২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
সঙ্কুচিত ক্ষমতাকেন্দ্র

স্বৈরাচার প্রতিরোধী সরকার-কাঠামো

-

যুক্তরাষ্ট্রের শাসনতন্ত্রের অন্যতম প্রণেতা এবং চতুর্থ প্রেসিডেন্ট জেমস মেডিসন লিখেছিলেন, ‘মানুষ যদি ফেরেশতা হতো, কোনো সরকারের প্রয়োজন হতো না। ফেরেশতারা যদি মানুষকে শাসন করত, সরকারের ওপর বাইরের বা অভ্যন্তরীণ কোনো নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন হতো না। মানুষকে শাসন করার জন্য মানুষের দ্বারা সরকার গঠনের সমস্যা হচ্ছে : প্রথমে সরকারকে ক্ষমতাবান করতে হবে, যেন সরকার শাসিতদের (জনসাধারণ) নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং পরে সরকারকেই বাধ্য করতে হবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার।’

আমরা জানি, শাসন করার জন্য ক্ষমতার প্রয়োজন। কিন্তু ক্ষমতা মানুষকে শুধু কলুষিত করে তা নয়, কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা মানুষের কলুষতাকে মানবেতর পর্যায়ে পৌঁছে দেয় যার নজির আমাদের দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাস। শাসনক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপচেষ্টার জন্য আমরা বিভিন্ন দল বা নেতৃত্বকে দোষারোপ করতে পারি কিন্তু আমাদের মানতে হবে যে, এটি মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। মানুষ যেহেতু ফেরেশতা নয় এবং মানুষকে যারা শাসন করার সুযোগ পায় তারাও ফেরেশতা নয়, তাই ক্ষমতার কেন্দ্রীভূতকরণ ও নিয়ন্ত্রণহীন প্রয়োগ বন্ধ করার জন্য উপযুক্ত সরকার কাঠামো নির্ধারণ যেকোনো রাষ্ট্রের জন্য একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ।

ইউরোপীয় রেনেসাঁর যুগে একটি অর্থনৈতিক প্রশ্ন চিন্তাবিদদের আলোড়িত করেছিল : কেন কিছু কিছু দেশ অন্যদের তুলনায় বেশি সম্পদশালী? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে অ্যাডাম স্মিথ সাড়াজাগানো বই An Inquiry into the Nature and Causes of the Wealth of Nations রচনা করেন। এই বইতে স্মিথ দেখিয়েছেন, অধিক সম্পদশালী দেশগুলোর অর্থনীতি অনেক বেশি শ্রমবিভাজন ও বিশেষায়ন-নির্ভর। অ্যাডাম স্মিথের অর্থনীতি-ভাবনার প্রতিফলন দেখা যায় সমসাময়িক রাষ্ট্র বিজ্ঞানী বা রাষ্ট্রচিন্তকদের ভাবনায়। তাই রেনেসাঁ যুগের রাষ্ট্রচিন্তকরা রাষ্ট্রক্ষমতার নিয়ন্ত্রণহীন প্রয়োগ ও কুক্ষিগতকরণ নিবারণের উপায় হিসেবে ক্ষমতাকেন্দ্রের পৃথকীকরণ ও কর্ম- বিভাজনের ওপর জোর দেন।

ক্ষমতার পৃথকীকরণ ও কর্ম-বিভাজনের মাধ্যমে এক দিকে রাষ্ট্রক্ষমতার কুক্ষিগতকরণ নিবারণ হয় যথেষ্ট পরিমাণে, অন্য দিকে রাষ্ট্রক্ষমতার প্রয়োগও সংযত ও দায়িত্বশীল হয়। ফলে সরকারের স্বৈরাচারী হয়ে ওঠার প্রবণতা (tendency) হ্রাস পায় এবং চৌহদ্দি (space) সঙ্কুচিত হয়। কিন্তু রূপ জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক সরকারের কোনো একক (unique) কাঠামো নেই যা সব দেশে, সব সময়ে, সমানভাবে কার্যকরী হবে। তাই দেশের সচেতন নাগরিক সমাজকে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা ও গ্রহণ-বর্জনের মাধ্যমে এরকম যুগোপযোগী একটি সরকারপদ্ধতি উদ্ভাবন করতে হবে, যা সমকালীন চাহিদার পরিপূরক হয়। তেমনি একটি সরকারপদ্ধতির রূপরেখা সংশ্লিষ্টদের বিবেচনার জন্য আমরা এখানে উপস্থাপন করতে চাই।

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ

বর্তমান বিদ্যমান সাংবিধানিক কাঠামোর অধীনে দেশের সর্বময় ক্ষমতার কেন্দ্র হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ। এই সংসদ এককক্ষবিশিষ্ট। এই ক্ষমতাকেন্দ্রকে সঙ্কুচিত বা সংযত করার একটি উপায় হচ্ছে সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট (bi-cameral) করা যেন একটি কক্ষ অপর কক্ষের বিপরীতে counter weight অর্থাৎ প্রতিরোধক বা প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করতে পারে। অতএব দেশের শাসন ব্যবস্থায় স্বৈরাচারী প্রবণতা রোধ করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের দু’টি কক্ষ থাকবে ১. নিম্নকক্ষ বা সংসদ ও ২. উচ্চকক্ষ বা সিনেট।

সংসদ নির্বাচন, সরকার গঠন ও কার্যাবলি

জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ বা সংসদ ব্রিটেনের ওয়েস্টমিনস্টার পদ্ধতির হাউজ অব কমন্সের মতো ক্ষমতা ও দায়িত্ব পালন করবে। সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ‘সংসদ সদস্য’ হিসেবে পরিচিত হবেন। সারা দেশকে ৩০০টি (কমবেশি হতে পারে) নির্বাচনী এলাকায় বিভক্ত করে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকা থেকে সর্বাধিক বৈধ ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্য হিসেবে ঘোষণা করা হবে। সংসদ সর্বোচ্চ চার বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হবে। সংসদ সদস্যদের মেয়াদ বা কার্যকাল সংসদের মেয়াদের ওপর নির্ভর করবে।

সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বা জোট থেকে ‘সংসদ নেতা’ মনোনীত হবেন। সংসদ নেতাকে রাষ্ট্রপতি সর্বোচ্চ চার বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করবেন। প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের নিয়ে সরকার গঠন ও পরিচালনা করবেন। প্রধানমন্ত্রী যত দিন সংসদের আস্থাভাজন থাকবেন, তত দিন দায়িত্ব পালন করবেন। তবে কোনো অবস্থাতে কেউ ব্যক্তিগতভাবে দুই মেয়াদ বা আট বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। সংসদ সদস্যরা আস্থা ভোট ও অর্থবিল ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রেই নিজেদের বিবেচনামতো ভোট দিতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা সংসদের কাছে জবাবদিহি করবেন। মন্ত্রিসভার এক-তৃতীয়াংশ বা কম সদস্য সিনেট থেকে মনোনীত হতে পারবেন।

সিনেট নির্বাচন, গঠন ও কার্যাবলি

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষ বা সিনেটের সদস্যরা ‘সিনেটর’ নামে অভিহিত হবেন। সিনেটের সদস্য সংখ্যা হবে ১০০ জন (কমবেশি হতে পারে)। এই ১০০টি সিনেটর পদের মধ্যে ৫০টি পদ জাতীয় নির্বাচনের সময় প্রদত্ত মোট ভোটের বিপরীতে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি রাজনৈতিক দল বা জোটের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে বণ্টন করা হবে। বাকি ৫০টি পদের জন্য জাতীয় নির্বাচনের দুই বছর পর আলাদাভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের জন্য সারা দেশে একই ব্যালট পেপার ব্যবহৃত হবে। এই ব্যালট পেপারে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর নাম এককভাবে বা জোটগতভাবে থাকবে। একই রকম ব্যালটের ওপর সারা দেশের সব নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দেবেন। সারা দেশের ভোট গণনা শেষে সম্মিলিতভাবে যে দল বা জোট মোট প্রদত্ত ভোটের যত শতাংশ পাবে সেই হারে সংশ্লিষ্ট দল বা জোট সিনেটের বাকি ৫০টি আসন ভাগ করে নেবে। সিনেটররা ব্যক্তিগতভাবে চার বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হবেন। তবে সিনেটের কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকবে না। এটি হবে একটি চলমান (Perpetual) প্রতিষ্ঠান।

সিনেটের প্রধান কাজ হবে নিম্নকক্ষ বা সংসদ কর্তৃক প্রস্তাবিত বাজেট ও অন্যান্য বিল নিরীক্ষণ, পর্যালোচনা ও অনুমোদন করে রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য প্রেরণ করা কিংবা পুনর্বিবেচনার জন্য নিম্নকক্ষ বা সংসদে ফেরত পাঠানো। এ ছাড়া সিনেট রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রস্তাবিত প্যানেল থেকে হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারপতিকে; সশস্ত্রবাহিনীর প্রধানকে (সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী), বিডিআর প্রধানকে; নির্বাচন কমিশনের প্রধান ও সদস্যদেরকে; দুর্নীতি তদন্ত কমিশনের প্রধান ও সদস্যদেরকে; পিএসসি, ইউজিসির প্রধান ও সদস্যদেরকে যাচাই-বাছাই শেষে অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান করবে।

সিনেট প্রয়োজন বোধ করলে জনগুরুত্ব সম্পন্ন বিষয়ে নতুন আইন কিংবা বিদ্যমান আইনের সংশোধনী পাস করে নিম্নকক্ষ বা সংসদের সম্মতির জন্য প্রেরণ করতে পারে। নিম্নকক্ষের সম্মতিসাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি সেটি অনুমোদন বা পুনর্বিবেচনার জন্য ফেরত পাঠাতে পারেন।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলি

বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য একজন রাষ্ট্রপতির বিধান বর্তমান শাসনব্যবস্থায় রাখা হয়েছে। কিন্তু এই রাষ্ট্রপতি নিধিরাম সরদার ছাড়া কিছু নন। অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এত বেশি ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত যে, বর্তমান শাসনপদ্ধতির অধীনে কেউ একবার প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসে যেতে পারলে তিনি যেন পৃথিবীতে (অন্তত বাংলাদেশের মাটিতে) সর্বেসর্বার আসনে বসে যান। আর তার চার দিকে ক্ষমতালোভী, সুবিধালোভী ব্যক্তিরা স্রষ্টার পরিবর্তে দিন-রাত প্রধানমন্ত্রীর ইবাদত (চাটুকারিতা) করতে থাকে। তাই প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন ব্যক্তির স্বৈরাচারী হয়ে ওঠার পথ রুদ্ধ করতে হলে এ পদের ক্ষমতা কমাতে হবে। সুনির্দিষ্ট কতগুলো ক্ষমতা আমরা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত করতে পারি। সে জন্য রাষ্ট্রপতির পদটি শক্ত ভিত্তির ওপর বসাতে হবে।

রাষ্ট্রপতি জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদের নির্বাচনের সময় একই সাথে সংসদের ৩০০ সদস্য এবং একজন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য জনগণ ভোট দেবেন। নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি সংসদের প্রথম অধিবেশনের ছয় সপ্তাহ পর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। রাষ্ট্রপতি সর্বোচ্চ চার বছরের জন্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন। নির্বাচনে কেউ এককভাবে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পেলে প্রাপ্ত ভোট অনুযায়ী প্রথম ও দ্বিতীয় প্রার্থীর মধ্যে মধ্যে পুনর্নির্বাচন হবে। কেউ দুই মেয়াদের বেশি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন না।

রাষ্ট্রপতি সংসদ নেতাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকার গঠনের দায়িত্ব দেবেন। এ ছাড়া সশস্ত্রবাহিনীর প্রধান, বিডিআর প্রধান, প্রধান বিচারপতি ও অপরাপর বিচারপতি, দুর্নীতি দমন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, নির্বাচন কমিশন প্রধান ও অন্য সদস্যদের সিনেটের অনুমোদনক্রমে নিয়োগ দেবেন। রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর রাষ্ট্রপতির প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসনের (impeachment) জন্য জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষের অর্থাৎ সিনেট ও সংসদ উভয় কক্ষের (পৃথকভাবে) দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোট লাগবে।

নির্বাচন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি), দুর্নীতি দমন কমিশন, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন রাজস্ব বাজেট থেকে নির্দিষ্ট শতাংশ হারে বরাদ্দ পাবে এবং স্বতন্ত্রভাবে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেবে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ও কর্তৃত্বে নিম্ন ও উচ্চ আদালতের বিচারকদের নিয়োগ-বদলি ইত্যাদি পরিচালিত হবে। নির্বাচন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন নিজ নিজ প্রধানের পরিচালনায় স্বতন্ত্রভাবে নিযুক্ত জনবলের সাহায্যে স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের দেশে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন এটি আমরা প্রায় সবাই বিশ্বাস করি। নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রয়োজন। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন প্রক্রিয়াকে ক্ষমতাসীন সরকার (incumbent government), যাতে কোনো অবৈধ উপায়ে প্রভাবিত করতে না পারে, সে জন্য আমরা দৈবচয়ন (random) পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারি।

জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে সর্বোচ্চ তিন মাস মেয়াদি। সংসদের মেয়াদপূর্তির তিন সপ্তাহ আগে রাষ্ট্রপতি আগ্রহী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য (জেনারেল পদমর্যাদার), সচিব, হাইকোর্টের বিচারপতি থেকে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে একজন প্রধান উপদেষ্টা ও ৯ জন উপদেষ্টা নিয়ে একটি কাউন্সিল গঠন করবেন যারা বিদায়ী সরকারের স্থলাভিষিক্ত হবেন। জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করাই হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান দায়িত্ব।

সতর্কতামূলক পদক্ষেপ :

১. তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো সদস্য তাদের অধীনে নির্বাচিত কোনো সরকারের কোনো মনোনয়ন/অনুদান/নিয়োগ গ্রহণ করতে পারবেন না।

২. কোনো ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির পদ জীবনে দু’বারের বেশি অলঙ্কৃত করতে পারবেন না। কেউ একই সাথে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। তেমনি কেউ একই সাথে সিনেটর ও সংসদ সদস্য হতে পারবেন না।

সবশেষে একটি কঠিন বাস্তবতার কথা বলতে চাই। উপস্থাপিত পদ্ধতি যতই গণতান্ত্রিক, ক্ষমতার কেন্দ্রীভূতকরণ ও স্বৈরাচার-প্রতিরোধী এবং জনগণের ক্ষমতায়নের উপযোগী হোক না কেন, এ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ এ রকম বিভাজিত সরকারপদ্ধতি পছন্দ নাও করতে পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ক্ষমতার কেন্দ্রীভূতকরণ সহজ হয় এমন কোনো সরকার পদ্ধতি আমরা যেন বেছে না নিই। কারণ কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা স্বৈরাচারের জন্ম দেয়। সচেতন নাগরিক সমাজ, সংবাদমাধ্যম ও সাধারণ জনগণের দায়িত্ব হচ্ছে, দেশের ও জনগণের স্বার্থে উপযুক্ত সরকারপদ্ধতি বাছাই করতে রাজনীতিকদের উদ্বুদ্ধ করা, প্রয়োজনে বাধ্য করা। সে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক এটিই প্রার্থনা।

লেখক : সাবেক চেয়ারম্যান, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
e-mail : [email protected]


আরো সংবাদ



premium cement
নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে অচল আশুগঞ্জ নদীবন্দরের কার্যক্রম আজারবাইজানি বিমান বিধ্বস্তের আগে ইউক্রেন ড্রোন হামলা চালাচ্ছিল ব্রাজিলে সেতু ধসে নিহত বেড়ে ১০ দূষিত শহরের তালিকায় বিশ্বে দ্বিতীয় ঢাকা ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ আইএসপিআরের সপ্তাহের মাঝামাঝি সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশে সীমাবদ্ধতা নিয়ে যা জানালো সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে পরকীয়া প্রেমিকের ধর্ষণের শিকার ইউপি সদস্যের মৃত্যু, গ্রেফতার ১ ১৩ বছর পর দেশে ফিরেছেন কায়কোবাদ অর্থপাচারের ফাইল নষ্ট করতেই সচিবালয়ে আগুন দেয়া হয়েছে : রিজভী

সকল