বারো বাজারের সতেরো কথা : সর্বাঙ্গে ব্যথা
- মোহাম্মদ হোসেন
- ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২০:৪৭
লেখার শিরোনাম নিয়ে একটু ব্যাখ্যার প্রয়োজন বোধ করছি। আমরা যে ধরনের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাম্প্রদায়িক, প্রশাসনিক এবং আইনি পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি তা নিয়ে বিস্তর আলাপ-আলোচনা হচ্ছে মিডিয়ায় ও বাইরে। বিষয় ও ঘটনার যেমন অভাব নেই তেমনি তার ব্যবচ্ছেদ, পরিণতি সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী, সতর্কবাণী, আশাবাদ কোনো কিছুরই ঘাটতি নেই। এসব পড়ে, শুনে আর দীর্ঘ পথ চলায় হোঁচট খেতে খেতে যে অনুভবটা তৈরি হয়েছে তারই ভিত্তিতে এই শিরোনাম।
আমাদের আর্থসামাজিক কাঠামোতে জনসংখ্যাকে নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত ইত্যাদি ভাগে ভাগ করা হয়। একবার উচ্চ-মধ্যম শ্রেণীর একটি প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নিয়েছিলাম। প্রতিষ্ঠানটি ছিল জাতীয় পর্যায়ের এবং নামকরা। একদিন প্রশিক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠান প্রধান স্বয়ং ক্লাস নিচ্ছিলেন। উন্মুক্ত আলোচনা ধরনের বিষয়। সাধারণত অনেক প্রশিক্ষণে বা কর্মশালায় একটি বিষয় থাকে, ‘আমরা কেমন বাংলাদেশ দেখতে চাই’। সে দিন ক্লাসে তিনটি বিষয়ের মধ্যে ওই বিষয়টিও ছিল। তিনটি বিষয়ে তিনটি কার্ড দেয়া হয়েছিল। স্বাধীনতা ছিল, প্রশিক্ষণার্থীরা নিজের নাম পরিচয় না লিখেও কার্ডে তার মতামত ও মন্তব্য লিখে দিতে পারবে। আলোচ্য বিষয়ের কার্ড পর্যালোচনা করে প্রশিক্ষক মহোদয় জানালেন, প্রত্যেকেই কার্ড ভরে লিখেছে। প্রায় ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থীর লেখা গড়পড়তা একই রকম। তবে একটি কার্ডে তার বিবেচনায় একটি ব্যতিক্রমী পয়েন্ট আছে। তা হলো, একজন লিখেছে, আমি এমন বাংলাদেশ চাই ‘যেখানে ১ টাকা= ১ মার্কিন ডলার’। এ লেখাটি যিনি লিখেছেন তিনি কার্ডে নাম পরিচয় লিখেননি। যা হোক আমি তাকে চিনি। এও জানি, প্রশিক্ষণার্থীদের ওই ব্যাচ থেকে অন্তত চারজন উচ্চ শ্রেণীর ব্যবস্থাপকের কাতারে পদোন্নতি পেলেও ব্যতিক্রমী চিন্তার ওই ব্যক্তিকে পদোন্নতি দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ের উল্লেখ কেবল পটভূমি হিসেবে। এটি মূল আলোচ্য নয়। যে সময় ১ টাকা= ১ মার্কিন ডলারের প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়েছিল সে সময় ১ ডলারের দাম ছিল ৮৫-৮৬ টাকা। এখন যা ১২০-১২৫ টাকা। প্রত্যাশা সাঁই সাঁই করে উবে যাচ্ছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্ব ব্যবস্থায় মার্কিন ডলারের মানে অর্থনীতির পরিমাপ করা হয়। অর্থনীতি একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার বলে বিভিন্ন আলাপ-আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। গত ৩৬ জুলাইয়ের পর বাংলাদেশে অর্থনীতিবিষয়ক আলোচনার পরিসর, গভীরতা ও পরিমাণ গত ২ দশকের মধ্যে সম্ভবত সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। অর্থনীতির সাথে বাজার, দ্রব্যমূল্য, আন্তর্জাতিক রাজনীতি, অর্থনীতি ইত্যাদি বহুবিধ বিষয় জড়িত থাকে। আমার বাসায় নিয়মিত দুটি দৈনিক পত্রিকা রাখা হয়। মাঝে মাঝে তিনটি। গত ২৬ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত আমার সংগৃহীত তিনটি পত্রিকায় অর্থনীতি, দ্রব্যমূল্য, অর্থপাচার ইত্যাদি বিষয়ে অন্তত ১০টি কলামে অর্থনীতির বিষয়ে লেখা বেরিয়েছে। লুটপাট, দ্রব্যমূল্য ইত্যাদি বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদ এর অন্তর্ভুক্ত নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নরের বরাতে গত ২৯ অক্টোবর দৈনিক ইত্তেফাক সংবাদ প্রকাশ করেছে, পতিত ‘রেজিমে’ শুধু ব্যাংক খাত থেকে দুই লাখ কোটি টাকার সমপরিমাণ ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের চার ভাগের একভাগ সমপরিমাণ অর্থ। এ তথ্যের আলোকে যারা কলাম লিখেছেন তারা সবাই স্বনামধন্য ব্যক্তি। অর্থনীতিবিদ বা অর্থনীতি বিশ্লেষক। ১ নভেম্বর ২০২৪ টিআইবির সদস্য মো: মাজেদুল হকের কলাম থেকে পাওয়া গেল আরো ভয়াবহ তথ্য। গত ১৬ বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে ১১ লাখ কোটি টাকা, যা ডলার মূল্যে ৯৩.৫ বিলিয়ন। তথ্যের ধামাকা এখনো শেষ হয়নি। বাংলাদেশের মোট বৈধ বাণিজ্যের মধ্যে ১৭.৫ শতাংশ মিথ্যা ইনভয়েসের মাধ্যমে পাচার হয়। অর্থাৎ লাভের গুড় পুরোটাই বাইরে রেখে দেয় বা চলে যায়। অফসোর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রতি বছর ৩.১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়। লেখাটিতে আরো অনেক তথ্য আছে। আগ্রহী পাঠক পড়ে নিতে পারবেন। এ হচ্ছে গত দেড় দশকে আমাদের অর্থনীতির উন্নয়ন যাত্রা। এ বিষয়ে ২ নভেম্বর দৈনিক যুগান্তরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক, অর্থনীতি বিশ্লেষক ড. আর এম দেবনাথের একটি লেখা বেরিয়েছে, ‘নীতি, দুর্নীতি, অর্থনীতি’ কলামে। তাতে তিনি এরূপ চোরাকারবারি অর্থনীতিকে ‘ক্রোনি ক্যাপিটালিজম’ নামে অবহিত করেছেন। আর এই ‘ক্রোনি ক্যাপিটালিজমের দেশে’, ‘১টাকা=১ মার্কিন ডলার’ স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পথ কোথায়? কত দূর?
সকাল-দুপুর-বিকেল তিন বেলাই উপনিবেশবাদকে গালি দিয়ে তার পর আহার করেন এ দেশের বহু লোক। উপনিবেশবাদ কি গেছে? উপনিবেশবাদের প্রভুরা তাদের যে উত্তরসূরি সন্তানদের রেখে গেছেন তারাই এখন এ দেশের শ্রম-সম্পদ শোষণ করে তাদের পিতৃভূমিতে নিয়ে যাচ্ছে। পুঁজিতান্ত্রিক এ ব্যবস্থায় আজ স্বল্প আয়ের মানুষ এবং স্থির আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। ক্রোনি ক্যাপিটালিজমের এ দেশ পুঁজিতান্ত্রিক বা যেকোনো তন্ত্রের অর্থনীতির কোনো সূত্রই মেনে চলে না। তাই তন্ত্র-মন্ত্রের কোনো হাতিয়ার কাজ করে না। তাই শুল্ক কমিয়েও দেশীয় বা আমদানি করা কোনো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করা যাচ্ছে না।
মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য সুদ হার বৃদ্ধি করা হয়েছে, এতেও তেমন কাজ হচ্ছে না। ঊর্ধ্বতন এক ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে আলাপচারিতায় জানা গেল, বাংলাদেশ ব্যাংকের এবং সরকারের ছাপানো টাকার ৭ ভাগের ৬ ভাগই বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে মজুদ বা স্থবির হয়ে পড়ে আছে। মাত্র ১ ভাগ বাজারে রোলিং হচ্ছে। এর কি অর্থ দাঁড়ায় পুঁজি এবং কালো পুঁজি উৎপাদনে যাচ্ছে না। ফলে প্রয়োজনীয় পরিমাণ দ্রব্য উৎপাদন হচ্ছে না। কর্মসংস্থান এবং মজুরি বাড়ছে না।
অর্থনীতি অনুৎপাদনশীলতার ফাঁদে পড়ে আছে। সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ কমানোর যে চেষ্টা হচ্ছে তা আরো একটি ফাঁদ। তার প্রথম ফলাফল হলো অলস টাকাওয়ালা উচ্চ সুদ হারের জন্য টাকা ব্যাংকে নিয়ে গেল। এতে টাকার মালিকের আরো বেশি টাকা হবার সম্ভাবনা দেখা দিলো বটে কিন্তু এ টাকা যদি বিনিয়োগ করা না যায় তাহলে ব্যাংক ওই সুদ কিভাবে পরিশোধ করবে? কেননা যারা বিনিয়োগ করবে তারা বলছে, এমন উচ্চহারে পুঁজি সংগ্রহ করে বিনিয়োগ করা ঝুঁকিপূর্ণ। যা হোক ধরে নিলাম পিঠ দেয়ালে ঠেকায় একান্ত দায় পড়ে কিছু লোক বিনিয়োগে গেল। কিন্তু উচ্চ সুদ হারের জন্য উৎপাদিত দ্রব্যের মূল্য তো আবার বাড়বে। মূল্য কমার তো কোনো পথ নেই। তবে বিনিয়োগের ফলে যতটুকু বাড়তি সুবিধা হবে তা হলো, কর্মসংস্থান বাড়বে এবং কিছু লোক সাময়িক স্বস্তি পাবে। কিন্তু পুঁজিওয়ালা সুদ-আসল ফিরে পেলে সুদের ওই বাড়তি অর্থ আবার তাকে কামড়াতে শুরু করবে। সে আবার মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দেবে বা টাকা আবার পাচার করবে। আর গত বছরগুলোতে যে ধারা লক্ষ্য করা গেছে, বিনিয়োগের নামে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে পাচার করে দেয়া- এখনকার বিনিয়োগকারীরাও তেমন করলে অর্থনীতির আসলে কী হবে? কিভাবে এ দেশের মানুষ এ নিদারুণ ফাঁস থেকে রক্ষা পাবে?
এ দেশে প্রতি একক শ্রম এবং প্রতি একক পুঁজি উভয়েরই উৎপাদনশীলতা কম। শ্রমের উৎপাদনশীলতা কমের কারণ অনিশ্চয়তার ঝুঁকি, তার অশিক্ষা, অপশিক্ষা, অদক্ষতা, কম মজুরি, শ্রমবিমুখতা, দুর্বল স্বাস্থ্য। পুঁজির উৎপাদনশীলতা কমের কারণ মধ্যস্বত্বভোগী, দুর্নীতি, লুটেরা, পাচারকারী। এরূপ একটি দেশে প্রতি বছর বাজেট বড় করে ফোলানো-ফাঁপানো হয়েছে। মানুষও ছোট চকলেট খাওয়ার চেয়ে ফুলানো-ফাঁপানো হাওয়া মিঠাই খেতে পছন্দ করে। দেশের উন্নয়ন বাজেটের টাকার সংস্থান করে বিদেশী ঋণ-অনুদান নিয়ে। ধরি এ ঋণের টাকায় গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনো কাজ না করে ৩-৪ হাত বদল হয়ে বিনা কাজেই ৩০% টাকা বিলি বণ্টন হয়ে যায়। এর পরে যে টাকা থাকে সে টাকা থেকে মাঠে যে পুঁজি খাটায় তার লাভ, মাঠ পর্যায়ে কাজ তদারকীকরণ কর্তৃপক্ষের মধ্যে ভাগবণ্টন হয়ে ১০০ টাকার কাজ হয় ৫০ টাকা দিয়ে। ফলাফল নিম্নমান। এটি যদি একটি পিচ ঢালাই রাস্তা হয়, এক বছরের মাথায় পিচ উঠে গেল। এ ছাড়া প্রাক্কলনের সময় তো উচ্চমূল্য ধরাই হয়। যত বড় কাজই হোক ঠিকাদারের ওয়ারেন্টি মাত্র ১ বছর। আমার রাস্তা নির্মাণের বা মেরামতের কাক্সিক্ষত লাইফটাইম যদি পাঁচ বছর ধরা হয় বাকি চার বছরের কী হবে? জনগণ ভুগবে। এতে ঠিকাদার বা তদারককারী কর্তৃপক্ষের সুপারভাইজার কারোরই বিচার হবে না, জেল-জরিমানা হবে না। ব্যবস্থার মধ্যেই তাদের দায়মুক্তি দেয়া আছে। একটি সামান্য উদাহরণ দেয়া হলো- আসলে আমরা চক্রাকারে কেমনে দুর্নীতি আর অনুৎপাদনশীলতা ও জনসম্পদ চুরির ফাঁদে আটকে আছি। আর ওই ঋণের টাকা সুদে-আসলে জনগণ পরিশোধ করবে এবং সরকার আবারও ঋণ গ্রহণ করবে। এভাবে গোটা জাতিকে ক্রোনি ক্যাপিটালিজমের ধাপ্পা এবং ফাঁদে ফেলে রাখা হয়।
এ সব বিষয়ে যদি অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের জন্য মডেলিং করা হয় তাহলে দেখা যাবে যে আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিচার, প্রশাসন প্রতিটি খাতে আমরা কিভাবে দুর্নীতি আর অনুৎপাদনশীলতার ট্র্যাপে আটকে আছি। অথচ প্রতি বছরই টাকা ছাপিয়ে না হয় ঋণ করে এই চুরিধারী জারি রাখার জন্য বাজেট ফুলানো হবে। আবার কিছু লোক শোরগোল তুলবে এখানে বাজেট বাড়াও ওখানে বাজেট বাড়াও। তত্ত্ব হাজির করা হবে, এ খাতে ১ টাকা বিনিয়োগ করলে ৭০ টাকা লাভ পাওয়া যাবে ইত্যাদি। এসব তত্তে¡র মডেলিং করার সময় ধরে নেয়া হয় যে, চুরি হবে না। কিন্তু মডেলিংয়ের সময়ে কি শতকরা কতভাগ চুরি করা হবে সেই ফ্যাক্টর হিসাব করে সূত্র নির্মাণ করা হয়?
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১০টি সংস্কার কমিশন করেছে। আরো কিছু কমিটি করেছে। পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থার কাঠামোতে এ বিষয়টি নিয়ে কত দূর এগুতে পারবেন বোঝা যাচ্ছে না। অর্থনীতির এ দুর্দশার জন্য যারা দায়ী তাদের বিচার কি আদৌ করা যাবে? এখানেও উভয় সঙ্কট। অসৎ ব্যবসায়ীকে ধরলে বাজারমূল্য আরো বেড়ে যায়; সে বাজারে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় এবং তার দলবলকে নিষ্ক্রিয় হতে উৎসাহিত করে। ফলে পণ্যের সাধারণ সরবরাহ কমে গিয়ে সরকারের জন্য ফাঁদ তৈরি হয়।
গার্মেন্টস শিল্পে ব্যবসা করে ঠিকই টাকা পাচার করে দিয়েছে। কিন্তু এখন শ্রমিকদের মজুরি না দেয়ায় শ্রমিক আন্দোলনে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। সরকার বেকায়দায় পড়েছে। সরকারকে এখন শ্রমিক আন্দোলন প্রশমনের জন্য মালিকদের ঋণ দিতে হচ্ছে। এ ঋণের অর্থ আবার সরকারি কোষাগারে আসবে কি না তার নিশ্চয়তা নেই। অনেক বড় বড় কারখানা তার সম্পদের চেয়ে অনেক বেশি ব্যাংক ঋণ নিয়েছে। এখন তার সম্পদ বিক্রি করেও ব্যাংকের টাকা উদ্ধার হবে না। তাহলে ব্যাংক চলবে কী দিয়ে? আবার তাদেরকে জনগণের টাকায় বেইল আউট করতে হবে, আজ না হোক কাল। কৃষি উৎপাদনের সূত্র অনুসারে বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদন সম্ভাবনা বোধ হয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এখানে আরো বিনিয়োগ করে একক প্রতি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা যাবে বলে মনে হয় না। পরিসংখ্যান সম্পর্কে জনগণের আস্থা নেই। এভাবে আমার দেশের যে দিকে তাকাই সে দিকেই ঘন অন্ধকার।
এত দুর্যোগের মধ্যেও বিভিন্ন মিডিয়ায় যত আলোচনা হয় তার মধ্যে অন্যতম প্রধান আলোচনা নির্বাচন কবে? শেখ হাসিনা কবে দেশে ফিরবে? আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে কি-না? তারা তো অনেক কিছুই উপভোগ করেছে। মানুষের হাড় মাংস চিবিয়ে খেয়েছে, অর্থনীতির রক্ত চুষে খেয়ে ফেলেছে। এখন দেশের মানুষকে একটু নিঃশ্বাস নেয়ার অবকাশের জন্য তারা কি কিছু দিন শীতনিদ্রায় যেতে পারে না? আমরা যারা সাধারণ মানুষ তারা দেখতে চাই আমার ন্যূনতম প্রাপ্যটুকু পাচ্ছি কি-না? ঘরে বাইরে নিরাপত্তা আছে কি-না? বাজারে জিনিসপত্রের মূল্য একটু কমছে কি-না? কিন্তু সবাই মিলে ভালো কিছু করতে পারব কি-না তা দৃষ্টির সীমায় এখনো আসছে না।
লেখক : কলামিস্ট
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা