২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ও পরবর্তী নির্বাচন

- প্রতীকী

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ আর পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে সর্বত্র জোরালো আলোচনা ছিল, ছিল নীরব গুঞ্জনও; কত দিন অন্তর্বর্তী সরকার আর কবে একটি সাধারণ নির্বাচন! ছিল বলা এ কারণে যে, এখন অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে, কিন্তু পুরো বিষয়টি নিয়ে দ্বন্দ্ব কাটেনি। অন্তর্বর্তী সরকারের শপথের পরপর উচ্চকিত উচ্চারণ ছিল- মেরামত-সংস্কার করে এ সরকার স্বীয় মেয়াদ সম্পন্ন করবে আর অস্থায়ী সরকারের অবলুপ্তি হতে পারে একটি জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করে বিজয়ী দলের সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে। জোর গলায় আওয়াজ ওঠেছিল, রাষ্ট্র ও সরকারের জরুরি মেরামত ছাড়া এ সরকার সরে গেলে বা তড়িঘড়ি করে একটি জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করলে জাতির ঘাড় থেকে আপাতত সরে যাওয়া স্বৈরাচারের ভূত সমূলে উৎপাটিত হবে না এবং ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে বহু জীবন আর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আগস্ট-অভ্যুত্থান। অন্তর্বর্তী সরকারের নানাজন আর রাজনৈতিক দলও এ মতের সমর্থক ছিল, হয়তো আছেও। কিন্তু দিন এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে সরকারের মেয়াদ আর পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নানান মতের প্রকাশ ঘটছে।

দেশের বড় দু’টি রাজনৈতিক দলের একটির কোনো বক্তব্য পাওয়ার সুযোগ নেই এ মুহূর্তে। কারণ দলটি পতিত; প্রধান নির্বাচন কমিশনার মরহুম এম এ সাঈদকে উদ্ধৃত করলে, ‘দুষ্টুরা সব পালিয়েছে’। তবে নির্বাচনের পরিবেশ দেখা দিলে পলাতকদের বহুজন বেরিয়ে আসার চেষ্টা করবেন। আপাতত পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রধান স্টেকহোল্ডার বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এবং সেই সাথে ক’টি বাম দল ও কয়েকটি ইসলামী ঘরানার দল আর আরো কয়েকটি ক্ষুদ্র রাজনৈতিক দল। প্রথমে সরকারকে একটু বেশি সময় দিতে চাইলেও বিএনপির মহাসচিবের গত ১৫ দিনের কথায় ভিন্ন সুর লক্ষ করা যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে দলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধানের কথায়ও একটু পরিবর্তন লক্ষণীয়। জামায়াতে ইসলামী একটু দীর্ঘমেয়াদের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে। বামসহ কয়েকটি ক্ষুদ্র দল রাষ্ট্র মেরামত গুরুত্ব দিতে চাইছে। তবে বামের মধ্যে কমিউনিস্ট পার্টি দ্রুত নির্বাচিত সরকারে ফিরে যেতে আগ্রহী। প্রায় নীরব জাতীয় পার্টি। এখানে বলতে হবে, পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে জিতে সরকার গঠনের অভিলাষী দলটির নাম বিএনপি এবং সেটি বহুজনের ধারণা। এখন আবার জামায়াতও এ অভিলাষে যুক্ত হতে পারে। ফলে বিএনপি আগামী নির্বাচনে কতটা সময় অপেক্ষা করবে, তা এখন বলে দেয়া কঠিন- ধারণা, দলটির নীতিনির্ধারকরাও এ বিষয়ে এখন চূড়ান্ত কিছু বলতে অপারগ। আবার এ সিদ্ধান্ত গ্রহণে নিজেদের মধ্যেও মতপার্থক্য থাকা বিচিত্র নয়।

বিএনপি ঠিক কতটা দিন-মাস-বছর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দেবে তা পরবর্তী নির্বাচনে একটি বড় উপাদান বটে। আবার বিএনপি চাইলে এ সরকার নির্বাচন দিয়ে দেবে কি না, তা সময় বলবে। তবে বিএনপি আর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে ভিন্নতার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান এবং উপদেষ্টারা নির্বাচন নিয়ে যা ভাবছেন, দু-একজনের কথাবার্তায় কিছুটা জানানো হয়েছে, কিন্তু সেখানে সুনির্দিষ্ট কোনো সময়ের কথা নেই। আদতে আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় নিয়ে ইনটেরিম গভার্মেন্ট ঠিক পরিকল্পনা এ মুহূর্তে আমজনতার বোঝার বা জানার সুযোগ নেই। এ সরকারকে নেপথ্যে অকুণ্ঠ সমর্থন জোগানো সেনাবাহিনীর সরকারের মেয়াদ আর নির্বাচন নিয়ে চিন্তাভাবনাও জানা যাচ্ছিল না। কিন্তু ক’দিন আগে বিদেশী সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া সেনাপ্রধানের একটি সাক্ষাৎকার সরকারের মেয়াদ স্পষ্ট করে দিয়েছে বলে বহুজনের ধারণা সৃষ্টি হলেও ওই বক্তব্য নিয়েও এখন ভিন্নতর ব্যাখ্যা জারি আছে। ১৮ মাস এ সরকারকে সমর্থন দেয়ার কথা আছে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎকারে। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার প্রধান তথ্য কর্মকর্তার সংবাদ সম্মেলনে ভিন্নতর ব্যাখ্যা উঠে এসেছে। এখন ধারণা করা হচ্ছে, প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন; এ মতেরও বিরূপ সমালোচনা আছে, আছে ভিন্নমত।

সরকার ছয়টি কমিশন গঠন করেছে; সমাজ মাধ্যমে দাবি উঠেছে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মিডিয়া নিয়েও অনুরূপ কমিশন করা সমীচীন ছিল। মিডিয়া নিয়ে আরো একটি কমিশন গঠনের ঘোষণা এসে গেছে। ছয়টি কমিশন গঠন নিয়ে সরকারের মেয়াদ সম্পর্কে কিছুটা আন্দাজ-অনুমান করা চলে। কমিশনের সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদন কি সরকারের লক্ষ্য, নাকি সুপারিশ আংশিক বা পুরোটা বাস্তবায়নও উদ্দেশ্য, তা কিন্তু একপ্রকারের ঝেরে না কাঁশার মতো অবস্থা। আবার দু-একটি কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের বিকল্প নেই; যেমন- নির্বাচন সংস্কার। দেখার আছে, আগস্ট-অভ্যুত্থানের মূল আকাঙ্ক্ষা কী ছিল। সংস্কার কমিশনের প্রধানদের নাম ঘোষিত হলেও অন্যান্য সদস্যের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। এমনকি সংস্কার গঠন এখনো প্রধান উপদেষ্টার বক্তৃতাতে আটকে আছে; এখন অবধি সরকারি আদেশ হয়নি।

স্বৈরাচারের ১৫ বছরে (স্মর্তব্য, প্রথম পাঁচ বছর কিন্তু ভোটে নির্বাচিত) জনরোষ তুঙ্গে তুলেছিল মোটাদাগে- ১. তিনটি ভোটারহীন নির্বাচন, তথা মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিতকরণ। ২. দুর্নীতির সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে যাওয়া। ৩. দলীয়করণ থেকে কোনো কিছু বাদ না দেয়া। কোটার দাবি থেকে এক দফার দাবি আদপে এই তিনটি মূল ইস্যু ঘিরে। এর সাথে আরো কতিপয় বিষয় তো আছেই। এ দাবির সাথে সংবিধান সংস্কার, বিচার বিভাগ সংস্কার, জনপ্রশাসন সংস্কার, পুলিশ সংস্কার, দুর্নীতি দমন সংস্কার, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার ঠিক যতটা যায়, ততটা বাস্তবায়ন করা বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের দায়িত্ব হতে পারে বলে ঋদ্ধজনদের মতো।

রাষ্ট্র-সরকার এবং নির্বাচন ব্যবস্থার মেরামত বা সংস্কার একাধিক রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের বৃহত্তর অংশের বহুল উচ্চারিত দাবি।

রাষ্ট্র ও সরকারের সংস্কার একটি জটিল-কঠিন বিষয়। এ সংস্কার করতে সময় যেমন দরকার, তেমনি এ কাজে একটি নির্বাচিত সরকার থাকা জরুরি; চাইলেই তরিঘরি রাষ্ট্র ও সরকারব্যবস্থার মেরামত করা যায় না। আবার রাষ্ট্র-সরকার-সংবিধানের সংস্কার হলে স্বৈরাচার থেমে যাবে, তাও নয়। একটি দল ক্ষমতায় এসে সংস্কারের হাড়হদ্দ বদলে দিলে কী করা! সংবিধান সংস্কার আগস্ট-অভ্যুত্থানের দাবিতে সেই অর্থে ছিল না। কিন্তু স্বৈরাচারের প্রত্যাবর্তন রুখতে কোথাও কোথাও সংবিধানের পরিবর্তন আবশ্যক বটে; সেটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতেও প্রয়োজন। কিন্তু সংবিধান সংস্কার আর প্রয়োজনীয় পরিবর্তন এক কথা নয়। অনেকে সংবিধান পুনর্লিখনের পক্ষে। কেউ আবার খোলনলচে বদলের কথা বলছেন। কেউ বলছেন, প্রয়োজনীয় সংশোধন এ মুহূর্তে আবশ্যক। সংবিধান নিয়ে এ বিতর্কে এটি উপযুক্ত পরিসর নয়। তবে এটুকু জানার আছে, বর্তমান সরকার ঠিক কী প্রক্রিয়ায় সংবিধানের অতি আবশ্যকীয় পরিবর্তন করতে চায়! বর্তমান নিয়মে রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে অধ্যাদেশ জারি করানো সম্ভব হলেও সংসদহীন অবস্থায় সংবিধান পরিবর্তনের ধারণাটি পরিষ্কার নয়। এখানেও কি ডকট্রিন অব নেসেসিটির প্রয়োগ হবে? এমনিতে সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর সংবিধানে বর্ণিত সময়ে নির্বাচন না করতে পারার জন্য সহসা আপিল বিভাগের শরণাপন্ন হতে হবে এ সরকারকে। নাসিকা কুঞ্চিত করা যায়, কিন্তু সংবিধানের অনুপস্থিতি এবং বর্তমান সরকার প্রসঙ্গে হাবিবুল আউয়ালের কথাবার্তা মোটেই অসার নয় । একই কথা এখন ফরহাদ মজহারও বলছেন।

নির্বাচনব্যবস্থার মেরামত লাগবে। জনমানুষকে ভোটের পরিবেশ ফিরিয়ে না এনে নির্বাচনের আয়োজন সমীচীন হবে না। জনভোটকে নির্বাচনের দিকে ফেরাতে এবং যার ভোট সে দেবে, যাকে খুশি তাকে দেবে; অধিকন্তু প্রদত্ত ভোটের প্রতিফলন ঘটবে- এটুকু নিশ্চিত না করে নির্বাচনের আয়োজন জনতা প্রত্যাখ্যান করবে বলে মনে হয়। আগস্ট-অভ্যুত্থানে পুলিশও জনরোষে পড়েছে। কিন্তু একটি অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে এবং স্বল্প সময়ে পুলিশ ও জনপ্রশাসনের সংস্কারের সুপারিশ প্রণয়ন সম্ভব হলেও বাস্তবায়ন সম্ভব হবে কি? একই প্রশ্ন করা যাবে বিচার বিভাগের সংস্কার-সুপারিশ বাস্তবায়ন নিয়েও। দুর্নীতি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে। পতিত স্বৈরাচার সরকার কাজটি বেশ সফলতার সাথে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছিল।

দেশের প্রচলিত আইনে দুর্নীতির হ্রাস করা সম্ভব। দরকার সরকারের সদিচ্ছা। এখন দুর্নীতি সংস্কার কমিশন ঠিক কী করতে চাইছে, বোঝার আছে। মানুষের প্রত্যাশা এবং আগস্ট-অভ্যুত্থানের দাবি, দুর্নীতির মুখোশ উন্মোচন করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা এবং বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা। একই সাথে অর্থনীতিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা। এ কমিশন বরং বিগত ১৫ বছরের দুর্নীতির একটি বিস্তারিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন করে দিতে পারে; যাতে দুর্নীতিবাজদের বিচারের সম্মুখীন করা সহজ হয়। দাবি আছে, জুলাই-আগস্টের হত্যার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করা।

ছয়টি সংস্কার কমিশনকে ডিসেম্বর অবধি সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। সব ক’টি কমিশন এ সময়ের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দেবে কি না বলা মুশকিল। না দিতে পারলে সময় বাড়বে। এরপর কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের পালা। সহজে অনুমেয়, একেকটি কমিশনের অনেক সুপারিশ থাকবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সবটা কি বাস্তবায়নের পথে হাঁটবে, নাকি একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরে যতটুকু দরকার, ঠিক ততটুকু বাস্তবায়ন করবে; এ প্রশ্নের ওপরও সরকারের মেয়াদ নির্ভর করবে। সব সুপারিশ বাস্তবায়নের ম্যান্ডেট কি এ সরকারের আছে অথবা প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল তখন কী করবে; এ দু’খান প্রশ্নের ওপরও সরকারের মেয়াদ আর পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় নিয়ামকের ভূমিকা নেবে।

কথা উঠেছে নতুন দল গঠন নিয়ে। শূন্যতা থাকলে নতুন দল হতে পারে। কারোর ‘হ্যাডম’ থাকলে নতুন দল নিয়ে বাজারে আসবেন; গণতন্ত্রে বাধা নেই তাতে। নতুন দল কতটা কী করতে পারবে, তা সাধারণ মানুষের আপাতত বিবেচনার বিষয় নয়। বস্তুত একটি দলের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া অথবা আরেকটি দলকে জনপরিসর কিংবা ভোটের ময়দান থেকে হাওয়া করে দেয়া অথবা নতুন কোনো দলের গঠনকে সহায়তা দেয়া অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বের সাথে যায় না।
সাধারণ মানুষ নির্বাচন নিয়ে মুখিয়ে নেই, সত্য বটে। আরো সত্য হলো, ২০০৭ সালের সরকার ছাড়া একাধিক অস্থায়ী-অন্তর্বর্তী-কেয়ারটেকার সরকার কিন্তু শুধু নির্বাচন করতে ক্ষমতায় বসেছিল। এবারের সরকার সবটি থেকে ভিন্নতর। ১৫ বছরের জঞ্জাল কিছুটা না সরিয়ে এ সরকার যাবে কোথায়? তাই বলে ১৫ বছরের সব অনিয়ম-অনাচার মেরামত করার দায়িত্ব একটি অনির্বাচিত সরকারের এজেন্ডা হতে পারে না; সে সময়ই-বা কোথায়! নানা পক্ষের হরেক প্রস্থ দাবির সবটা কি হরেদরে এ সরকার বাস্তবায়ন করতে পারবে?

মানুষ নির্বাচনের জন্য উদগ্রীব নয়- এ কথা ঠিক। কিন্তু অসন্তোষ-অস্থিরতা কাটছে না। পুলিশ ঠিকঠাক কাজ করছে না; অস্থির জনপ্রশাসন। সেনাবাহিনী এখনো মাঠে (সিভিল সরকারের সাথে এটি সঙ্গতিপূর্ণ নয়)। শিক্ষাঙ্গন এখনো কোলাহলমুখরিত না। দখল-চাঁদাবাজি আছে। ঘটছে পিটিয়ে মারার ঘটনা। যুক্ত হয়েছে পাহাড়ের অস্থিরতা। দ্রব্যমূল্যের লালঘোড়া ছুটছে; কমছে ক্রয়ক্ষমতা। থেমে নেই দুর্নীতি। চলছে তীব্র লোডশেডিং। কোথাও আবার শ্রমিক অসন্তোষ। নানা পক্ষের দাবিও আছে। বেকারদের কর্মসংস্থানের দাবি জারি আছে। সময় বেশি নেয়া মানে আওয়ামী লীগের সংগঠিত হওয়া; এর বিরুদ্ধেও জনমত আছে। আবার জোরালো দাবি আছে জুলাই-আগস্টের শহীদদের হত্যার বিচার ত্বরান্বিতকরণ। আমজনতা এসব এজেন্ডায় সরকারের পদক্ষেপ কিভাবে আর কত দিন নেবে কিংবা কী প্রতিক্রিয়া দেখাবে; তার ওপর কি কিছু নির্ভর করছে না? বলছেন, সে কথা? জোর দিয়ে বলছেন তো! তবে নিশ্চিত করে কিছু বলার উপায় নেই; সময়ই সবটা বলবে।
লেখক : অতিরিক্ত সচিব (অব:) ও কথাসাহিত্যিক


আরো সংবাদ



premium cement

সকল