এক সিস্টেম আসুক; যেখানে বিপুল কালো টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন বিক্রি বন্ধ হবে। ক্ষমতায় গিয়ে কাউকে অন্যায় সুবিধা দিতে হবে না। অর্থবিত্তের গুণে নয়, জননেতার গুণাবলি বিচারে প্রার্থী নির্বাচিত হবেন। ইতিবাচক রাজনীতি চর্চার মধ্য দিয়ে রাজনীতিকে মোকাবেলা করা হবে।
আমাদের রাজনীতিতে সাহসী লোকের অভাব নেই। সাহস স্বৈরাচারের দোসর দুর্নীতিবাজদেরও ছিল। আমাদের এখন দরকার সাহসী, সৎ, ন্যায়পরায়ণ রাজনীতিবিদ। আমরা চাই, সংস্কার এমনভাবে হোক, এমন এক সিস্টেমের আওতায় নির্বাচনে রাজনীতিবিদদের আনা হোক; যাতে দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী নির্বাচনে, মনোনয়নে টাকা নয় বরং সৎ, সাহসী ও জনপ্রিয় ন্যায় পরায়ণ ব্যক্তিকে বাছাই করতে বাধ্য হয়। যাতে নতুন করে নতুন কোনো স্বৈরাচারী সরকার আর কখনো গড়ে উঠতে না পারে।
পশ্চিম আফ্রিকার একটি ছোট্ট দেশ সিয়েরা লিওন যেখানে বিশেষ করে নব্বইয়ের পর থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত চলা গৃহযুদ্ধে এর অর্থনৈতিক অবকাঠামো সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছিল। গৃহযুদ্ধ শেষে একটি নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেশটির অবকাঠামো রক্ষায় কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল তার সাক্ষী আমি নিজে।
২০০১ সালের ডিসেম্বর থেকে আমি ইউনাইটেড নেশনস মিশন ইন সিয়েরা লিওন সদর দফতরে ফোর্স কমান্ডারের লিয়াজোঁ অফিসার হিসেবে নিযুক্ত ছিলাম। ২০০২ সালের ১৪ মে নির্বাচন কমিশন যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে; সে লক্ষ্যে ফোর্স কমান্ডারের সরাসরি অধীনে লিয়াজোঁ হিসেবে সিয়েরা লিওনের পুলিশ, সশস্ত্রবাহিনী, এনজিও ও অন্যান্য সরকারি বিভাগের সাথে কার্যকরী সমন্বয়ের দায়িত্ব আমার ওপর ন্যস্ত ছিল।
আমি সমুদ্রের মানুষ হওয়া সত্তে¡ও, ফোর্স কমান্ডার নির্বাচনটি সুচারুভাবে পরিচালনায় বিদ্রোহী এবং সে দেশের বিভিন্ন সংস্থার সাথে আমার আলোচনার দক্ষতায় দু’টি লেটার অব কমেন্ডেশন দিয়েছিল। যুদ্ধপরবর্তী দেশে সেই চ্যালেঞ্জিং দায়িত্বটি ওই দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য শান্তিবাহিনী সফলতার সাথে পালন করতে সক্ষম হয়েছিল, যা ছিল একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। সেই অর্জিত অভিজ্ঞতা বলে যুদ্ধ, বিপ্লব অথবা অভ্যুত্থানের পরে একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই নির্বাচন সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব বিশাল। এটি যদি নির্বাচনের রূপরেখা ও বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়, আমাদের দেশ ফের ভয়াবহ দুর্নীতি এবং নিম্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দুষ্টচক্রে আটকে যাবে। এটি কারো জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না, কথাটি দায়িত্বশীল সবার মনে রাখা দরকার।
লেখক : সাবেক সহকারী নৌবাহিনী প্রধান ও উপ-উপাচার্য বিইউপি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা