বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্ক
- প্রফেসর এম এ রশীদ
- ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৩৭, আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৪১
বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও বহুমুখী সম্পর্ক বিদ্যমান। এ সম্পর্ক ছড়িয়ে আছে আমাদের পারস্পরিক শিক্ষা-সংস্কৃতি, অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, ও কূটনৈতিক নানা ক্ষেত্রে। ঐতিহাসিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের পাশাপাশি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়েছে।
অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক : তুরস্ক বাংলাদেশের এক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। বিশেষত পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ ও কৃষিজাত পণ্য বাংলাদেশ থেকে তুরস্কে রফতানি হয়। অন্য দিকে তুরস্ক থেকে বাংলাদেশে মূলত ইস্পাত, যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক পণ্য ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম আমদানি করে।
২০২১ সালে তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং এই প্রবৃদ্ধি উভয় দেশের জন্যই অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক প্রমাণিত হয়েছে। দুই দেশই তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার জন্য আগ্রহী এবং ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরো বাড়ানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (FTA) সম্ভাবনা : মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে শুল্কমুক্ত বা শুল্কছাড় সুবিধা বাড়বে, যা উভয় দেশের ব্যবসায়-বাণিজ্যের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে।
এফটিএ কার্যকর হলে : মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে বাংলাদেশ তার পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ ও কৃষিজাত পণ্যের রফতানি আরো বাড়াতে পারবে। এটি বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি বড় উৎস হয়ে উঠবে।
তুরস্ক তার ইস্পাত, যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সহজে ও কম খরচে বাংলাদেশে সরবরাহ করতে পারবে, যা বাংলাদেশের শিল্প ও অবকাঠামো খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
ভবিষ্যতের সম্ভাবনা : এফটিএ স্বাক্ষরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় দেশই বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে, যা তাদের কৌশলগত অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরো গভীর করবে।
প্রতিরক্ষা সহযোগিতা : সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ক আরো মজবুত করছে। তুরস্ক বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহকারী দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এবং এই সহযোগিতা বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আধুনিকীকরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
সামরিক সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি আমদানি : বাংলাদেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুরস্ক থেকে সামরিক সরঞ্জাম যেমন ড্রোন, রাডার সিস্টেম, সাঁজোয়া যান ও অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আমদানি করছে। তুরস্কের উন্নত সামরিক প্রযুক্তি, বিশেষত ড্রোন ও সাঁজোয়া যান, আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা শিল্পে অত্যন্ত প্রশংসিত।
এ ধরনের সরঞ্জাম বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরো আধুনিক ও শক্তিশালী করছে। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিরক্ষা শিল্পে প্রযুক্তি বিনিময় ও যৌথ উন্নয়নের সম্ভাবনা : তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা শিল্পে প্রযুক্তি বিনিময় ও যৌথ উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে তুরস্কের বিশেষ দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকায় বাংলাদেশ এই খাতে আধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা খাতের আরো উন্নয়ন ঘটাতে পারে। ভবিষ্যতে যৌথ বিনিয়োগ বা প্রযুক্তি সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশ তার নিজস্ব প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।
সামরিক প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় : দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতাবিনিময় চলছে। বাংলাদেশী সামরিক কর্মকর্তা ও সৈন্যরা তুরস্কে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন, যা তাদের সামরিক দক্ষতা ও পেশাগত উন্নয়নে সহায়ক হচ্ছে।
এসব প্রশিক্ষণ বিশেষ করে বিশেষায়িত সামরিক অপারেশন এবং কৌশলগত ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন ঘটাচ্ছে, যা বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে আরো দক্ষ ও কার্যকর করে তুলছে।
আঞ্চলিক নিরাপত্তায় সহযোগিতা : আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। উভয় দেশই দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আগ্রহী এবং এই সহযোগিতার মাধ্যমে আঞ্চলিক নিরাপত্তা আরো শক্তিশালী করা সম্ভব।
দুই দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা উভয়ের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরো দৃঢ় করছে এবং ভবিষ্যতে এই সহযোগিতা আরো সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে। সেটি হলে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় দীর্ঘমেয়াদি সুফল পাওয়া যাবে।
শিক্ষা ও সংস্কৃতি : বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সম্পর্ক ক্রমেই ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। দুই দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এর ফলে আরো মজবুত হচ্ছে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও বৃত্তি প্রদান : তুরস্ক বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন বৃত্তি প্রদান করে, যার ফলে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা তুরস্কের উচ্চমানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা ও গবেষণার সুযোগ পাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা তুরস্কে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি তুর্কি সংস্কৃতি ও ভাষা সম্পর্কেও জ্ঞানার্জন করেন, যা দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সংযোগকে শক্তিশালী করে।
সাংস্কৃতিক সম্পর্ক উন্নয়নে ইউনুস এমরে ইনস্টিটিউটের ভূমিকা : তুরস্কের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ‘ইউনুস এমরে ইনস্টিটিউট’ বাংলাদেশে তুর্কি ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের প্রচারণা এবং প্রশিক্ষণের জন্য কাজ করছে। এই ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে বাংলাদেশীরা তুর্কি ভাষা শেখার সুযোগ পাচ্ছেন এবং তুরস্কের ঐতিহ্য ও ইতিহাস সম্পর্কে গভীর জ্ঞানার্জন করতে পারছেন।
সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে ইউনুস এমরে ইনস্টিটিউট দুই দেশের মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক বোঝাপড়া বাড়াচ্ছে এবং উভয় দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান উৎসাহিত করছে।
ইউনুস এমরে ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে তুর্কি ভাষা প্রশিক্ষণ ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম আয়োজিত হয়, যেখানে বাংলাদেশী শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করে তুরস্কের সংস্কৃতি ও ভাষার সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পান। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনীর মাধ্যমে তুরস্ক ও বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য ও ঐতিহ্যকে উদযাপন করা হয়, যা দুই দেশের মধ্যে সখ্য বাড়াতে সহায়ক।
তুরস্ক ও বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো শিক্ষামূলক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনা করছে, যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ককে আরো ঘনিষ্ঠ করবে।
শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও তুরস্কের জনগণের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠছে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করবে।
শিক্ষা ও সংস্কৃতির মাধ্যমে এই সম্পর্ক গড়ে ওঠা শুধু দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতাই নয়; বরং তা পারস্পরিক সম্মান ও বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরো মজবুত করে।
কূটনৈতিক সম্পর্ক : বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে পারস্পরিক সহযোগিতা, আঞ্চলিক শান্তি ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সমর্থনের ওপর। উভয় দেশই বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে একে অপরের স্বার্থকে সমর্থন করে চলেছে।
রোহিঙ্গা সঙ্কটে তুরস্কের সমর্থন : রোহিঙ্গা সঙ্কট একটি গুরুতর মানবিক সঙ্কট এবং তুরস্ক এই ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। তুরস্ক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সহায়তা প্রদান করে এবং এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
তুরস্কের নেতারা রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়ে সরাসরি বক্তব্য প্রদান করেন এবং জাতিসঙ্ঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের অবস্থানকে সমর্থন জানিয়ে আসছেন।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে সহযোগিতা : জাতিসঙ্ঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশ ও তুরস্ক একে অপরের স্বার্থ ও নীতি সমর্থন করে। আন্তর্জাতিক শান্তি, উন্নয়ন ও মানবাধিকার রক্ষায় উভয় দেশই একে অপরের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে।
বিভিন্ন বৈশ্বিক ইস্যুতে যেমন জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মানবাধিকার, তুরস্ক ও বাংলাদেশ একযোগে কাজ করছে এবং পারস্পরিক সমর্থনের মাধ্যমে তাদের সম্পর্ক আরো দৃঢ় করছে।
কূটনৈতিক সংলাপ ও সফরবিনিময় : বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে নিয়মিত কূটনৈতিক সংলাপ ও উচ্চপর্যায়ের সফর বিনিময় হয়ে থাকে, যা উভয় দেশের পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সম্পর্ক উন্নত করতে সহায়ক। দুই দেশের নেতারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও দ্বিপক্ষীয় সফরে অংশগ্রহণ করেন এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো মজবুত করার বিষয়েও আলোচনা করেন।
ভবিষ্যতের সম্ভাবনা : ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরো গভীর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় দেশই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে একযোগে কাজ করার এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে একে অপরকে সমর্থন করার জন্য আগ্রহী।
কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এ সম্পর্ক দুই দেশের কৌশলগত বন্ধন মজবুত করছে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মানবিক সহায়তা : তুরস্কের ত্রাণ সংস্থা ও এনজিওগুলো বাংলাদেশে মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে, বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কট মোকাবেলায়। তুরস্কের বিভিন্ন মানবিক সংস্থা ও এনজিও বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে ত্রাণ ও সেবা প্রদান করছে।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় তুরস্কের ত্রাণ সংস্থাগুলোর ভূমিকা : তুরস্কের সরকারি ত্রাণ সংস্থা, বিশেষত তুর্কিশ কোঅপারেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন এজেন্সি (TIKA) এবং তুর্কিশ রেড ক্রিসেন্ট, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জরুরি ত্রাণ, খাদ্য, পানি, স্বাস্থ্যসেবা ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করে আসছে। এসব সংস্থার মাধ্যমে তুরস্ক রোহিঙ্গা সঙ্কটে সরাসরি অবদান রাখছে।
তুরস্কের এনজিও, যেমন ইহহা (ন্সঐঐ) হিউম্যানিটেরিয়ান রিলিফ ফাউন্ডেশন, রোহিঙ্গা শিবিরে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তায় কাজ করছে।
তুরস্কের সংস্থাগুলো শুধু ত্রাণসহায়তাই নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন প্রকল্পেও কাজ করছে। স্বাস্থ্যসেবা, নারী ও শিশুদের সুরক্ষা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা করছে, যা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়ক।
এসব প্রকল্প তুরস্কের উদ্যোগ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসন ও সুরক্ষায় বিশেষভাবে কার্যকর।
তুরস্কের মানবিক সহায়তা বাংলাদেশের জন্য একটি উদাহরণ তৈরি করেছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ সঙ্কটে আরো অবদান রাখতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
রোহিঙ্গা সঙ্কটের পাশাপাশি তুরস্কের এনজিও ও ত্রাণ সংস্থাগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন দুর্যোগ ও মানবিক সঙ্কটে সহায়তা প্রদান করে, যেমন বন্যা, ঘূর্ণিঝড় প্রভৃতি।
ভবিষ্যতে মানবিক সহযোগিতার সম্ভাবনা : তুরস্কের সহায়তা বাংলাদেশে তুরস্কের প্রতি এক ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করেছে এবং আন্তর্জাতিক মানবিক চেতনা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। ভবিষ্যতে দুই দেশ মানবিক সঙ্কট মোকাবেলায় আরো যৌথ উদ্যোগ নিতে পারে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে কৌশলগতভাবে আরো শক্তিশালী করবে।
বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিপক্ষীয়ভাবে লাভজনক। এতে উভয় দেশের অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়বে। তুরস্ক ও বাংলাদেশ নিজেদের কৌশলগত সহযোগী হিসেবে গড়ে তুলছে, যা ভবিষ্যতের জন্য একটি স্থিতিশীল ও গভীর সম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।
লেখক : সিনিয়র ফেলো, এসআইপিজি,
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি
e-mail : [email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা