২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮ মাঘ ১৪৩১, ২১ রজব ১৪৪৬
`

ভ্যাট-ট্যাক্স বৃদ্ধি নয়, দরকার রাজস্ব-প্রশাসনের সংস্কার

-

আইএমএফের চাপে অন্তর্বর্তী সরকার ৬৫টি নিত্যপণ্যের ওপর নতুন করে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়াতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ৪৩টি পণ্যে ভ্যাট বাড়ছে। ওই পণ্যগুলোতে বর্তমানে ৫ থেকে ১০ শতাংশ হারে ভ্যাট নেয়া হয়। সে ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং তা কার্যকর হবে চলতি মাস থেকেই। এ জন্য ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া সংসদবিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে বুধবার (১ জানুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তা কার্যকর হলে ৬৫ ধরনের পণ্যের ওপর ১৫ থেকে ১০০ শতাংশ ভ্যাট ও শুল্ক বাড়বে। এলপি গ্যাস, বিস্কুট, আচার, টমেটো কেচাপ, সস, ফলমূল, সাবান, মিষ্টি, ডিটারজেন্ট, চপ্পল (স্যান্ডেল), টিস্যু পেপার, ইন্টারনেট, বিমান টিকিট, সিগারেট, বিস্কুট, হোটেল, রেস্তোরাঁ- এসব পণ্য ও সেবা রয়েছে এই তালিকায়। ঋণ দিতে আইএমএফ বাংলাদেশকে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর শর্ত দিয়েছে, টাকার অঙ্কে যা ১২ হাজার কোটির বেশি। এই অর্থ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার সাথে যোগ হবে। জুলাই-আগস্টের আন্দোলন ও ব্যবসাবাণিজ্যে নানাবিধ সঙ্কটে রাজস্ব আদায়ের পরিস্থিতি ভালো নয়। চলতি অর্থবছরের চার মাসে রাজস্ব ঘাটতি প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। এমন অবস্থায় বাড়তি রাজস্ব আদায়ে ভ্যাট বাড়ানোর জন্যই এই পদক্ষেপ।

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে দাবি করেছেন, ‘কর বাড়লেও জিনিসপত্রের দামে প্রভাব পড়বে না। আমাদের মূল্যস্ফীতির মূল ওয়েটের ইন্ডিকেটরগুলো হলো-চাল, ডাল এগুলো। আমরা যেসব জিনিসের ওপর কর বাড়াচ্ছি, এগুলো মূল্যস্ফীতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে খুবই কম গুরুত্বপূর্ণ। তার কথা, ‘পৃথিবীর কোনো দেশেই, এমনকি নেপাল, ভুটানেও বাংলাদেশের মতো এত কম কর (ট্যাক্স) নেই।

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ক্ষেত্রে আমরা সবসময় বলেছি, সেখানে আমরা প্রায় জিরো কর-এ নিয়ে আসব।’ নতুন ভ্যাটের ফলে মূল্যস্ফীতি আরো বাড়বে। সাধারণ মানুষ আরো চাপে পড়বে। এই ভ্যাট তো ব্যবসায়ীরা দেবে না। এটার চাপ পড়বে ভোক্তাদের ওপর। তাদের আয় বড়ছে না। কিন্তু খরচ আরো বাড়বে। ফলে তারা ব্যবহার কমিয়ে দিতে বাধ্য হবে, অথবা ঋণগ্রস্ত হবে।

সরকারের এই সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে ওষুধশিল্প, মোবাইল ফোন অপারেটর, হোটেল ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাদের কথা, এই ভ্যাটের ফলে তাদের শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গ্রাহক হারাবেন, বিক্রয় কমবে। ভ্যাটের বাইরেও তাদের আরো ট্যাক্স দিতে হয়। ফলে এখন পণ্যের দাম আরো বেড়ে যাবে। এমনিতেই মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। আরো দাম বাড়লে তারা কেনা কমিয়ে দেবেন। ফলে ব্যবসায়ী ও ভোক্তা উভয় পক্ষই ক্ষতির মুখে পড়বে।

এ দিকে দেশে মূল্যস্ফীতি এখন চরম পর্যায়ে রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, গত নভেম্বর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১৩.৮০ শতাংশে ঠেকেছে। এটি গত ১৩ বছরের মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হার। গত জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪.১০ শতাংশে উঠেছিল। নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়ার পাশাপাশি সার্বিক মূল্যস্ফীতিও বেড়ে ১১.৩৮ শতাংশে উঠেছে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ১০০ টাকায় যে পণ্য ও সেবা কেনা গেছে, গত বছরের নভেম্বরে একই পরিমাণ পণ্য ও সেবা কিনতে ভোক্তাকে ১১১ টাকা ৩৮ পয়সা খরচ করতে হয়েছে। ডিসেম্বরের মূল্যস্ফীতির হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে এবং এর চাপ পড়বে ভোক্তাদের ওপর। গত ছয় মাসে রাজস্ব আদায়ের যে গতি, তা আশাব্যঞ্জক নয়। কিন্তু সরকারের তো রাজস্ব দরকার। সেই কারণেই নতুন করে ভ্যাট-ট্যাক্স বসাচ্ছে। তবে এতে জনমনে অসন্তোষ বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এটা না করে এনবিআরের এনফোর্সমেন্টে যে সমস্যা আছে, সেটি দূর করতে পারত। ট্যাক্স আদায়ে দুর্বলতা কমালে আদায় বাড়ত। আবার অনেকেই ট্যাক্স নেটের আওতায় নেই, যারা ট্যাক্স দেয়ার যোগ্য। তাদের করের আওতায় আনতে পারলেও ট্যাক্স আদায় বাড়ত।

ইনকাম ট্যাক্সও এখন বাড়ানো যাবে বলে মনে হয় না। উপায় হলো বিনিয়োগ বাড়ানো। তার জন্য ব্যাংক সুদের হার কমাতে হবে আর এনবিআরে দুর্নীতি কমাতে হবে। এটার উপায় হলো, ট্যাক্স সিস্টেমকে অটোমেশন করা। সেটি করা হলে ট্যাক্স আদায় বেড়ে যাবে। ট্যাক্স নেটও বাড়ানো যাবে। যেসব পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে, সেগুলো আসলে নিত্যপণ্য ও সেবা। এর ফলে সাধারণ মানুষ চাপে পড়বে। কারণ, তাদের আয় বাড়ছে না।
নভেম্বরেও রাজস্ব আদায় করতে পারেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রাজস্ব আদায় কমেছে ২ দশমিক ৬২ শতাংশ। সঙ্কোচনমুখী মুদ্রানীতি থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক সরে না এলে বাড়বে না রাজস্ব আদায়। দেশ পরিচালনায় খরচ মেটাতে চলতি অর্থবছরে চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের পরিকল্পনা সাজিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে আন্দোলন, সঙ্ঘাত, ক্ষমতার পালাবদলের কারণে তৈরি হওয়া অস্থিরতার মাঝেই মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে সঙ্কোচনমূলক মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন করছে সরকার।

গত এক দশকে নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা যে হারে বেড়েছে, সে হারে রাজস্ব আদায় বাড়েনি। ফলে দেশের কর-জিডিপি অনুপাত অনেক নিচে অবস্থান করছে। এতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ধারাকেও নিজস্ব সম্পদনির্ভর করা যাচ্ছে না। বিদেশী ঋণের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল তিন লাখ ৮২ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা। একই সময়ে টিআইএনের সংখ্যা ছিল এক কোটি পাঁচ লাখ। আর এক দশক আগে অর্থাৎ ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৩৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। টিআইএন সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৫১ হাজার। ১০ বছরের ব্যবধানে রাজস্ব আদায় বেড়ে তিন গুণ হয়েছে। অন্য দিকে টিআইএন বেড়ে হয়েছে ছয় গুণ।

২০১৮-১৯ অর্থবছর টিআইএন বেড়ে হয় ৪১ লাখ ১৯ হাজার। আর পরের পাঁচ বছরে টিআইএন বেড়ে এক কোটি পাঁচ লাখে পৌঁছে। রাজস্ব আদায়ের চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, টিআইএনের মতো রাজস্ব বাড়েনি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব বেড়ে দাঁড়ায় দুই লাখ ১৬ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা। পরের পাঁচ বছরে বেড়ে সর্বশেষ ২০২৩-২৪ রাজস্ব আদায় দাঁড়ায় তিন কোটি ৮২ লাখ ৬৭৮ হাজার টাকা। গত এক দশকে সরকারি কাজে সেবা নিতে ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার বা টিআইএন নাম্বার বাধ্যতামূলক করা হয়। এতে নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা বাড়ে। এটিকে রাজস্ব বৃদ্ধির কৌশল মনে বলে মনে করে তৎকালীন সরকার। কিন্তু তারপরও রাজস্ব বাড়েনি, বাড়েনি আয়কর আদায়। ফলে যেসব খাতে টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়, সেসব ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়।

বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির মতে, বেশি প্রবৃদ্ধি দেখানোর কারণে মোট দেশজ উৎপাদন বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। কিন্তু রাজস্ব বাড়িয়ে দেখানোর সুযোগ না থাকার কারণে এ অঞ্চলে সবচেয়ে কম রাজস্ব-জিডিপি অনুপাতের দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি রাজস্ব আদায় ও মোট দেশজ উৎপাদনের বড় ধরনের অসঙ্গতি সামনে এসেছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২৪ অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ছিল ৫০ লাখ ৪৮ হাজার কোটি ২৭ লাখ টাকা। সেই হিসাবে রাজস্ব আদায় হয় জিডিপির ৮ শতাংশেরও নিচে। এ কারণে নিজস্ব সম্পদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না, বিদেশী ঋণের দ্বারস্থ হতে হয়। আবার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকেও ঋণ নিতে হয়।

আগের সরকারগুলোর আমলে সবসময়ই রাজস্ব আদায়ের নানা উদ্যোগের কথা বললেও বা উদ্যোগ নিলেও রাজস্ব আদায়ের গতিতে বড় পরিবর্তন হয়নি। রাজস্ব আদায়ে নতুন সময়-পুরনো সময় বলে কোনো কথা নেই। সবসময়ই রাজস্ব আদায়ের প্রত্যাশা থাকে। রাজস্ব আদায়ের বৃদ্ধি নির্ভর করে দেশের অর্থনীতি এবং রাজস্ব বোর্ড প্রশাসন, অনুশাসন ও সুশাসনের ওপর। ৫ আগস্টের পর দেশ সোনার খনিতে পরিণত হয়ে গেছে, আর রাজস্ব বাড়বে, আর না বাড়লে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে, এমন নয়। চেষ্টা চলছে। রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়া একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। রাজস্ব আদায়ে আগে যেমন ব্যর্থতা ও দক্ষতা ছিল, সে অবস্থায় ধারাবাহিকতা রক্ষা হচ্ছে।
নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন হবে- এমন কোনো সুযোগ এখানে, এভাবে নেই। আর অর্থনীতি থেকে যে রাজস্ব আদায় হবে, অর্থনীতি তো সেভাবে চাঙ্গা হয়নি বা হচ্ছে না। কিংবা চাঙ্গা হওয়ার পথে রয়েছে নানা সমস্যা। তা ছাড়া দুই মাস ধরে একটি আন্দোলন গেল সেই সময় উৎপাদন সবকিছু বন্ধ ছিল। এতে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। সরকার পতনের কারণে ব্যবসাবাণিজ্যে সবকিছু কমে গেছে। তারপর ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে আমদানি ধীর হয়েছে, রফতানিও হয়েছে ধীর।

ব্যাংকগুলো থেকে টাকা লুট হওয়ার কারণে ব্যাংকিং খাত আর সক্ষমতার সাথে কার্যক্রম চালাতে পারছে না। সরকারকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দিয়ে চালাতে হচ্ছে। এ রকম একটি পরিস্থিতিতে অর্থনীতি ভালো নেই। অর্থনীতি ভালো না হলে রাজস্ব আদায় করা যাবে না। রাজস্ব আদায় বাড়াতে উদ্যোগ নেওা হচ্ছে, সবসময় নেয়া হয়। ভবিষ্যতেও উদ্যোগ নেয়া হবে। কিন্তু রাজস্ব রাতারাতি বাড়বে এমন নয়। সুতরাং আগের সরকারের উদ্যোগ ভালো ছিল বা এই সরকারের সময়ে নেয়া উদ্যোগ খারাপ হচ্ছে এভাবে কথা বলার সুযোগ নেই।

নতুন সরকারের সময় কিছু প্রশাসনিক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেগুলো অব্যাহত আছে। এর ফলও চটজলদি পাওয়া যাবে না। কারণ চলমান অর্থনীতি থেকে রাজস্ব আসছে। চলমান অর্থনীতিতে যদি সমস্যা না থাকে, আয়-উপার্জন যদি ভালো থাকে, আমদানি-রফতানি যদি ভালো থাকে, তাহলে সেটি হবে। রাজস্ব আদায়ে প্রতিবার একটি উচ্চাকাক্সক্ষী লক্ষ্য ঠিক করা হয়। আর প্রতি বছরই সেই লক্ষ্য অর্জন ব্যর্থ হয়। মাঝপথে কমিয়ে আবার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করতে হয়। অর্থনীতি যদি চাঙ্গা হয় তাহলে রাজস্ব আদায় বাড়বে। আর আগের সরকারের সময়ে চলমান সীমাহীন দুর্নীতি থামানো গেলে পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হবে। এ জন্য রাজস্ব খাতের প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট


আরো সংবাদ



premium cement
ঢাবিতে গাছ থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ইউক্রেন চুক্তি না হলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে : ট্রাম্প জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন সারজিস ডার্কওয়েব সিল্ক রোডের উদ্ভাবক রস উলব্রিক্টকে ক্ষমা ট্রাম্পের বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি, নিরাপদে অবতরণ লন্ডন ক্লিনিকে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিসে’ চলবে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ট্রাম্পের শুল্কারোপের জবাব দেবে কানাডা ৫ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়ায়-আরিচায় নৌযান চালাচল শুরু ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথম জয় মঠবাড়িয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু সিলেট মহানগর বিএনপি সভাপতি ও সম্পাদককে শোকজ

সকল