০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১,
`

আইনশৃঙ্খলার অবনতি, আমাদের ঐতিহাসিক দায়

- প্রতীকী ছবি

গত ৫ আগস্টের পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরসহ আশপাশের এলাকায় চুরি, ছিনতাই অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। স্বৈরাচারী হাসিনার পতনের পর ৫ আগস্টেই দেখা গেল আমাদের জাতীয় সংসদ ভবনসহ নিকটবর্তী এলাকায় লুটতরাজ শুরু হয়। অভ্যুত্থানের পর স্বৈরাচারী হাসিনার অনুগত পুলিশ বাহিনী গণরোষের শিকার হয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের বড় সংখ্যক সদস্য কাজে ফিরে এলেও তারা আগের মতো সক্রিয় হতে পারেনি এখনো। এই সুযোগে সমাজবিরোধীরা চুরি-ডাকাতিতে নেমে পড়েছে। স্বৈরাচারী সরকারের লোকজনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে এরা ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পিতভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে অবাধে ছিনতাই ও ডাকাতি শুরু করে। এতে শহরবাসী অত্যন্ত আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং সরকার সেনাবাহিনীকে এই অরাজকতা নিরসনের জন্য নিয়োজিত করতে বাধ্য হয়।


১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ব্রিটিশ ভারত ভেঙে দু’টি নতুন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। ভারত ভাগের আগেই অনুষ্ঠিত একটি গণভোটের মাধ্যমে বেশ কিছু ক্ষেত্রে সেখানকার হিন্দু ও মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষেরা নিশ্চিত করেছিলেন তারা যে এলাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ, সে এলাকা তাদের নতুন রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হবে। সে হিসাবে পাঞ্জাব, বেলুচিস্তান, সিন্ধ, বাংলা প্রভৃতি অঞ্চলের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হলেন, অবশিষ্ট অঞ্চলে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার কারণে তারা ভারত রাষ্ট্রের নাগরিক হলেন। সমস্যাটা হলো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলের হিন্দু ও হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলের মুসলিমদের। ১৯৪৫-৪৬ সালের দাঙ্গায় বহু মুসলিম ও হিন্দু মানুষ প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হওয়ার কারণে তারা যে এলাকায় সংখ্যালঘু সে এলাকায় থাকতে আদৌ নিরাপদ বোধ করলেন না। ফলে অবধারিতভাবে পাকিস্তান থেকে হিন্দুরা ভারতে এবং ভারত থেকে মুসলিমরা পাকিস্তানে চলে গেলেন বা যেতে বাধ্য হলেন। পিতৃপুরুষের ভিটা ছেড়ে যাওয়া এই মানুষদের অনেকেই শুধু ভিন্ন ধর্মের হওয়ার কারণে নতুন আবহাওয়া, নতুন ভাষা, ভিন্ন প্রকৃতি ও নতুন ধরনের খাওয়া-দাওয়ার অভ্যস্ত মানুষদের এলাকায় গিয়ে নতুন বসতি গড়তে বাধ্য হলেন। ব্রিটিশ ভারত ভেঙে যাওয়ার ফলে পুরো ভারতের প্রায় ১.৪ থেকে ১.৮ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। সহিংসতায় প্রাণ হারায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ।

দেশ ভাগের পর নতুন দুই দেশের মানুষ নানা ধরনের সমস্যায় পড়ল। ভারতের বিহার ও অন্যান্য রাজ্য থেকে যে মুসলমানরা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে এলেন, তারা ‘মোহাজির’ নামে অভিহিত হতেন। এদেশে এসে তারা মূলত তিন-চারটি জায়গায় থিতু হলেন, যার মধ্যে ঢাকা, খুলনা, সৈয়দপুর, নারায়ণগঞ্জ অন্যতম। খুলনার পাটকল, সৈয়দপুরের রেলওয়ে ওয়ার্কশপ, নারায়ণগঞ্জের পাটকল এলাকায় তারা জীবিকা অর্জনের সুবিধার্থে বেছে নেন। এদের মধ্যে যারা অপেক্ষাকৃত সচ্ছল ছিলেন, তাদের জন্য ঢাকার মোহাম্মদপুরে ‘জয়েন্ট কোয়ার্টার’ নামে ছোট ছোট আবাসিক প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু দরিদ্র বিহারিরা বস্তিতেই ঠাঁই পান। তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে এরা দেশের অন্যান্য দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মতোই অবজ্ঞা ও উপেক্ষার শিকার হতে থাকেন। আর ভাষাগত ও খাদ্য অভ্যাসজনিত প্রভেদের কারণে তারা দেশের মূল ধারার সাথে কখনোই একীভ‚ত হতে পারেননি। রাজনৈতিকভাবেও তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনমতের বিপরীত অবস্থানে ছিলেন। মূলত ভাষাগত কারণে তারা ঢাকার উর্দুভাষী নবাবদের উত্তরপুরুষ ও পুরান ঢাকার আদি বাসিন্দাদের প্রতি তারা অনুরক্ত ছিলেন, যে কারণে তারা সত্তরের নির্বাচনে ‘মুসলিম লীগ’কে সমর্থন করেছিলেন। এ কারণে এই উর্দুভাষী মোহাজিররা ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে ও পরে বাঙালিদের জনরোষের শিকারে পরিণত হন। নিজেদের পাকিস্তানি মনে করা এই জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পাকিস্তানে যাওয়ার অপশন দেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনএইচসিআর তাদেরকে ‘বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানি’ হিসেবে চিহ্নিত করে মোহাম্মদপুর এলাকায় ‘জেনেভা ক্যাম্প’ স্থাপন করে তাদের নিরাপত্তা বিধান করে এবং তাদের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত দেশের সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে এই আটকে পড়া পাকিস্তানিদের পাকিস্তানে পাঠানোর জন্য সচেষ্ট ছিল। কিন্তু পাকিস্তান সরকার তাদেরকে নানা অজুহাতে ফেরত নিতে অপারগতা জানিয়ে এসেছে। ফলে এই মানুষগুলো দীর্ঘ একটা সময় ধরে বাংলাদেশে ‘নাগরিকত্ব’ ছাড়াই মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়েছে। গত ২০১৮-এর ‘রাতের নির্বাচনের’ আগে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তাদের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এই নাগরিকত্ব দেয়ার বিনিময়ে আওয়ামী লীগ তাদেরকে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করে। এই কাজের দায়িত্ব নেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তার ছত্রছায়ায় ‘জেনেভা ক্যাম্প’ তো বটেই, পুরো মোহাম্মদপুর এলাকায় এই বিহারি জনগোষ্ঠী মাদক ব্যবসায়সহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। এদের তরুণ অংশকে ‘কিশোর গ্যাং’-এর নামে সংগঠিত করে এই এলাকায় এমন কোনো অপরাধ নাই যা নানক গং এদেরকে দিয়ে করায়নি। এরা ছিল নানকের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক অপকর্মের হাতিয়ার ও অবৈধ অর্থের অন্যতম উৎস। ৫ আগস্টের পর নানক ও তার ক্যাডার বাহিনী পালিয়ে গেলে এদের মাথার উপরের ছাতা ও তাদের কন্ট্রোল করার মেকানিজম অচল হয়ে পড়ে। ফলে এরা পুরো মোহাম্মদপুর এলাকাসহ আশপাশের সব এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে।

বস্তুত এদের সন্ত্রাসী হওয়াটা অনিবার্য ছিল। এদের পূর্ব-পুরুষরা কয়েকটি বিশেষ কাজে বিশেষ পারদর্শী ছিল, যার মধ্যে কসাইয়ের কাজ, কামারের কাজ, কাপড়ে জরি বা কারচুপির কাজ, খৌরকর্ম অন্যতম। আজ পর্যন্ত এসব কাজে এদের দক্ষতা প্রশ্নাতীত। মূলত ঢাকা মহানগরীতে এই কাজগুলো এই বিহারি স¤প্রদায় এককভাবেই করে আসছে। কিন্তু সমস্যা হয়েছে এদের নতুন প্রজন্মের ক্ষেত্রে। ১৯৯০ সালের পর থেকে এদেশে জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সরকারের অগ্রাধিকার তালিকা থেকে হারিয়ে যায়। ফলে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো জেনেভা ক্যাম্পেও জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঘটেছে। অসংখ্য তরুণের জন্ম হয়েছে যাদের করণীয় কিছু নেই। ঢাকা মহানগরের ওই এলাকাটি প্রদীপের নিচে অন্ধকারের মতো। রাজধানীর অংশ হওয়া সত্তে¡ও এখানে নেই যথেষ্ট সংখ্যক ভালো স্কুল বা কলেজ। এরপরও যে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সেখানে পড়াশোনার সামর্থ্য এদের নেই। তাদের জন্য যেটি প্রয়োজন ছিল, তা হলো- ভোকেশনাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যা এই অঞ্চলটিতে তো বটেই, সারা দেশেই খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। অর্থনৈতিক কারণে প্রথাগত পড়াশোনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত (কিন্তু হাতের কাজে দক্ষ) এই নবীন ছেলেমেয়েগুলোর জন্য কর্মমুখী পড়াশোনার ব্যবস্থা এ পর্যন্ত কোনো সরকার করেনি। ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে এই উর্দুভাষী মানুষদের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় তারা বংশানুক্রমিকভাবে যে পেশাগুলোতে দক্ষ ও কাজ করে এসেছে এতদিন, সে ক্ষেত্রেও প্রতিযোগিতা বেড়েছে ও সুযোগ সীমিত হয়ে গেছে। ফলে তাদের জীবন ধারণের জন্য শর্টকাট রাস্তা হিসেবে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি ও মাদক ব্যবসায়কেই বেছে নেয়া ছাড়া এদের আর কোনো বিকল্প ছিল বলে মনে হয় না।

উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, দেশে এই উর্দুভাষী বিহারি জনগোষ্ঠীর সংখ্যা তিন লাখের মতো, যদিও আমার ব্যক্তিগত ধারণা প্রকৃত সংখ্যাটি আরো অনেক বেশি। সে যাই হোক, আমরা এই মুহূর্তে আরো একটি ‘টাইম বোম্ব’ নিয়ে বসে আছি, যেটি হলো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী, যাদের আনুমানিক সংখ্যা ১৫ লাখের মতো। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কেউ কেউ এদেশে প্রায় ৩০ বছর ধরে আছে, যদিও বৃহৎ অংশটি আছে প্রায় ১৪-১৫ বছর ধরে। আমরা যদি এখন সর্বাত্মক চেষ্টা করে এদেরকে তাদের মাতৃভ‚মিতে ফেরত পাঠাতে ব্যর্থ হই এবং এদেরকে এই ক্যাম্পেই স্থায়ীভাবে রাখার চিন্তা করি, তাহলে এরা বিহারি জনগোষ্ঠীর অনুরূপ আরেকটি সঙ্কট নিয়ে হাজির হবে, আর তা হবে বর্তমান সঙ্কটের বহুগুণ বড় সঙ্কট এবং সেই সঙ্কটের আভাস ইতোমধ্যেই পাওয়া গেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও ক্যাম্পের বাইরেও তাদের অন্তর্কলহে সংঘটিত বিভিন্ন সশস্ত্র সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে। এই সঙ্কট মোকাবেলা করার সামর্থ্য আমাদের আদৌ আছে কিনা, সেটিও একটি প্রশ্ন।

ফিরে আসি বর্তমান প্রসঙ্গে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় তাদের চিরুনি অভিযানে কয়েকজন গডফাদারসহ এই দুর্বৃত্তদের একটি ক্ষুদ্র অংশকে ইতোমধ্যে ধরে ফেলেছে এবং এই মুহূর্তে ওই এলাকায় চুরি-ডাকাতি-রাহাজানি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। সেনাবাহিনীর অভিযান আরো বেশ কয়েক দিন চলবে বলে মনে হয়। কিন্তু তারপরও সব সন্ত্রাসীকে তো ধরা সম্ভব হবে না। কিছু সন্ত্রাসী এখন পালিয়ে আছে, কিছু ঢাকার অন্য এলাকায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। তারা আবার স্বমূর্তিতে আবিভর্‚ত হবে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই। এভাবে তো এই এলাকার সন্ত্রাস নির্মূল করা সম্ভব হবে না। তাছাড়া সেনাবাহিনীও চিরদিন মাঠে থাকবে না। ফলে একটা সময় পরে বর্তমানে পলাতক সন্ত্রাসীরা এবং জেলফেরত সন্ত্রাসীরা ফিরে এসে আবার পূর্ণোদ্যমে একই কাজে জড়িয়ে পড়বে। তাহলে বিকল্প কী হতে পারে? প্রথমত, এদের গডফাদারদের ধরে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এবং এই এলাকায় নিষিদ্ধ করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, মাদকের সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। তৃতীয়ত, এদেরকে পুনর্বাসন করতে হবে। চতুর্থত, সম্ভব হলে এই জেনেভা ক্যাম্প ভেঙে দিয়ে নতুন হাইরাইজ ভবন তৈরি করে এদের জন্য মানবিক বাসস্থানের ব্যবস্থা করা। এছাড়া এই মানুষদের বড় একটি অংশকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুনর্বাসিত করতে হবে।

এই মানুষগুলো যেহেতু হাতের কাজে দক্ষ, সে কারণে এদেরকে ট্রেনিং দিয়ে তাদের দক্ষতাকে আরো শাণিত করে তাদের জন্য উপযুক্ত ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। সবচেয়ে আগে যেটি করতে হবে সেটি হলো- এদেরকে আমাদের সমাজে অন্তর্ভুক্তিকরণ বা ইনক্লুশনের ব্যবস্থা করা এবং এদেরসহ দেশের অন্যান্য বেকার তরুণদের কর্মমুখী শিক্ষা ও ট্রেনিং দিয়ে তাদেরকে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে হবে। তাদের মনে এই ধারণা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে যে, তারা সমাজের বোঝা নয় সম্পদ, তারাও পারে সমাজকে কিছু দিতে। এই কাজে নেতৃত্ব দিতে পারেন আমাদের সফল ছাত্র গণ-আন্দোলনের সমন্বয়করা। এই উদ্যোগ সফল হলে দেশ থেকে সন্ত্রাস যেমন নির্মূল হবে, তেমনি দেশের তরুণরা আর প্রায় মূল্যহীন বিএ বা এমএ ডিগ্রির পেছনে ছুটে সময় ও অর্থ অপচয় করা থেকে বিরত হবে। একই সাথে আমরা আমাদের দেশগঠনের জন্য প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ পেয়ে যাবো। বিষয়টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে দ্রæত সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে গাফিলতির কোনো সুযোগ নেই।

লেখক : সাবেক সরকারি কর্মচারী, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক


আরো সংবাদ



premium cement