দেওয়ানি মামলার বিচার
- কাজী শফিকুর রহমান অ্যাডভোকেট
- ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:০৭
সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। তাদের শ্রেষ্ঠত্ব বিচারিক ক্ষমতা ব্যবহারের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও রক্ষা করার জন্য সব গণতান্ত্রিক দেশেই বিধিবিধান এবং আইন-কানুন রয়েছে। এসব আইন-কানুন অনুসরণ করে যখন বিচার সম্পন্ন হয়, তখনই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় এবং গণতন্ত্র কার্যকর ও অর্থপূর্ণ হয়। বিচারকাজ করার জন্য প্রয়োজন হয় আদালত ও ট্রাইব্যুনাল। বিভিন্ন শ্রেণীর মামলা বিচারের জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন শ্রেণীর আদালত।
বাংলাদেশে রয়েছে : ক. জেলা জজ আদালত; খ. অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত; গ. যুগ্ম জেলা জজ আদালত; ঘ. সিনিয়র সহকারী জেলা আদালত এবং ঙ, সহকারী জজ আদালত।
প্রত্যেক আদালতের আলাদা অধিক্ষেত্র থাকে। এ ক্ষেত্রে দু’টি বিষয় বিবেচনা করা হয়। একটি এলাকা এবং অন্যটি বিষয়বস্তু। আরো আদালত আছে তাদের অধিক্ষেত্র নির্ণীত হয় মামলার বিষয়বস্তু কোন এলাকায় অবস্থিত তার ভিত্তিতে।
যদি ন্যায়বিচারের নীতিগুলো অনুসরণ না করে সব নীতি ভঙ্গ করে বিশেষ আদালতে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তাহলে দেওয়ানি আদালতে সিদ্ধান্তের যথার্থতা বিবেচনা করা যাবে। মনে রাখা দরকার, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মূলনীতি হলো, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তার আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য পেশের সুযোগ দেয়া। তার বক্তব্য না শুনে তার বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া হলে তা ন্যায়বিচার নীতির লঙ্ঘন হবে। ন্যায়বিচারের মূলনীতি হচ্ছে, No body should be punished unheard.
বিশেষ আইন বা বিশেষ বিধিবিধানে যা-ই থাকুক না কেন, দেওয়ানি আদালতে প্রশাসনিক কোনো কর্তৃপক্ষের গৃহীত কোনো কার্যক্রম বা সিদ্ধান্ত আইনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী হয়েছে কি না তা বিবেচনা করা যাবে।
আইনে যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তার চেয়ে বেশি ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়েছে কিনা- যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তা প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছে বা প্রয়োগ করতে অস্বীকার করেছে কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট দেওয়ানি কর্তৃপক্ষকে বিবেচনা করতে হবে।
দেওয়ানি আদালতের সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হলো- দায়েরকৃত মামলাটি বিচার বা শুনানি করার আইনসঙ্গত এখতিয়ার আছে কিনা। এখতিয়ার না থাকলে ওই মামলায় আর কোনো কার্যক্রম গ্রহণের কোনো সুযোগ থাকবে না।
কোনো কোনো সময় আদালতের এখতিয়ার না থাকা সত্তে¡ও ওই আদালতে তাদের মামলা বিচার করার ব্যাপারে কোনো আপত্তি নেই বলে আদালতকে জানায়। কিন্তু পক্ষগণের কোনো রকম সম্মতি আদালতের এখতিয়ার সৃষ্টি করতে পারে না। আদালতের এখতিয়ার আইন দ্বারা নির্ধারিত হয়ে থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়া বোঝা যায় না- আদালতের এখতিয়ার আছে কিনা। যেমন- মামলার মূল্যমান ঠিক আছে কিনা, আদালতের নির্ধারিত এলাকার ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে কি না ইত্যাদি। এসব ক্ষেত্রে প্রথমে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করতে হবে, তারপর প্রয়োজনীয় আদেশ দিতে হবে।
লেখক : আইনজীবী
e-mail : [email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা