২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

খালেদা জিয়াকে বাড়িছাড়া : হাসিনা দেশ ছাড়া!

খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা - ফাইল ছবি

বাংলা ভাষায় বহুল প্রচলিত একটি প্রবাদ বাক্য আছে, ‘অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়লে সে গর্তে নিজেকেই পড়তে হয়।’ শেখ হাসিনা গত ১৬ বছরে অন্যকে ফাঁসানোর জন্য এরকম বহু গর্ত তৈরি করেছেন। শেষ পর্যন্ত সেই সব গর্তে নিজেই পড়েছেন।

ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে, Morning Shows the Day অর্থাৎ প্রত্যুষেই বোঝা যায় দিনটি কেমন যাবে। এই প্রবাদের আলোকেই ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাদের অসহিষ্ণু মনে হচ্ছিল। বোঝা যাচ্ছিল তারা বাকশালের দিকেই যাবে।

যেভাবে বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ির লিজ বাতিল করা হয় : আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দুর্বার গতিতে যাত্রার ৯৩তম দিবসে একটি ন্যক্কারজনক সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্তটি হলো, বিএনপি চেয়ারপারসন এবং সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে ঢাকা সেনানিবাসে শহীদ মইনুল রোডে যে বাড়িটি দেয়া হয়েছিল লিজ ডকুমেন্ট সম্পাদন করে, সেই লিজ বাতিল হবে। সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ৮ এপ্রিলের বৈঠকে।

সংবাদপত্র সূত্রে জানা গেছে, ক্যাবিনেট মিটিংয়ের নির্ধারিত আলোচ্যসূচিতে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ৮ এপ্রিল মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে সরকারি জলমহাল বরাদ্দসংক্রান্ত নীতিমালার খসড়া পর্যালোচনাই ছিল একমাত্র অ্যাজেন্ডা। বিবিধ আলোচনার সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো: আবদুল আজিজ খালেদা জিয়ার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ির বরাদ্দ বাতিলের প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে আরো জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ির বরাদ্দ বাতিলের পক্ষে মত ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমার ঢাকায় কোনো বাড়ি না থাকায় গণভবন বরাদ্দ নিয়েছিলাম। আমার ছোট বোনকেও একটি বাড়ি বরাদ্দ দিয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তী সরকার আমাদের নামে নেয়া বাড়ি দু’টির বরাদ্দ বাতিল করে দেয়। আমার নামের বাড়ির বরাদ্দ বাতিল হবে আর ওনার নামে নেয়া বাড়ির বরাদ্দ থাকবে- এক দেশে দুই নিয়ম চলতে পারে না।’

নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী এক দেশে দুই নিয়ম চলতে পারে না, চলতে দেয়া উচিত নয়। তার এই নৈতিক ও আইনগত অবস্থানের সাথে দ্বিমত পোষণের কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আসলেই কি দুই নিয়মের কোনো বিষয় এখানে আছে? বেগম খালেদা জিয়াকে যখন বাড়িটি বরাদ্দ দেয়া হয়, তখন তিনি ক্ষমতাসীন ছিলেন না। তিনি দরখাস্ত করে বরাদ্দও চাননি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা যেভাবে নিজে সভাপতিত্ব করে মন্ত্রিসভার মিটিংয়ের মাধ্যমে নিজ নামে বাড়ি বরাদ্দ করিয়ে নিয়েছেন, সে রকম কোনো কাজও বেগম খালেদা জিয়া করেননি। তাহলে এক দেশে দুই নিয়ম হলো কী করে?

২০০১ সালে বিচারপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনার বরাদ্দপ্রাপ্ত বাড়ি বাতিল করেছিল, বেগম খালেদা জিয়ার সরকার তাদের বাড়ি বাতিল করেনি। গণভবন কি শহীদ মইনুল রোডের বাড়িটির সাথে কোনোক্রমে তুলনীয় হতে পারে? গণভবন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। বঙ্গভবন আরো অধিক মর্যাদাপূর্ণ। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের পরিচয়বাহী এসব ভবন ও স্থাপনা বিনিময়যোগ্য নয়। নয় হস্তান্তরযোগ্য। আমেরিকার হোয়াইট হাউজ কি দোর্দণ্ড প্রতাপ কোন প্রেসিডেন্ট নিজের নামে লিখে নিতে পারতেন? ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাড়িটি কি কোনো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নিজ নামে লিখে নিতে পারেন? মস্কোর ক্রেমলিন প্রাসাদ? এই সামান্য বোধশক্তিও শেখ হাসিনা হারিয়ে ফেলেছিলেন।

শহীদ জিয়া সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ নিযুক্ত হলে ওই বাড়িটি তার বাসভবন হিসেবে বরাদ্দ পান। পরে তিনি চিফ অব স্টাফ হয়েছেন, রাষ্ট্রপতি হয়েছেন; কিন্তু এই বাড়িটি ছেড়ে আরো উন্নতমানের কোনো বাড়ি বা বঙ্গভবনে বসবাসের কথা তিনি ভাবেননি। এটি ছিল তার বিনম্র্র মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।
তিনি যখন শহীদ হলেন, তখন দেখা গেল তার স্ত্রী এবং দুই সন্তানের মাথা গোঁজার মতো কোনো ঠাঁই নেই। নেই কোনো সহায়-সম্বল। রাষ্ট্রপ্রধান হয়েও জিয়া তার নির্ধারিত বেতন ও পারিতোষিকের মধ্যেই কৃচ্ছ্রতার সাথে দিনযাপন করেছেন। তার ব্যক্তিগত সততা ছিল প্রশ্নাতীত।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন জন জিয়া পরিবারকে জমি ও বাড়িঘর দেয়ার আশ্বাস দিলো। সেসব প্রস্তাবে বেগম খালেদা জিয়া কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন; কিন্তু সেসব প্রস্তাব গ্রহণ করে বিষয়সম্পদের প্রতি মোহ প্রদর্শন করেননি।

পরে সংসদে বিস্তারিত আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে বেগম খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের ওই বাড়িটি দলিলমূলে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বরাদ্দ দেয় ওই সময়ের সরকার। একজন মহান মুক্তিযোদ্ধা, যার স্বাধীনতার ঘোষণায় দিশেহারা জাতি পথচলার দিশা খুঁজে পায় তার পরিবারকে দেয়া কৃতজ্ঞ জাতির একটি বাড়ি প্রতিশোধের বশে কেড়ে নেয়ার চেয়ে হীনতা ও নীচুতা আর কী হতে পারে!

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ১৯৯৬-২০০১ পর্বে চেষ্টা করেছিল বেগম খালেদা জিয়ার ক্যান্টনমেন্টের বাড়িটি কেড়ে নেয়ার। কিন্তু ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কাজটি বেআইনি হবে ‘মত’ দেয়ার ফলে সে সময় আওয়ামী লীগ সরকার এই অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে পারেনি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদে তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মদদে বলীয়ান হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার দিগি¦দিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে।

আইনগতভাবে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির আগে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ : আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল মন্ত্রিসভায় আইনগত ত্রুটির কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়িটির ইজারা বাতিল করে। এরপর ২০ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে ১৫ দিনের মধ্যে তার সেনানিবাসের বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেয় সামরিক ভ‚মি ও সেনানিবাস অধিদফতর। ওই বছর ২৩ এপ্রিল সেনানিবাসের বাড়ি ছাড়ার নোটিশ পাঁচ দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সরকার, সামরিক ভ‚মি ও সেনানিবাস অধিদফতরকে উকিল নোটিশ পাঠান খালেদা জিয়া।

২৪ মে আরেক দফা নোটিশ দেয়া হয় খালেদা জিয়াকে। তিনি নোটিশটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করলে সেই বছর ২৭ মে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ (বর্তমান প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুল জারি করেছিলেন। একই সাথে নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। পরে এ রুলটি শুনানির জন্য বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের বেঞ্চে পাঠানো হয়। ওই বেঞ্চের প্রতি খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করলে মামলাটি বিচারপতি মো: ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়।

পরের বছর ১৭ এপ্রিল ও ৫ মে এই বেঞ্চের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে খালেদা জিয়া আবেদন করলে তা খারিজ করে দেন আদালত। পরে প্রধান বিচারপতি রিট আবেদনটি শুনানির জন্য বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে পাঠান।

বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা এবং বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ ২০১০ সালের ১৩ অক্টোবর আবেদনটি খারিজ করে দেন। ঘোষিত রায়ে খালেদা জিয়াকে তার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছাড়তে কমপক্ষে ৩০ দিন সময় দিতে বলা হয়।

কিন্তু হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি শুরু হওয়ায় খালেদাকে এখন আর বাড়ি ছাড়তে হবে না বলে জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী টিএইচ খান। শুনানি ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি হওয়ায় অন্তত সেদিন পর্যন্ত তিনি বাড়িতে থাকতে পারার কথা। তখনো আপিল বিভাগের রায়ের পর রিভিউ বাকি ছিল।

কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ১২ নভেম্বরের পর খালেদা জিয়াকে চাইলে সরকার উচ্ছেদ করতে পারবে। কারণ তার বাড়ি ছাড়ার নির্দেশের ওপর আপিল বিভাগ কোনো স্থগিতাদেশ দেয়নি। আর খালেদার আইনজীবীরা স্থগিতাদেশের কোনো আবেদনও করেননি। এরপরও খালেদা বাড়ি না ছাড়লে আদালত অবমাননা হবে। তার উচিত স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে দেয়া।

খালেদা জিয়াকে এক মাসের মধ্যে সেনানিবাসের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট ১৩ অক্টোবর। কিন্তু রিট আবেদন উচ্চ আদালতে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির আগেই ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে তার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়। ফজরের নামাজের আগে সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন বেগম জিয়ার সেনানিবাসের চারিদিকে অবস্থান নেয়। সকালে তাদের সাথে যোগ দেয় পুলিশ, র‌্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। পাশাপাশি ক্যান্টমেন্টের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর লোকজন অবস্থান নেয়। জাহাঙ্গীর গেটসহ ক্যান্টমেন্টে প্রবেশের সব রাস্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সকাল ৮টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন বেগম জিয়ার বাসায় যারা কাজ করেন তারাসহ তার আত্মীয়স্বজনদের বের করে দেয়। বের করে দেয়া হয় বাবুর্চিদেরও। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ও র‌্যাব খালেদা জিয়ার বাড়ির প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা বাড়ির ভেতর ও বাইর থেকে মাইকে বেগম জিয়াকে বের হয়ে আসতে বলে। তাদের এ আহ্বানে বেগম জিয়া তার আইনজীবীদের সাথে কথা বলতে চান। কিন্তু উচ্ছেদকারীরা তাকে সে সুযোগ দেয়নি। বেগম জিয়া তাদের কথা মতো বের হতে না চাইলে পুলিশ তার রুমের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা খালেদা জিয়ার বাড়ির কর্মরত লোকজনদের আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এরপর ইচ্ছের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার রুমে প্রবেশ করে তাকে টেনেহিঁচড়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে গুলশান কার্যালয়ে পৌঁছে দেন।

সেদিন বাড়ি থেকে উচ্ছেদের খবর শুনে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ছুটে গেলে প্রধান বিচারপতি বাড়ি ছাড়তে হবে না মর্মে আইনজীবীদের আশ্বাস দিয়েছিলেন।
বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব অ্যাডভোকেট খন্দকার দেলোয়ার হোসেন তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বাসা থেকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে পরদিন ১৪ নভেম্বর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেন।

সেদিন সন্ধ্যায় বেগম খালেদা জিয়া গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ডেকে বাড়ি থেকে কিভাবে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে তার বর্ণনা দিয়ে কেঁদে ফেলেন। পরদিন ১৪ নভেম্বর দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার পৃষ্ঠাজুড়ে শিরোনাম ‘জবরদস্তি বাড়িছাড়া খালেদা জিয়া’। বিশেষ করে পবিত্র ঈদুল আজহার মাত্র দুই-তিন দিন আগে শক্তি প্রয়োগ করে বাসা থেকে উচ্ছেদের কারণে আওয়ামী লীগ জনগণের রোষানলে পড়ে।

যে শেখ হাসিনা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়িছাড়া করেছিলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে বারবার জেলে বন্দী করেছেন, তিনি এখনো দেশে আছেন। অপরদিকে শেখ হাসিনা আজ নিজেই দেশছাড়া!

লেখক : গণমাধ্যমকর্মী এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠক


আরো সংবাদ



premium cement
লাখ টাকার প্রলোভনে শাহবাগে এত লোক কীভাবে এলো? কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু হিজবুল্লাহ কমান্ড সেন্টারে ইসরাইলি হামলা রাজশাহীতে প্রথম আলো পত্রিকায় আগুন ও সাইনবোর্ড ভাঙচুর রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে : পররাষ্ট্র সচিব আড়াইহাজারে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১৬ শ্রম সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রগতিতে মার্কিন প্রতিনিধিদলের প্রশংসা আইপিএলে রেকর্ড গড়লেন ১৩ বছর বয়সী বৈভব সিলেটে ট্রাক ও বাসচাপায় নিহত ২ মানিকগঞ্জে প্রলোভন দেখিয়ে শাহাবাগে লোক নেয়ার মূলহোতা দবিরসহ আটক ৫ মধ্যাহ্নভোজের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩ উইকেট তুলে নিলো বাংলাদেশ

সকল