মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা বিতর্কের অবসান হোক
- জসীম উদ্দীন ভূঁইয়া, এনডিসি, পিএসসি (অব:)
- ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৪৬
যুদ্ধ মানে ধ্বংস, যুদ্ধ মানে মৃত্যু এবং অধিকাংশ মৃত্যু নিরপরাধ মানুষের। তবু পৃথিবীতে বিভিন্ন কারণে যুদ্ধ সংঘটিত হয়, হচ্ছে, ভবিষ্যতেও হবে। কখনো নিজের অস্তিত্ব রক্ষায়, কখনো বা একে অন্যের ওপর ক্ষমতা, আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে। একইভাবে পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের ইতিহাস রয়েছে। প্রতিটি জাতির নিজস্ব ইতিহাস রয়েছে। পৃথিবীর যেকোনো জাতির ইতিহাস তার অমূল্য সম্পদ। একইভাবে, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসও আমাদের কাছে এক অমূল্য সম্পদ।
একাত্তরের ইতিহাস আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমরা যদি এ ইতিহাসের দিকে তাকাই তাতে দেখা যায়, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও তা এখনো প্রশ্নবিদ্ধ, অমীমাংসিত। আমরাই মনে হয় বিশ্বের এমন একটি জাতি যারা নিজেদের ইতিহাস পুঁজি করে রাজনীতি করি। যে যখন যার মতো করে সুবিধাজনকভাবে ইতিহাস রচনা করি। ফলে প্রকৃত ইতিহাস চাপা পড়ে গেছে; যার ফলে তা এখনো আমাদের দু’টি পক্ষে বিভক্ত করে চলেছে। যেহেতু জাতীয় ইতিহাস পাঠ প্রত্যক মানুষের মধ্যে ব্যক্তিগত ক্ষুদ্র স্বার্থের গণ্ডি পেরিয়ে বৃহত্তর স্বার্থের দিকে মন পরিচালিত করতে, আত্মকল্যাণ অপেক্ষা বৃহত্তর কল্যাণবোধ সক্রিয় করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে; তাই দেশ ও জাতির কল্যাণে, দেশের প্রত্যেক মানুষের কাছে সঠিক ইতিহাস পৌঁছে দেয়া জরুরি। একাত্তর-বিষয়ক যেসব প্রশ্ন, বিতর্ক রয়েছে তা নিয়ে নিরপেক্ষভাবে কাজ করা অত্যাবশ্যক। একাত্তর-বিষয়ক বিতর্কগুলোর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য বিতর্ক হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা কত, ৩০ না তিন লাখ?
হামিদুর রহমান কমিশন অনুযায়ী ২৬ হাজার। আবার ১৯৭২ সালের দিকে সরকার শহীদদের পরিবারকে প্রতিজন শহীদের বিপরীতে দুই হাজার টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। ওই সময় তৎকালীন সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধারা সারা দেশ চষে বেড়িয়ে ৭২ হাজারের মতো শহীদের তালিকা তৈরি করেছিলেন। ওই তালিকা থেকে রাজাকারদের নাম বাদ দিয়ে মোটামুটিভাবে ৫০ হাজার শহীদের পরিবারকে দুই হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছিল। সেই হিসাবে ৭২ হাজার। (তথ্যসূত্র : এম আই হোসেন রচিত ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ, পৃষ্ঠা-২৬) আবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের ১৯৯৩ সালের অক্টোবর মাসের জার্নালে বলা হয়েছে, শহীদের সংখ্যা ৫০ হাজার। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সিনিয়র গবেষক ও সাংবাদিক শর্মিলা বোস তার ডেড রেকোনিং মেমোরিস অব দ্য ১৯৭১ বাংলাদেশ বইয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ৫০ হাজার থেকে এক লাখ উল্লেখ করেছেন। (তথ্যসূত্র : এম আই হোসেন রচিত ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ, পৃষ্ঠা-২৬)
আজকের নিবন্ধে শহীদের সংখ্যার এ বিতর্ক নিরসন নিয়ে আমরা কিছু কথা উপস্থাপন করতে চাই। কেবল বিশেষ একটি গোষ্ঠীর স্বার্থসিদ্ধির কথা না ভেবে, আবেগ বা ক্ষমতামোহের বশবর্তী না হয়ে নিরপেক্ষভাবে নিজেদের ইতিহাস ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে আমাদের বাস্তবতা ও যুক্তি দিয়ে এখন বিষয়টি বোঝাপড়ার উপযুক্ত সময় বলে মনে করছি। এ ক্ষেত্রে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।
১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশ ৫৬ হাজার বর্গমাইল অর্থাৎ এক লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের আমাদের দেশের জনসংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে সাত কোটি অর্থাৎ ৭৫ মিলিয়ন। জনসংখ্যার ঘনত্ব ছিল প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ৪৫১ জন। তৎকালে বাংলাদেশের গ্রামের সংখ্যা ছিল প্রায় ৬৮ হাজার। মুক্তিযুদ্ধে যদি ৩০ লাখ তথা তিন মিলিয়ন মানুষ শহীদ হয়ে থাকেন; তাহলে তৎকালীন গ্রামের সংখ্যা হিসাবে একটি গ্রামে গড়ে প্রায় ৪৪ জন মানুষ মারা গেছেন। জনসংখ্যা হিসাবে, প্রতি ১০০ জনে চারজন আর ২৫ জনে একজন মানুষকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। তাহলে যে গ্রামে এক হাজার মানুষ বাস করেন; সেই গ্রামে মৃত্যুবরণ করেছেন ৪০ জন। এখন যদি কোনো গ্রামে কেউ মারা না যান তাহলে অন্য গ্রামে মারা গেছেন ৮০ জন। একইভাবে একটি থানায় যদি এক লাখ মানুষ থেকে থাকে তাহলে সেখানে মারা গেছেন প্রায় চার হাজার মানুষ।
যেহেতু যুদ্ধ চলেছিল প্রায় ৯ মাস বা ২৬৬ দিন। সেই হিসাব অনুযায়ী, গড়ে দৈনিক মানুষ মারা গেছেন ১১ হাজার প্লাস। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সংখ্যা ছিল ৭০ হাজার বা তারও কিছু বেশি। এখন প্রতিদিন ১১ হাজার প্লাস লাশ কবর দেয়া অথবা গণকবর দেয়া কি সহজ কোনো কাজ ছিল? এতগুলো করে লাশ পরিবহন করা সহজ ছিল, না যত্রতত্র লাশগুলো রেখে দেয়া সহজ ছিল? আমরা জানি, বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। এ দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য নদ-নদী। তাহলে এসব পাকিস্তানি সৈন্যের পক্ষে কি সম্ভব ছিল এত নদী-নালা, মাঠ-ঘাট পেরিয়ে গ্রামে গ্রামে পৌঁছানো? গ্রাম না হয় বাদই দিলাম। ইউনিয়ন পর্যন্ত কি তারা পৌঁছতে পেরেছিল? ধরে নেয়া যাক তারা শহরে বেশি হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। আমরা জানি, পাকিস্তানি বাহিনীর সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বা শিক্ষকদের ওপর। ২৫ মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতজন ছাত্র-শিক্ষক মারা গিয়েছিলেন? অথবা পুরো ৯ মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতজন মারা গিয়েছিলেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরো মুক্তিযুদ্ধে শিক্ষক মারা গিয়েছিলেন ১৯ জন, কর্মকর্তা একজন, ছাত্র ১০১ জন, কর্মচারী ২৯ জন, মোট ১৫০ জন। ডাকসু সংগ্রহশালার দরজার পাশে দেয়ালে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের শহীদবৃন্দ’ শিরোনামে যে তালিকাটি রয়েছে, সেটি এখনো আছে।
আমরা যদি ভিয়েতনাম যুদ্ধের দিকে লক্ষ করি, তাহলে দেখা যায় ১ নভেম্বর ১৯৫৫-৩০ এপ্রিল ১৯৭৫ পর্যন্ত ভিয়েতনামে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে ১৯ বছর পাঁচ মাস চার সপ্তাহ এক দিন। অর্থাৎ সাত হাজার ১১৪ দিনের ওই যুদ্ধে মারা গেছেন প্রায় ৩২ লাখ ভিয়েতনামি। যাতে দৈনিক গড়ে প্রায় ৪৫০ জন মানুষ এবং বছরে গড়ে প্রায় এক লাখ ৬৪ হাজার ২৫০ জন মানুষ মারা গেছেন। ভিয়েতনাম যুদ্ধে ক্লাস্টার বোমা, নাপাম বোমা থেকে শুরু করে হাজার হাজার বোমা ফেলা হয়েছে। আবার আমরা যদি বর্তমান গাজায় চলমান যুদ্ধের দিকে তাকাই, আলজাজিরার হিসাব অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে ৫ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত প্রায় ৪৫০ দিনে মারা গেছেন ৪৬ হাজার ৬৪০ জন। গাজার আয়তন ৩৬৫ বর্গকিলোমিটার যা বাংলাদেশের আয়তনের তুলনায় প্রায় ৪০৪ গুণ ছোট। ২০২৩ সাল অনুযায়ী, গাজায় জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ছয় হাজার ২৪ জন; যা ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্বের প্রায় ১৩ গুণের বেশি। যেখানে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ২৬৬ দিনে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন, সেখানে প্রায় ৪৫০ দিনে গাজায় শহীদ হয়েছেন প্রায় ৪৭ হাজার। বিবিসির ২০২৪ প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুরো গাজায় এক লাখ ৪৪ হাজার থেকে এক লাখ ৭৫ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে, যা গাজার মোট ভবনের ৫০ থেকে ৬১ শতাংশের মধ্যে। আধুনিক যুগে গাজায় কী ধরনের অস্ত্র বোমাবারুদ ব্যবহার করা হচ্ছে এ সম্পর্কে আমাদের সবার সম্যক ধারণা নিশ্চয় আছে। আজ থেকে ৫৪ বছর আগে, প্রতি বর্গকিলোমিটারে বসবাসরত ৪৫১ জন মানুষের জনপদে ৩০ লাখ মানুষ হত্যা করতে কতটা আধুনিক অস্ত্র, বোমাবারুদ ব্যবহার করতে হয়েছিল তাহলে? সেই হিসাবে তিন লাখ বলেন বা ৩০ লাখ বা অন্য কোনো সংখ্যা সবগুলোই ধারণার ভিত্তিতে রচিত।
আসলে শহীদের সংখ্যা নিয়ে এসব বির্তকের প্রধান করা কারণ হলো : মুক্তিযুদ্ধের ৫৪ বছরেও তথা এখন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের শহীদ কতজন এ বিষয়ে কোনো পূর্ণাঙ্গ জরিপ বা অনুসন্ধান করা হয়নি। শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধের সময় দেশে ছিলেন না। তিনি যদিও ৩০ লাখ শহীদের কথা বলেছেন; কিন্তু উল্লেখ্য যে, তিনি পরবর্তীতে শহীদের সঠিক সংখ্যা নির্ণয়ে ১৯৭২ সালের ২৯ জানুয়ারি পুলিশের ডিআইজি আব্দুর রহিমকে সভাপতি করে ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। বাকি ১১ সদস্য ছিলেনÑ প্রফেসর খোরশেদ আলম, গণপরিষদ সদস্য, কুমিল্লা, মাহমুদ হোসেন খান, গণপরিষদ সদস্য, বগুড়া, আবদুল হাফিজ, গণপরিষদ সদস্য, যশোর, মহিউদ্দিন আহমেদ (ন্যাপ), জালাল উদ্দিন মিয়া, পুলিশের প্রাক্তন এসপি, মুহাম্মদ আলী, উপ-সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়, টি হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, মহিউদ্দিন, পরিচালক শিক্ষা বিভাগ, মুবারক হোসেন, উপ-পরিচালক, স্বাস্থ্য বিভাগ, উইং কমান্ডার কে এম ইসলাম, বিমানবাহিনী এবং এম এ হাই উপ-সচিব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
ওই কমিটির সদস্যরা মাঠপর্যায়ে অনুসন্ধান চালান। কিন্তু আকস্মিকভাবে ১৯৭৪ সালে কমিটির কাজ স্থগিত করে তা বিলুপ্ত করা হয়। উইলিয়াম ড্রামন্ডের মতে, এ কমিটির খসড়াতে ৫৬ হাজার ৭৪৩ জন মৃতের সংখ্যা দেখানো হয়। যখন এটি প্রধানমন্ত্রী মুজিবকে দেখানো হয়, তখন তিনি রাগে ফেটে পড়েন এবং তিনি বলেন, আমি তিন মিলিয়নের কথা বলেছি আর আপনাদের রিপোর্ট হাজারের অঙ্কে থেমে গেল। যান রিপোর্ট নিয়ে, আমি যা বলেছি তাই থাকবে। (তথ্য সূত্র : এম আই হোসেন রচিত ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ, পৃষ্ঠা-৩০)। কিন্তু শেখ মুজিবের পরে গত ৪৯ বছরে বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল (বিএনপি, জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় এসেছে, এসব দল তো সংশোধন করতে পারত। কেউ কেন এ বিতর্কের অবসান করেনি, করতে চায়নি? কেন নিরপেক্ষভাবে কোনো অনুসন্ধানের উদ্যোগ নেয়া হয়নি?
স্বাধীনতার ৫৩ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও এখনো প্রতিটি গ্রামে জীবিত প্রবীণ ব্যক্তি রয়েছেন। যেহেতু কোনো রাজনৈতিক দল কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি, সেহেতু গ্রামের জীবিত প্রবীণ ব্যক্তির কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহে প্রতিটি ইউএনওকে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব দিয়ে এ পরিসংখ্যানগুলো সহজে নেয়া যেতে পারে। অথবা গোটা দেশে একটি অনুসন্ধানী জরিপ চালানোর ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন এ দেশের মানুষ, তার প্রত্যক্ষ সাক্ষীও দেশের মানুষ। কোনো বিদেশী গণমাধ্যম নয়; কারণ ২৫ মার্চে সব বিদেশী গণমাধ্যমকে পূর্বপাকিস্তান থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল; তাই তাদের অনুমান কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য সে প্রশ্ন থেকেই যায়।
বর্তমানে আমরা ইতিহাসের একটি যুগসন্ধিক্ষণে বসবাস করছি। একটি রাষ্ট্রের মর্যাদা নির্ভর করে ওই রাষ্ট্রের নাগরিকদের ইতিবাচক ভূমিকার ওপর। কোনো একক ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নির্ধারণ করা ইতিহাসকে একটি জাতির ইতিহাস ভাবা কখনো সমীচীন নয়, বুদ্ধিদীপ্ত কাজও নয়। তাই এখন সময় বদলানোর, ভুলগুলো শুধরে নতুন করে সবকিছু গড়ার। এ সুযোগ বারবার আসবে না, আসে না। সঙ্গত কারণে বলা যায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ নিয়ে সত্যাশ্রয়ী গবেষণা করার সময় এসেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বিশেষভাবে নিবেদন, একাত্তরের এসব বিতর্ক নিরসনেও কাজ করা হোক, সুপরিকল্পিতভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমর্যাদা উজ্জ্বলে এটি একটি বিরাট সুযোগ।
আসুন চব্বিশকে আমরা ধারণ করি। চব্বিশের বিপ্লবে আহত, নিহতদের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করাও জরুরি। কারণ এটিও এখন আমাদের ইতিহাসের অংশ। সর্বোপরি সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিজেদের সত্যনিষ্ঠ ইতিহাস রচনা করে বাংলাদেশী শক্তিতে রূপান্তরিত হই।
লেখক : সাবেক সহকারী নৌবাহিনী প্রধান ও প্রোভিসি, বিইউপি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা