মুসলিম বিশ্ব ভাঙার ইসরাইলি পরিকল্পনা
- কমোডর জসীম উদ্দীন ভূঁইয়া, এনডিসি, পিএসসি (অব:)
- ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:১৪
শিরোনাম দেখে পাঠকের মনে এমন সংশয় জাগতে পারে যে, আমাদের সাথে ইসরাইলের কি সম্পর্ক আর কিভাবেই বা আমরা তার ষড়যন্ত্রের শিকার হলাম।
বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক ও নাট্যকার অনরে দ্য বালজাক বলেছেন,
“There are two histories : official history, lying, and then secret history, where you find the real causes of events.”
যার অর্থটা এ রকম দাঁড়ায়- দুই ধরনের ইতিহাস চালু আছে। একটিকে বলা যায় সরকারি ইতিহাস, যেখানে মিথ্যার ভাগই বেশি থাকে, আরেকটি হলো- একই অধ্যায়ের গোপন ইতিহাস যেখানে আপনি ঘটনাবলির আসল কার্যকারণের সন্ধান পাবেন।
আপনি যদি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সরকারি ইতিহাস দেখেন তাহলে সবচেয়ে অবাক করা ঘটনা হলো- কখনোই নিরপেক্ষতা খুঁজে পাবেন না। এখানে সম্পূর্ণ অংশেই পাবেন একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর কৃতিত্বের গাথা। তাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে আপনাকে অসংখ্য বাছাইকৃত দেশী-বিদেশী লেখকের বই পড়তে হবে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ভারতীয় ইতিহাসবিদ শ্রীনাথ রাঘবন বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধকে দেখেছেন উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী ভূরাজনৈতিক সঙ্ঘাত হিসেবে। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই ছোট্ট দেশটি, ভূরাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তৎকালীন পশ্চিম ও পূর্ব পাকিস্তান মিলে পাকিস্তান রাষ্ট্র ছিল জনসংখ্যার দিক দিয়ে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্র। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যেসব দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন তার মধ্যে ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ইসরাইল গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের সাহায্যের কথা কমবেশি জানলেও কতজন জানি ইসরাইলের সহযোগিতার কথা? ভারত আমাদের স্বাধীনতায় সাহায্য করেছে আসলে তার নিজের স্বার্থের জন্য, আমাদের জন্য নয়। পরোক্ষভাবে ইসরাইল ভারতের সহযোগিতায় পাকিস্তান নামক জনসংখ্যায় সবচেয়ে বড় মুসলিম রাষ্ট্রকে বিভক্ত করে মুসলিমদের দুর্বল করার ভূরাজনৈতিক গেমটা খেলেছে। সেই দিক থেকে আড়ালে থাকা আসল খোলোয়াড় কিন্তু ইসরাইল।
পাঠক নিশ্চয় ভাবছেন, আমি আসলে অদ্ভুত কথা বলছি। আসলে তৎকালীন ভূরাজনীতির সাথে জড়িত যে বিশ্ব-ইতিহাস তা এই কথাই বলছে। অনেকে বলতে পারেন, ভারত আর ইসরাইলের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তির শুরু ১৯৯২ সালে; আবার ১৯৫৬ সালে সুয়েজ খালকে কেন্দ্র করে মিসর ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধের সময় ভারত যেহেতু মিসরের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল তাই ইসরাইলের সাথে তার সম্পর্ক ভালো ছিল না। একটি প্রচলিত কথা আছে, ‘শত্রুর শত্রু আপনার বন্ধু’। বিশ্ব রাজনীতিতেও ব্যাপারটি একই রকম। তার উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত ভারত থেকেই নেয়া যায় ষাটের দশকের দু’টি যুদ্ধ থেকে। ১৯৬২ সালে চীন-ভারতের যুদ্ধে ভারতকে অস্ত্র সরবরাহ করেছিল ইসরাইল। শুধু তাই নয়, ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের সময়ও ভারতকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছিল ইসরাইল। আপাতদৃষ্টিতে ভারত ও ইসরাইলের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল না; আনুষ্ঠানিক কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও ইসরাইল কেন কূটনেতিক সম্পর্ক ভেঙে ভারতকে সহযোগিতা করেছিল এখন নিশ্চয়ই আন্দাজ করা যাচ্ছে? আসলে, ভারত ও ইসরাইলের মধ্যে গোপন লেনদেন শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। সেটি ভারত জনসমক্ষে আনেনি শুধু বিশ্বের মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সাথে সম্পর্ক খারাপের আশঙ্কায়। ভারত ও ইসরাইলের সম্পর্কের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হলো গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়। বিশ্ব রাজনীতি সম্পর্কে যারা মোটামুটি জ্ঞান রাখেন তারা হয়তো জানেন, ভারতের বিদেশ-বিষয়ক গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ অর্থাৎ রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৮ সালে। ১৯৬৭ সালে মাত্র ছয় দিনের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে বিজয় লাভ করে ইসরাইল, যা ইসরাইলের সামরিক ও গোয়েন্দা সক্ষমতার ভাবমর্যাদা বিশ্বজুড়ে উজ্জ্বল করে। যদিও ১৯৬৭ সালে ইসরাইলের গাজায় আক্রমণের কারণে পাঁচজন ভারতীয় সৈনিক প্রাণ হারিয়েছিল, কিন্তু মাত্র ছয় দিনে আরবের সাথে বিজয় লাভের কারণে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ‘র’ গঠনের পরপরই এর প্রথম প্রধান আরএন কাওকে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাই ‘র’ গঠিত হওয়ার পরপরই সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ভারত একটি আউটপোস্ট প্রতিষ্ঠা করে, যেটিকে ভারত ইসরাইলের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাথে গোপন লিয়াজোঁ রক্ষা এবং ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর রাজনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সোর্সগুলোর সাথে স্পর্শকাতর বৈঠক অনুষ্ঠানের পয়েন্ট হিসেবে কাজে লাগাত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাভাষী কূটনীতিকদের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি সমর্থন আদায়ে উদ্বুদ্ধ করা। ভারত বরাবর মনে করত, পার্বত্য চট্টগ্রামে নাগা ও মিজো সংগঠকরা, যারা স্বাধীনতা চায় তাদের সহযোগিতা করে পাকিস্তানের আইএসআই। তাই ভারত পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করে পূর্ব পাকিস্তানে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য দীর্ঘ পরিকল্পনা গ্রহণ করে যাতে ভারত থেকে স্বাধীনতাকামী বিপ্লবীরা বিপ্লব চালিয়ে যেতে না পারে এবং সহযোগী হিসেবে গ্রহণ করে ইসরাইলকে। পাকিস্তান থেকে পূর্ববাংলার বিচ্ছিন্নতাকে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’ দেখেছিল গুরুত্বপূর্ণ একটি মুসলিম শক্তিকে দুর্বল করার সুযোগ হিসেবে। (তথ্য সূত্র : ‘মুজিব বাহিনী থেকে গণবাহিনী’: আলতাফ পারভেজ)
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে শেখ মুজিবুর রহমানের স্বেচ্ছাবন্দিত্ব ভারতকে এক ধোঁয়াশার মধ্যে রেখেছিল। তাই ভারত অস্ত্র গোলাবারুদসহ শরণার্থী সহযোগিতা দেয়ার পরও দীর্ঘ কয়েক মাসেও সরাসরি যুদ্ধে জড়িত হতে পারছিল না এটি ভেবে যে, শেখ মুজিব যদি যুদ্ধাবস্থায়ই ছয় দফার ভিত্তিতে পাকিস্তানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়! তাই ভারত একটার পর একটা দেশের সাথে বৈঠক করতে থাকে। সেই সময় মুসলিম রাষ্ট্রগুলোসহ চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে ভাঙতে সম্মত হয়নি। কিন্তু ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্চ মাসেই ইসরাইলের সংসদ নেসেটে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের পক্ষে ভাষণ দেন। জুনে ফ্রান্সে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত দ্বারকানাথ চ্যাটার্জি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লিখে পাঠান, ‘অতীতে ভারতের সঙ্কট সময়ে যেভাবে ইসরাইল অস্ত্র ও গোলাবরুদ দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে, এই মুহূর্তে ভারতের উচিত তেলআবিবের সাথে সরাসরি কূটনৈতিক সম্পর্কে যাওয়া। যদি মুসলিম রাষ্ট্রগুলো কোনো কোন্দলের সৃষ্টি করে তাহলে তারা ইরান ও তুর্কির সাথে ইসরাইলের সম্পর্কের কথা বলবে।’ চ্যাটার্জি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সেক্রেটারি পি এন হাকসারকে লেখেন, ‘ভারত কোথায় দাঁড়িয়ে আছে? ভারতকে পশ্চিমে সতর্কভাবে বিবেচনা করা হয়। কারণ সে সাম্রাজ্যবাদের ধারণার বিরুদ্ধে এবং সে তৃতীয় বিশ্বের উদ্ভাবন করেছে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার ইত্যাদির জন্য তার (বিধ্বংসী) অনুভূতির কারণে তৃতীয় বিশ্বে ভারতকে সন্দেহের চোখে দেখা হয়। আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতার কারণে মুসলিম বিশ্ব ক্ষুব্ধ। কমিউনিস্ট দেশগুলো ভারতকে দেউলিয়া এবং সম্ভাব্য বিপজ্জনক হিসেবে বিবেচনা করে, কারণ আমরা কমিউনিজমকে অগ্রগতির প্রধান শর্ত হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা অবশ্যই ঈশ্বরের পক্ষে, কিন্তু ঈশ্বর কি আমাদের পক্ষে?’ (তথ্য সূত্র : শ্রীনাথ রাঘবন রচিত অ্যা গ্লোবাল হিস্ট্রি অব দ্য ক্রিয়েশন অব বাংলাদেশ, পৃষ্ঠা-১৮৩)
অবশেষে ভারত ইসরাইলের কাছে ভারী অস্ত্রশস্ত্র, গোলবারুদ সাহায্য চায়। ইসরাইলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী গোল্ডা মেয়ারের লেখা চিঠি ইন্দিরা গান্ধীর কাছে পৌঁছায় সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে। প্রধানমন্ত্রী গোল্ডা মেয়ারের নির্দেশে ইসরাইল আগের মতোই অস্ত্র নির্মাণ স্থাপনা সালগাডের নির্বাহী পরিচালক শ্লোমো জাবলিউডুইচের তদারকিতে যুদ্ধকালে তেলআবিব কেবল অস্ত্রই নয়, সামরিক বিশেষজ্ঞ দিয়েও সাহায্য করেছে। এসব অস্ত্র ও ইনস্ট্রাক্টরদের এয়ার লিফটিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে ফেলা হয়। এই সম্পর্কের বাইরেও ইসরাইল তাদের একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে সরাসরি বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সাথে যোগাযোগ রাখত। সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রেও যে ইসরাইলের সক্রিয়তা ছিল তা মুজিব বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অন্যতম সংগঠক অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী তার গ্রন্থ ‘মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিব বাহিনী’র দু’টি স্থানে ইসরাইলের প্রতিনিধিদের সাথে তাদের যোগাযোগের স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন। বইয়ের ৪৭নং পৃষ্ঠায় তিনি লিখেছেন- ‘একপর্যায়ে মুজিব বাহিনীর ট্রেনিং ও অস্ত্রসম্ভার কমিয়ে দেয়ায় আমরা তাদের (ভারতের) মতিগতি সম্পর্কে আরো সন্দিহান হয়ে পড়লাম। এমতাবস্থায় আমরা বিকল্প উৎস হিসেবে ইসরাইলের সাথে সংযোগ স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করি।’ (তথ্য সূত্র : আলতাফ পারভেজ রচিত মুজিববাহিনী থেকে গণবাহিনী : ইতিহাসের পুনর্পাঠ, পৃষ্ঠা-৭৫)। উল্লেখ্য, ইসরাইলি স্বীকৃতির জন্য ১৯৭১ সালের এপ্রিলেরই একটি চিঠিতে প্রথম অনুরোধ করা হয়েছিল, বাংলাদেশ অস্থায়ী সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি নজরুল ইসলাম এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুশতাক আহমেদের কাছ থেকে। (তথ্য সূত্র : দৈনিক সংবাদ বুলেটিন, ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ নং ২৬ ইহুদি টেলিগ্রাফিক এজেন্সির প্রকাশিত) এমনকি ইসরাইল বিমানে করে ওষুধ সামগ্রীও পাঠায় যা পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অক্সফামের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং তা ব্রিটেনের অনুদান হিসেবে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। (তথ্য সূত্র : আলতাফ পারভেজ রচিত মুজিববাহিনী থেকে গণবাহিনী : ইতিহাসের পুনর্পাঠ, পৃষ্ঠা-৭৬)
পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করতে বিশেষ সফলতার প্রতীক হিসেবে ইসরাইল তার একটি সামরিক জাদুঘরে ভারতীয় ইস্টার্ন কমান্ডার জে এফ আর জ্যাকবের (বংশগতভাবে যে একজন ইহুদি ছিলেন) সামরিক পোশাকটি বিশেষ মর্যাদার সাথে সংরক্ষণ করছে।
এখন অনেকেই বলতে পারেন, জ্যাকব তো একজন ভারতীয় নাগরিক, তার পোশাক কেন ইসরাইলের জাদুঘরে রাখা হলো? এর কারণ, বিশ্বের সব ইহুদিই বাই ডিফল্ট ইসরাইলের নাগরিক। পৃথিবীর বৃহত্তম এবং সবচেয়ে শক্তিশালী মুসলিম দেশ ভাঙায় অবিশ্বাস্য সফল হওয়ার জন্য জ্যাকবকে এই সম্মাননা জানায় ইসরাইল। ইসরাইল সরকার তাকে কয়েকবার সম্মানিত করে। তার মৃত্যুর পরে, ২০১৯ সালে ইসরাইল দখলকৃত পূর্ব জেরুসালেমের স্কোপাস পাহাড়ের অ্যামিউনিশন হিলে অবস্থিত ইহুদিদের জাতীয় বীরদের সম্মানে বানানো ওয়াল অব অনারে জ্যাকবের নাম খচিত করেছে, যেখানে মাত্র ৩৬০ জন জাতীয় বীরের নাম খোদাই করা আছে। শুধু তাই নয়, পুরো মুসলিম জাতিকে ইসরাইল কতটা ছোটভাবে দেখাতে চেয়েছে এবং ইসরাইলের চেতনার প্রকাশ ভারতীয় মনোস্তত্তে¡ কত প্রবলভাবে শিকড় গেড়েছিল তার এক চমৎকার নজির দিয়েছেন খ্যাতনামা ভারতীয় সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার তার ‘বিয়ন্ড দ্য লাইনস’ নামক গ্রন্থের ২১৮নং পৃষ্ঠায়। সেখানে কুলদীপ দেখিয়েছেন, ১৫ ডিসেম্বরই পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণের জন্য প্রস্তুত থাকার পরও এবং সেভাবে প্রক্রিয়া শুরুর পরও কেন ২৪ ঘণ্টা পরে এবং নজিরবিহীনভাবে খোলা মাঠে এটি ঘটেছিল? জ্যাকব নায়ারকে জানান, ‘নিউ দিল্লি ওয়ান্টেড টু হিউমিলিয়েট ইসলামাবাদ বাই শোয়িং দ্যাট, মুসলিম ক্যান্ট্রি হ্যাড লেইড ডাউন আর্মস বিফোর অ্যা জিউ।’ (তথ্যসূত্র : আলতাফ পারভেজ রচিত মুজিববাহিনী থেকে গণবাহিনী : ইতিহাসের পুনর্পাঠ, পৃষ্ঠা-৭৩) আর এভাবেই মুসলিম বিশ্ব ভাঙার ক্ষেত্রে ইসরাইলের দূরদর্শী পরিকল্পনা ছিল আর আমরাও এর শিকার।
লেখক : সাবেক সহকারী নৌবাহিনী প্রধান ও উপ-উপাচার্য বিইউপি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা