শ্রীলঙ্কায় পার্লামেন্ট নির্বাচন
- আহমদ মতিউর রহমান
- ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ২০:৫০
দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় আগামী ১৪ নভেম্বর পার্লামেন্ট নির্বাচন। গত ২১ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে আর এই নির্বাচনে একজন মার্কসবাদী নেতা জয়লাভ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। প্রেসিডেন্ট পদে বসার পরপরই নতুন প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েকে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন আহ্বান করেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে যতটা চাঞ্চল্য ও হাঁকডাক ছিল পার্লামেন্ট নির্বাচন নিয়ে ততটা দেখা যাচ্ছে না। এর সঙ্গত কারণও আছে। তা হলো দেশটিতে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার। ফলে পার্লামেন্টের ক্ষমতা তেমন একটা নেই, এটি আলঙ্কারিক মাত্র।
দুই বছর আগে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণার পর চরম অস্থিতিশীল অবস্থার মুখোমুখি হয় শ্রীলঙ্কা। এ অবস্থার উত্তরণে হয় দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনে জয়লাভ করে ২৩ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কায় দশম প্রেসিডেন্ট হিসেবে কুর্সিতে বসেছেন এক সময়ের গেরিলা দল জনতা বিমুক্তি পেরামুনা বা জেভিপির পলিটব্যুরোর সদস্য দিশানায়েকে। তিনি জেভিপিসহ দেশটির তামিল দলগুলোর জোট নিউ পিপলস পাওয়ারের (এনপিপি) প্রধান। আসন্ন নির্বাচনে দিশানায়েকের কৌশলটি কী তা স্পষ্ট হয়েছে বিভিন্ন সংবাদপত্রের ভাষ্যমতে। আর তা হচ্ছে, তিনি এই নির্বাচনে তার দলের তথা জোটের অবস্থান তলানি থেকে বের করে এনে সংখ্যা গরিষ্ঠতায় নিতে চাইছেন। তা তিনি পারবেন কি না সে প্রশ্নও আসছে সামনে।
কেন নতুন প্রেসিডেন্ট তড়িঘড়ি সাধারণ নির্বাচন আহ্বান করেছেন? রয়টার্স তার একটি বিশ্লেষণ দিয়েছে। মুম্বাই থেকে রয়টার্সের সাংবাদিক উদিতা জয়সিংহে এবং সুদীপ্ত গাঙ্গুলি বলছেন, প্রথমত রাইড মোমেন্টাম। ডিসানায়েক ৫.৬ মিলিয়ন ভোট বা ৪২.৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনে তিনি ৩ শতাংশ ভোট পান। এই নেতা ২২৫ আসনের পার্লামেন্টে অনুমোদনের একই তরঙ্গে চড়ার এবং ক্ষমতা একত্রিত করার আশা করছেন। দ্বিতীয়ত, সংসদ থেকে সমর্থন। তার জোট ২০২০ সালে মাত্র তিনটি আসন পায়। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার নির্বাহী ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও, তার বিভিন্ন কর্মসূচিতে সংসদের সমর্থন ছাড়া কাজ করা কঠিন হবে। তৃতীয়ত, আইএমএফ প্রোগ্রাম। শ্রীলঙ্কাকে আইএমএফ ২৯০ কোটি ডলার জরুরি ঋণ দিয়েছে। অর্থনীতি বাঁচাতে আরো ঋণ প্রয়োজন। প্রচারাভিযানের সময় দিশানায়েকে বলেছিলেন, তিনি কর কমাতে চান এবং আইএমএফ বেলআউটের শর্তগুলো পুনর্বিবেচনা করতে চান। কিন্তু সংসদে সমর্থন ছাড়া বাজেট পাস করা কঠিন হবে। শ্রীলঙ্কা প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ পুনর্গঠনের মাঝখানে রয়েছে। সংসদীয় সমর্থন দিশানায়েকের হাতকে শক্তিশালী করবে। চতুর্থত, মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ সহজতর হবে। হরিনি অমরাসুরিয়াকে পাঁচটি পোর্টফোলিওসহ প্রধানমন্ত্রী এবং বিজিতা হেরাথকে পররাষ্ট্রবিষয়কসহ ছয়টি মন্ত্রকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। দিশানায়কে অর্থ, প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি মন্ত্রকের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক নিজের হাতে রেখেছিলেন।
এনপিপি নির্বাচনে কেমন করবে সে বিষয়ে যাওয়ার আগে এই নির্বাচনের প্রেক্ষাপটটি বর্ণনা করে নিই। ২০২২ সালে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে শ্রীলঙ্কাজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। রাষ্ট্রীয় কোষাগার প্রায় শূন্য, চীনের কাছে বড় অঙ্কের ঋণ, সর্বনিম্ন পর্যায়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল। এ পরিস্থিতিতে ২০২২ সালের এপ্রিলে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা সরকার বলেছে, এ অবস্থার জন্য প্রধানত দায়ী করোনা পরিস্থিতি। এ ছাড়াও পর্যটন খাতের বিপর্যয়ও এ পরিস্থিতি সৃষ্টিতে মারাত্মক ভূমিকা রেখেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। পালিয়ে যান তার ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। ২০২২ সালের জুলাই মাসে নতুন প্রেসিডেন্ট হন রনিল বিক্রমাসিংহে। ২০১৯ সালে পাঁচ বছরের জন্য শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন রাজাপাকসে। একের পর এক ভুল নীতি প্রণয়নের কারণে দেশে সঙ্কট হয়েছে। তিনি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ক্ষমতা হারানোর পর মেয়াদের বাকি সময় দায়িত্ব পালনের জন্য দেশটির পার্লামেন্ট বিক্রমাসিংহেকে নির্বাচিত করে। বিশ্লেষকরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বলেছিলেন, শ্রীলঙ্কার ভোটারদের চাওয়া ছিল পর্দার পেছন থেকে রাজাপাকসেদের মদদে রনিল ও আমলাতন্ত্র যেভাবে দেশ চালাচ্ছিল তা থেকে বের হওয়া। কিন্তু নির্বাচনে জনগণই একমাত্র পক্ষ নয়। ভারত এবং চীনও গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ। এ রকম বিদেশী শক্তিগুলো দক্ষিণ এশিয়ার ছোট দেশগুলোর ব্যাপারে কতটা আগ্রহী, সেটি কারো অজানা নেই। বলা হয়েছিল, দিশানায়েকে চীনের দিকে ঝুঁকতে পারেন। কিন্তু ভারতকে প্রতিপক্ষ হয়তো এ মুহূর্তে বানাতে চাইবেন না। তার নির্বাচনের পর মাত্র এক মাস পার হয়েছে। অনেক কিছু করা শুরুই হয়নি।
এই প্রেক্ষাপটে হচ্ছে ভোট। দেশটিতে পার্লামেন্ট আলঙ্কারিক। দেশটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২০ লাখ। এর মধ্যে ভোটারের সংখ্যা প্রায় এক কোটি ৭০ লাখ। নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা শেষ হয়েছে ১১ অক্টোবর। এখন প্রচারাভিযান পুরোদমে চলছে। এ নতুন সংসদে ২২৫ সদস্য নির্বাচন করা হবে। শ্রীলঙ্কার ১৬তম সংসদ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ বিলুপ্ত হয়ে যায়। নবনির্বাচিত সংসদ ২১ নভেম্বর ২০২৪-এ ডাকা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মাহিন্দা রাজাপাকসের নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কা পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়েন্স (এসএলপিএফএ) ২০২০ সালের ৫ আগস্ট সংসদ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। তারা পায় ১৪৫ আসন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সাজিথ প্রেমাদাসার দল সমাগি জন বালাওয়েগায়া (এসজেবি) ৫৪, তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (টিএনএ) ১০ আসন পায়।
পার্লামেন্টের ২২৫ সদস্যের ১৯৬ জন সারা দেশের ২৫টি প্রশাসনিক জেলা থেকে সরাসরি ভোটে জিতে আসেন। বাকি ২৯ জন মনোনীত হয়ে আসেন- কোন দল কত ভোট পাচ্ছে, সেই অনুপাতের ভিত্তিতে।
ভোটের প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল। ভোটে যেকোনো নির্বাচনী কেন্দ্রে কোনো দলেরই নির্দিষ্ট প্রার্থী নেই। ব্যালট পেপারে ভোটারদের দাগিয়ে আসতে হয় প্রার্থীদের মধ্যে কে তার প্রথম পছন্দ, কে দ্বিতীয়, কে তৃতীয়। প্রতিটি দলকে মোট ভোটের অনুপাত অনুসারে প্রতিটি জেলার জন্য কোটা থেকে কয়েকটি আসন বরাদ্দ করা হয়। ১৯৬ আসনে আনুপাতিক পদ্ধতিতে প্রার্থীভিত্তিক সরাসরি ভোট হয়। বাকি ২৯টি ‘জাতীয়ভিত্তিক আসন’ রাজনৈতিক দলগুলো পায় তাদের প্রাপ্ত ভোটের হিস্যা অনুযায়ী। প্রার্থীদের অগ্রাধিকারভিত্তিক নামের তালিকা দিতে হয়। ১৯৮৯ সাল থেকে লঙ্কায় এভাবে পার্লামেন্টে জনপ্রতিনিধি বাছাই হচ্ছে। নির্বাচিতরা আনুপাতিক পদ্ধতিতে দুই উপায়ে বাছাই হন। একজন ভোটার তার নির্বাচনী জেলায় ভোট দেয়ার সময় পছন্দের দল বাছাই করেন এবং একই সময় পছন্দের দলের প্রার্থীদেরও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাছাই করেন। কোনো ‘নির্বাচনী জেলায়’ কোনো দল ৫ শতাংশের কম ভোট পেলে তাদের আসন বণ্টনের বাইরে রাখা হয়।
কয়েক দশক ধরে শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তারকারী রাজাপাকসে ভাইদের কেউই সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। শ্রীলঙ্কা পোদুজানা পেরামুনা প্রার্থীদের তালিকায় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে, সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে, প্রাক্তন সেচমন্ত্রী চামাল রাজাপাকসে, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপাকসে নেই। মি. মাহিন্দার ছেলে নমাল রাজাপাকসেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। তবে দলের ‘জাতীয় তালিকা’তে রয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে পার্টি সুরক্ষিত অতিরিক্ত আসনের জন্য মনোনীত সদস্যদের নাম। মি. নমাল রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং মোট ভোটের মাত্র ২.৫৭ শতাংশ পেয়ে চতুর্থ স্থানে ছিলেন।
কলম্বোর দ্য মিরর অনলাইন জানাচ্ছে, রাজাপাকসা ছাড়াও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে এবং মাইথ্রিপালা সিরিসেনাও ১৪ নভেম্বরের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেই। বিশিষ্ট বিরোধী রাজনীতিবিদ এবং প্রাক্তন ক্যাবিনেটমন্ত্রী পাটালি চম্পিকা রানাওয়াকাক এবং কট্টর জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ উইমল ওয়েরাওয়ানসাও সরে দাঁড়িয়েছেন। এর কারণ হিসেবে এনপিপি সদস্য এবং প্রাক্তন সংসদ সদস্য বিমল রথনায়েকে বলেছেন, মি. দিশানায়েকেকে ভোট দিয়ে শ্রীলঙ্কার জনগণ ‘একটি ভালো কাজ’ করেছে। উল্লিখিত দুর্নীতিবাজ ও বর্ণবাদী রাজনীতিবিদরা পরাজয় এড়াতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি স্থানীয় এসএলপিপির সিনিয়র রাজাপাকসেদের কাউকে প্রার্থী না করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাগারা কারিয়াওয়াসাম বলেছেন, মি. মাহিন্দা চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সংসদে ছিলেন- তার কাজ তিনি শেষ করেছেন। তিনি যুদ্ধ থেকে দেশকে উদ্ধার করেছেন, দেশের উন্নয়নপর্বের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে অন্য রাজাপাকসে ভাইদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে মন্তব্য করেননি তিনি। মি. চামালের ছেলে শশেন্দ্র রাজাপাকসে দক্ষিণ মোনারাগালা জেলা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অনেক পর্যবেক্ষক বলেছেন, প্রাক্তন রাজনৈতিক হেভিওয়েটদের রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত জনগণের দীর্ঘ সংগ্রামের ফল। আর এরা ভালো করেই জানেন যে তারা বিজয়ী হবেন না। কলম্বো-ভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ল অ্যান্ড সোসাইটি ট্রাস্টের সান্ডুন থুডুগালার মতে, ‘অসম্মানিত রাজনীতিবিদরা’ এখন ‘পরাজয় মেনে নিয়েছে’। শ্রীলঙ্কার বিশিষ্ট সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদ গুলবাই গুনাসেকেরা বলেছেন, আমরা উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে বাস করি। শ্রীলঙ্কা আগে কখনো এই রাজনৈতিক অবস্থানে ছিল না। একজন একেবারে নতুন রাষ্ট্রপতি একটি খারাপ সিস্টেম পরিবর্তনের প্রস্তাব দিচ্ছেন এবং অবশ্যই আশা করা উচিত যে ভোটাররা এই সুযোগটি গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করবেন। আমাদের অতীতের দুর্নীতিগ্রস্ত সংসদ সদস্যদের (কেউ কেউ যারা পুনর্নির্বাচনের ইচ্ছা পোষণ করেন) মনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান আশঙ্কা রয়েছে যে তাদের আধিপত্যের দিন শেষ হয়ে গেছে।
দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট রানাসিংহে প্রেমাদাসার ছেলে সাজিথ প্রেমাদাসা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের পর এখন পার্লামেন্ট নির্বাচনে কলম্বো থেকে প্রার্থী হয়েছেন। বিগত পার্লামেন্টে তার দলের আসন ছিল ৫৪টি। তিনি সেটি ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। রাজাপাকসের দল আসন হারাবে এটি নিশ্চিত। তবে দলের অন্য নেতারা জয়ী হয়ে দলটির সম্মান বাঁচানোর চেষ্টা করবেন।
পার্লামেন্টে কোন দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে? এনপিপি জোট কি আসন বাড়াতে পারবে? নির্বাচনের দিনটি আরো কাছাকাছি হলে এই আলোচনা আরো বাড়বে, বিষয়টি আরো স্পষ্ট হবে। দেশটিতে নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি জনমত জরিপ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তারা বলেছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চলাকালে অনেক জরিপের ফল বের হয়েছে যার সাথে ফলের চিত্র মেলেনি। তাই তা নিষিদ্ধ থাকবে। জয়-পরাজয়ের বিষয়ে বিশ্লেষকরা ভিন্ন ভিন্ন মত দিচ্ছেন। একটি অংশ মনে করে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতোই ফল বেশ নাটকীয় পরিবর্তন নিয়ে আসবে। অপর অংশ মনে করে, পার্লামেন্ট পুরোনো দলগুলোর প্রাধান্য অব্যাহত থাকতে পারে।
ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকার কলম্বো সংবাদদাতা মীরা শ্রীনিবাসন জানান, প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকের ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) জোট যার প্রধান দল জনতা বিমুক্তি পেরামুনা (জেভিপি), হাউজে সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিকেই নজর রাখছে। এনপিপিকে চাইছে পার্লামেন্টে তার আসনসংখ্যা তিনটি থেকে বাড়িয়ে ১১৩ করতে। যাতে দিশানায়েকে তার নীতি এবং আইনি অঙ্গীকারগুলো এগিয়ে নিতে পারেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১১৩ আসন। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি পাওয়া কঠিন হতে পারে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা