০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩০, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৫
`

বাংলাদেশের সঙ্কট এবং উত্তরণ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন - ছবি : সংগৃহীত

এক.
বাংলাদেশের মানুষ ন্যূনতম মৌলিক অধিকার নিয়ে বাঁচার জন্য লড়াই করে আসছে যুগের পরে যুগ। সে সাথে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, শ্রমের ন্যায্য মজুরি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, ন্যায়বিচার, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, নিরপেক্ষ ভোটাধিকার, পরিবেশ, জলবায়ু, সামাজিক বৈষম্য, পুষ্টিহীনতাসহ অসংখ্য সঙ্কট থেকে উত্তরণের জন্যও বাংলাদেশের মানুষ সুদীর্ঘকাল সংগ্রাম করছে। বাংলাদেশে বিদ্যমান ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক সঙ্কট, নৈতিক মূল্যবোধ ও রাষ্ট্রীয় অস্থিরতা সৃষ্টির পেছনে অনুঘটক হিসেবে তথাকথিত বন্ধুরাষ্ট্রের নানা মেকানিজম কাজ করছে। ঠিক সাপ-লুডু খেলার মতো। একটু অসতর্ক হলেই এক ছোবলে প্রাণনাশ। এক দিকে দেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রাণপণ চেষ্টা অন্য দিকে পেছন থেকে রাশ টেনে ধরা। বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই অক্টোপাসের মতো চার দিক থেকে জাপটে ধরে রাখা। কথিত এই বন্ধুরূপী শত্রুতা দেশের জন্য অনেক বড় সঙ্কট হিসেবে দেখা দিয়েছে। নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে প্রধান বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে। আধিপত্যবাদী শক্তির দোসররা পদে পদে সঙ্কটের ফাঁদ পেতে আছে। দোসররা বাংলাদেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। লুটেরা শ্রেণীকে দোসর হিসেবে পেয়ে বাইরের শক্তি প্রতিনিয়ত নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

দুই.
বহিঃশক্তির মদদে তাদের দোসররা অপসংস্কৃতির চর্চা ও নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকে। তারা অপকর্মের মাধ্যমে নৈতিক মূল্যবোধের সঙ্কট সৃষ্টি ও রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। বিশৃঙ্খলাকে পুঁজি করে ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেন নামক সামরিক কূ’দেতা ঘটিয়ে ক্ষমতার পালাবদল ঘটায়। দেশী-বিদেশী চক্রের প্রধান টার্গেট জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় সংহতি বিনষ্ট করা এবং সমাজের সর্বত্র হিংসা-বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়িয়ে দেয়া। ওরা সুযোগ মতো দেশের সম্পদ লুটপাট ও পাচার করে বিদেশে নিয়ে যায়। ওয়ান-ইলেভেন-পরবর্তী দুই বছর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির কথা বলে পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভয়াবহ বিভাজন সৃষ্টি করে। ২০০৮ সালে পাতানো নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসায়। পূর্ব পরিকল্পনামতো ২০০৯ সালে বিডিআর ম্যাসাকার, ২০১৩ সালে হেফাজত গণহত্যা, ২০১৪ সালে সুজাতা সিংয়ের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে বিনা ভোটের নির্বাচন, ২০১৮ রাতে ২০২৪ সালে দিনের বেলায় কারসাজির ভোট, দেশব্যাপী গুম-খুন, অপহরণ, ব্যাংক লুট, গায়েবি মামলা, প্রশাসন-আদালত দলীয়করণ, নৈতিক মূল্যবোধের ভয়াবহ অবক্ষয় এবং রাষ্ট্রের চেইন অব কমান্ড ধ্বংস করে দেশব্যাপী এক বিভীষিকাময় ফ্যাসিবাদ কায়েম করে। দেশ থেকে মানবতা, ন্যায়বিচার, আইনের শাসন ও ভোটের অধিকার নির্বাসনে পাঠায়।

বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সাথে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত ফ্যাসিজমের জাঁতাকলে পিষ্ট হতে থাকে।

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলের ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্যায়ে ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের চূড়ান্ত পর্বে সাধারণ সৈনিক ও জুনিয়র সামরিক অফিসাররা জনতার ওপর গুলি চালাতে অস্বীকার করে। ফলে রাজনৈতিক দল, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ছাত্র আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানে পরিণত ও সফল হয়। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পরাজয়ের কলঙ্ক মাথায় নিয়ে দিল্লিতে পালিয়ে যায়। পরাজয় থেকে কোনো শিক্ষা না নিয়ে শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য প্রতিনিয়ত উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। তার উসকানিতে তার দোসররা দেশব্যাপী ডাকাতি, আনসার বিদ্রোহ, পাহাড়ে সশস্ত্র সঙ্ঘাত, গার্মেন্ট, ওষুধ কারখানায় শ্রমিক হত্যা ও উৎপাদন বাধাগ্রস্ত করা, ট্রাম্পের ছবি নিয়ে বিক্ষোভ, গুপ্তহত্যা, নানা জায়গায় অগ্নিসংযোগ করে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি সাধনের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ গণ-অভ্যুত্থান থেকে শিক্ষা না নিয়ে একটার পর একটা অপরাধ সংগঠিত করছে। পলাতক শেখ হাসিনা সর্বক্ষণ সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি বিনষ্ট এবং ঘৃণা, হিংসা ও বিদ্বেষ সৃষ্টিতে লিপ্ত হয়েছে।

তিন.
অনেক দেশের বিপ্লব ও সংগ্রাম বিশ্ব রাজনীতিতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তার করে রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ১৭৭৬ সালে আমেরিকার স্বাধীনতা সংগ্রাম, ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লব-পরবর্তী ইউরোপীয় দেশগুলোতে স্বাধীনতা, সাম্য ও মৈত্রীর নবউত্থান, ১৯১৭ সালে সোভিয়েট বলশেভিক বিপ্লব-পরবর্তী সমাজতন্ত্রের উত্থান, দীর্ঘ লংমার্চের ধারাবাহিকতায় ১৯৪৯ সালে চীনা জনগণের বিপ্লবী বিজয়, ভিয়েতনামের জনগণের দীর্ঘ লড়াই শেষে যুদ্ধজয়, ল্যাটিন আমেরিকার স্বাধীনতা সংগ্রাম ও কিউবা বিপ্লব, কোরিয়ার স্বাধীনতা এবং ইরানের ইসলামী বিপ্লব নিজ নিজ জনপদের মানুষের ভাগ্য বদলই শুধু নয়, সভ্যতার অগ্রগতিতে বিরাট প্রভাব বিস্তার করে রয়েছে। অন্য দিকে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশের পাশাপাশি পাক-ভারত উপমহাদেশের প্রতিটি দেশের জনগণ অধিকার আদায়ের দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী লড়াই সংগ্রামে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা সত্ত্বেও বিজয়ের সুফল বারবার বেহাত হয়ে গেছে।

সর্বশেষ ফ্যাসিস্ট হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার বীরত্বপূর্ণ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে বিজয়ী সুফল জনগণের দোরগোড়ায় কতটুকু পৌঁছাবে সেই চ্যালেঞ্জ সামনে এসেছে।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বিশ্বের প্রভাবশালী টাইম ম্যাগাজিন ২০০৬ সালে বস্তুনিষ্ঠ এক রিপোর্ট প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ইমাজিং টাইগার আখ্যা দেয়া হয়। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.৯ শতাংশ। প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য মন্তব্যে বলা হয়, যে হারে প্রবৃদ্ধি এগোচ্ছে, সে ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী এক দশকে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণ হওয়ার কথা ছিল। বাংলাদেশের সম্ভাব্য সাফল্য ঈর্ষান্বিত বহিঃশক্তির প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেন কূ’দেতার মাধ্যমে একটি পুতুল সরকার ক্ষমতায় বসে। তার পর বাংলাদেশের জিডিপি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল পাচার করে বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির পিঠে ছুরিকাঘাত করে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি এখন নতুনভাবে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদদের দায়িত্ব এটি নিশ্চিত করা যে, আর কোনো ভুল যেন দেশকে পেছনে ঠেলে না দেয়।

চার.
জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে নানা উদ্দেশ্যমূলক ঘটনা প্রতিঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে ইসলামের ইতিহাসের সাড়াজাগানো ওহুদের যুদ্ধের রেফারেন্স উঠে আসে। ওহুদের যুদ্ধে রাসূলের নির্দেশ ছিল রণাঙ্গনে যুদ্ধের ফলাফল যাই হোক না কেন, গিরিপথ পাহারার দায়িত্বে নিয়োজিত সৈনিকরা যেন কোনো অবস্থাতেই গিরিপথ ছেড়ে না যায়। কিন্তু ওহুদের রণাঙ্গনে গিরিপথ পাহারায় নিয়োজিত সৈনিকরা নির্দেশ অমান্য করে গিরিপথের পাহারা ছেড়ে দিয়ে গণিমতের মাল লুটপাট করতে শুরু করে। গিরিপথ অরক্ষিত পাওয়ার সুযোগে শত্রু সৈন্য গিরিপথ দিয়ে এসে পাল্টা আক্রমণ করে। ওহুদের নিশ্চিত বিজয় শুধু হাতছাড়া করেনি, মর্মান্তিক পরাজয় ডেকে আনে। ওহুদ যুদ্ধের মর্মান্তিক ফলাফল শুধু ইসলামের ইতিহাসেই নয়, মানব জাতির ইতিহাসে শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। যে জাতি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়েছে তাদেরকে কেউ পেছনে ফেলতে পারেনি। আমাদেরও ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘরে-বাইরের চক্রান্ত ও বিশৃঙ্খলা শক্ত হাতে দমন করে এগিয়ে যেতে হবে। বহু ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়ের সুফল জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।

উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়, বেশির ভাগ উন্নত দেশে বিজয়ী শক্তি জনগণের মৌলিক অধিকার, শ্রমের মর্যাদার সাথে সাথে মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করে। উন্নত দেশে তারা তাদের দেশের সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার, শ্রম ও মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের সমৃদ্ধি অর্জন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের পিছিয়ে থাকার মূল কারণ- এ অঞ্চলের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার, শ্রম ও মানুষের মর্যাদা নেই। বাংলাদেশে জনগণের মৌলিক অধিকার, শ্রম ও মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। উপরন্তু মাথাভারী প্রশাসন জনগণকে বঞ্চিত রেখে রাষ্ট্রের কর্ণধারদের সুযোগ-সুবিধা ও বেতন উঁচু করেছে। রাষ্ট্র ভুল পথ অনুসরণ করায় বিশৃঙ্খলা, বৈষম্য ও দুর্নীতি বন্ধ করে দেশ স্থিতিশীলতা অর্জন করতে পারছে না; বরং ভ্রান্ত নীতির কারণে ব্যাঙের ছাতার মতো দুর্নীতি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি দুর্নীতির ব্যাধি এখন রাজনীতিকেও সংক্রমিত করেছে। মানুষ চায় রাজনীতি যারা করবে তারা যেন দুর্নীতি পরিহার করে দেশ ও মানুষের জন্য ভালো কিছু করে। তারাই রাজনীতি করুক যারা ভোগবিলাসে মত্ত হবে না। নিজের জন্য যারা কিছু করতে চায় তাদের রাজনীতি নয়, ব্যবসায় বা অন্য কিছু করা উচিত।

পাঁচ.
বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতাকর্মী-সমর্থক চায় সমাজ থেকে অবিচার, দুর্নীতি ও শোষণের অবসান ঘটুক। ভাগ্যাহত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাক। বৈষম্য থেকে মুক্তি এবং সামাজিক কল্যাণের প্রত্যয় নিয়ে অগণিত কিশোর, তরুণ ও যুবশক্তি বিপদসঙ্কুল পথে বাংলাদেশে রাজনীতি করছে। কিশোর বয়সের ভাবাবেগ পেরিয়ে অসংখ্য রাজনৈতিক নেতাকর্মী আজো চরম প্রতিকূলতার মধ্যে ন্যায্যতা, সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথ অনুসরণ করে চলছে। এই পথ অনুসরণ করতে গিয়ে বারবার তাদের কারানির্যাতন ভোগ করতে হয়। তার পরও বেশির ভাগ রাজনৈতিক নেতাকর্মী ব্যক্তিস্বার্থ পরিহার করে সত্য ও ন্যায়ের পথে অগ্রসর হচ্ছে। বারবার অপমানিত ও নানা ব্যর্থতার অভিযোগ তাদের মাতা পেতে নিতে হয়। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তারা এতটুকু দমে যায়নি। সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে তারা এখনো অঙ্গীকারবদ্ধ। লাখো ছাত্র, শ্রমিক ও ভাগ্যাহত মেহনতি মানুষ তাদের শ্রম, ঘাম ও জীবনের বিনিময়ে বারবার বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে আসে। যে সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে এবং যাদের জন্য জীবন বাজি রেখে বারবার বিজয় ছিনিয়ে আনা সেই সাধারণ মানুষ আজো সবচেয়ে বঞ্চিত। বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের অধিকার পদদলিত করার জন্য আধিপত্যবাদ ও তার দোসররা সম্মিলিতভাবে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। পরাজিত ফ্যাসিবাদের দোসররা সমাজের সর্বস্তরে দুর্নীতি, নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটিয়ে এবং বিশৃঙ্খলা ও অবিশ্বাস তৈরি করে গেছে। ফলে সাধারণ মানুষ সহজে কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না। এতদসত্ত্বেও ছাত্র, শ্রমিক, জনতা আধিপত্যবাদ ও তাদের দোসরদের চরম লুটপাট ও জুলুমের বিরুদ্ধে শোষণ, বঞ্চনামুক্ত ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়ে গণ-অভ্যুত্থানের নতুন ইতিহাস রচনা করেছে। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি গণমানুষের মুক্তির প্রত্যয় হয়ে উঠুক। সমাজে ন্যায্যতা, সমতা, সততা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক। আইনের শাসন, মানবিকতা, গণতন্ত্র ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠাই হোক আমাদের রাজনীতির মূলমন্ত্র।

লেখক : বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী


আরো সংবাদ



premium cement