ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিরাত মাহফিল, বিতর্ক কেন
- ড. ওমর ফারুক
- ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:১৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে গত ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় সিরাতুন্নবী সা: উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা ঠিক ছিল কি না তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন কেউ কেউ। পক্ষে-বিপক্ষে অনেকেই কথা বলেছেন এবং বলে যাচ্ছেন। কেউ মনে করছেন, এতে ইসলামপন্থীদের উত্থান হচ্ছে। আবার কেউ বলার চেষ্টা করছেন এত তাড়াহুড়া কেন? ধীরগতিতে যেতে পারলে ভালো হতো। সব মতামতই যে সিরাত অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে তা নয়; অনেকেই অতীতের নানা ঘটনার কারণে সতর্কতা অবলম্বনের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেছেন। অনেকে হয়তো বিদ্বেষের কারণেও বলতে পারেন। সব সমালোচনাকেই আমরা স্বাগত জানাই। আমাকে আগে থেকে জানেন এবং আমার কর্মকাণ্ড বিষয়ে অবগত অনেকেই জানতে চেয়েছেন ব্যক্তিগতভাবে আমি এই অনুষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত কি না বা অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির সদস্য কি না। ফলে এ বিষয়ে সবাইকে জানানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।
বলা আবশ্যক এবারে টিএসসিতে সিরাত মাহফিল বাস্তবায়নের বিষয়টি আগাগোড়া ইতিবাচক পর্যায়েই ছিল। কেননা, ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা প্রধান অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পাশাপাশি, প্রো-উপাচার্য শিক্ষা ও প্রক্টর উপস্থিত থাকার সম্মতি দেন এবং তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ধরনের অনুষ্ঠানে তাদের উপস্থিত হওয়ার সৎ সাহস ও সদিচ্ছাকে আমি সাধুবাদ জানাই। এমনটিই হওয়া উচিত। আপনি নিজেকে মুসলিম দাবি করবেন, অথচ মুসলিমদের অনুষ্ঠানকে অবজ্ঞা করে দূরে ঠেলে দেবেন সেটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী সেখানে যোগ দিয়েছেন এবং সময়মতো উপস্থিত হন।
বর্তমান প্রশাসনের ইতিবাচক এ উদ্যোগ ভবিষ্যতে এ ধরনের অনুষ্ঠানে যারা আসবেন তাদের সবার মনের যাবতীয় হীনম্মন্যতা ও কপটতার অবসান ঘটাতে বিশেষ ভ‚মিকা পালন করবে।
আমরা জানি, বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ সা:-এর জীবন-কর্ম আলোচনা করার নামই হচ্ছে সিরাত। অন্য কথায়, সিরাতুন্নবী বলতে হজরত মুহাম্মদ সা:-এর জীবনাচরণ ও কর্মপদ্ধতির সমষ্টিকেই বুঝায়। আর মুসলিম সম্প্রদায়ের ঈমানদার ব্যক্তিরা রাসূলে করিম সা:-এর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করবেন, এটিই স্বাভাবিক।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধর্মের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা রয়েছেন। এখানে শিখ ধর্মের ছাত্র-শিক্ষক তেমন না থাকলেও কলা ভবন ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির মাঝামাঝি গুরুদুয়ারায় প্রতি শুক্রবারে মাইক বাজিয়ে নিয়মিত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে কখনো কারো কোনো আপত্তি ছিল বলে আমার জানা নেই। বরং তাদের কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার জন্য বিশ্ব ধর্মতত্ত্ব বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রফেসর নুরুল ইসলাম অনেক সহযোগিতা ও ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।
জগন্নাথ হলে হিন্দু ধর্মের প্রতিটি উৎসব পালনের জন্য ঢাকঢোল পিটিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠান আয়োজন করতে গিয়ে শহীদ মিনার থেকে পলাশীর মোড় পর্যন্ত ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। অহিন্দু সব শিক্ষককে দুর্গাপূজার অনুষ্ঠানের দাওয়াতপত্র দেয়া হয়। ২০০৪ সাল থেকে নিয়মিত এ ধরনের একাধিক দাওয়াতে নিমন্ত্রণপত্র পেয়ে আসছি। ছাত্রজীবনে দু-একবার হিন্দুদের পূজা দেখার জন্য জগন্নাথ হলে গিয়েছিলাম। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা, অসংখ্য শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী সেখানে আনন্দের সাথে সমবেত হন। যদিও মুসলমানদের জন্য এ ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের বিষয়ে মুসলিম বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা বেশ কিছু বিধি-বিধানের কথা বলে রেখেছেন। তবে অন্য ধর্মের ব্যক্তিদের তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের পূর্ণ স্বাধীনতার কথা ইসলাম ঘোষণা করেছে।
অতীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কর্মকর্তারা হিন্দু ভাইদের পূজা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বা আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে কোনো ধরনের আইনগত বাধার সম্মুখীন হননি। তাদেরকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নেতিবাচক বক্তব্য প্রচারিত হয়নি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চারণভ‚মি বাংলাদেশে হিন্দুদের পূজাতে মুসলমানদের গমন করাকে একটি স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে ধরা হয়। এ দেশে অতীতের প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রী হিন্দুদের পূজামণ্ডপে মুসলমানদের নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি মন্ত্র শিখিয়েছেন ও প্রচার করেছেন। মন্ত্রটি হচ্ছে- ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। তবে আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, এ মহামন্ত্রটি মুসলিমদের উৎসবে হিন্দুদের নিয়ে আসার জন্য সেকুলার রাষ্ট্র কর্তৃক কখনো প্রয়োগ করা হয়নি। ফলে হিন্দুরা ঈদের আনন্দ ও পিঠাপায়েস খাওয়া থেকে বঞ্চিত থেকে গেল। অবশ্য এ ব্যাপারে তাদেরও কোনো আক্ষেপ নেই। কিন্তু ধর্মভেদে বিশেষ করে ইসলামের ক্ষেত্রে এটি এক ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ। কেউ বা এটিকে ষড়যন্ত্রের অংশও বিবেচনা করেন।
অতীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মুসলিম নামধারী ঊর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তিরা সিরাত মাহফিল বা সিরাতুন্নবী অনুষ্ঠানের কথা শুনলেই কেমন যেন অন্যরকম অনুভূতির ভেতরে পড়ে যেতেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই, কয়েক বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিরাত স্টাডি সেন্টার’-এর ব্যানারে একটি সিরাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। ইসলামবিদ্বেষী কিছু শিক্ষকের সহায়তায় ‘মানবকণ্ঠ’ নামক একটি পত্রিকা ২৪ অক্টোবর ২০১২ সালে পরিকল্পিত মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক রিপোর্ট করে এ লেখকসহ সংশ্লিষ্টদেরকে হিজবুত তাহরীর আখ্যা দিয়ে প্রশাসনের তোপের মুখে ঠেলে দিয়েছিল। ডিবি ও ডিজিএফআই থেকে ফোন করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদেরকে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেয়া হয়েছিল। সিরাতের অনুষ্ঠান আয়োজনের অপরাধে পরবর্তীতে একজন শিক্ষককে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করা হয়। রাজাকার শব্দ দিয়ে যেমন একটি প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা করা হতো, ঠিক একইভাবে সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও হিজবুত তাহরীর আখ্যা দিয়ে অনেককেই বিভিন্নভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সে সময় প্রশাসনের সম্ভাব্য অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘সিরাত স্টাডি সেন্টার’-এর সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা সংবাদ সম্মেলন করে নিজেরা যে হিজবুত তাহরীর নন, এ কথা প্রমাণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। এমনকি বেশ কিছু দিন তারা একটি ভীতির মধ্য দিয়ে সময় অতিবাহিত করেছেন। অবশ্য সে পত্রিকাটিকে বিভিন্নভাবে অনুরোধ করার পর তারা চার দিন পর প্রতিবাদলিপি ছাপিয়েছিল।
বর্তমান সিরাতের অনুষ্ঠানটি ছাত্র-জনতার আন্দোলন-উত্তর এক আবেগময় পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে অংশগ্রহণ করতে কারো পক্ষ থেকে কোনো বাধার সুযোগ নেই। অনেকে মনে মনে বিরোধিতা করলেও প্রকাশ্যে কিছুই বলবেন না। বরং যোগ দিতে পারলে নিজেকে কৃতার্থ মনে করবেন। তবে সিরাত মাহফিলকে কেন্দ্র করে এবং সিরাতুন্নবী উপলক্ষে গরু জবাই করে অনুষ্ঠান করা, টিএসসিতে কাওয়ালি গানের ব্যবস্থা করা, এসব কারণে প্রফেসর মুনতাসির মামুন, মেসবাহ কামাল ও জাফর ইকবাল প্রমুখের মতো ব্যক্তিদের অনেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে উচ্চতর মাদরাসা হিসেবে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করছেন।
তাদের এ ধরনের বক্তব্য ও মনোভাব একেবারেই সাম্প্রদায়িকতায় পরিপূর্ণ, একপেশে ও হীনমানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। হিন্দু সম্প্রদায়ের অসংখ্য অনুষ্ঠান ঢাকঢোল বাজিয়ে, রাস্তায় যানজট তৈরি করে পালন করলে এটিকে তারা উচ্চতর হিন্দু কলেজ হিসেবে দেখেন না কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের একেবারেই হৃৎপিণ্ডে অবস্থিত গুরুদুয়ারার প্রতি জুমাবারের মাইক বাজিয়ে অনুষ্ঠানকে তারা কোনোভাবেই ধর্মীয় প্রলেপ দেয়ার চেষ্টা করেন না। অথচ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠী, যাদের জন্য ব্রিটিশরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তাদের ধর্মীয় একটি অনুষ্ঠানকে তথাকথিত এসব মুসলিম নামধারী পণ্ডিতরা হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এরা বাহ্যিক মুসলিম হলেও মনে মনে কী ধারণা পোষণ করেন, তা তারাই ভালো বলতে পারবেন।
এরাই আবার ক্ষমতাসীনদের লাঠিয়াল বাহিনী ছাত্রলীগের খুন, ধর্ষণ, টেন্ডারবাজি ও ছিনতাই এবং চাঁদাবাজির কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সন্ত্রাসীদের কারখানা হিসেবে আখ্যায়িত করেন না। এসব দলকানা তথাকথিত পণ্ডিত সবসময় হালুয়া রুটির খোঁজে দ্বিচারিতায় অবতীর্ণ হন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নব্বই দশকের কবি ও দার্শনিক আল মাহমুদ। তিনি তার ‘কদর রাত্রির প্রার্থনা’ কবিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ডাকাতদের গ্রাম হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। তার লেখনীতে এ চিত্রটি বেশ স্পষ্ট :
‘এমনিতেই গ্রামে গ্রামে ধসেপড়া স্কুলবাড়িগুলোর ভেতর থেকে
শেয়াল আর পেঁচার ডাকে প্রাইমারি স্কুলের আবু মাস্টারের ঘুম নেই
তার ওপর তারই একমাত্র শহুরে পড়ুয়া মেয়েটির গলার চেন ও হাতের বালা জগন্নাথ হলের পাশের রাস্তা থেকে ছিনতাই হলো। বুকের ওপর ছুরি রেখে,
খুলে দে হারামজাদি, চুপ।
আমরা তো চুপ করেই আছি, তবু হে পরোয়ারদিগার
জানতে সাধ জাগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি ডাকাতদের গ্রাম?
বাল্যে যেমন কোনো গাঁয়ের পাশ দিয়ে নাও বেয়ে ফিরতে গেলে
মুরুব্বিরা বলতেন, ওপথে যেও না অমুকটা হলো ডাকাতের গ্রাম।’
না, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আর ডাকাতদের গ্রাম হিসেবে দেখতে চাই না। চাই না গণরুম, হল দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি এবং ক্যান্টিনে ফাও খাওয়ার দৃশ্য। দেখতে চাই না ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি স্যার এফ রহমান হলে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের সময় গুলিতে নিহত আমার প্রিয় শিক্ষার্থী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মেধাবী ছাত্র আবুবকরের হত্যার মতো আর কোনো ছাত্র হত্যার দৃশ্য। কিংবা তোফাজ্জলের মতো একজন অসুস্থ রোগীকে বর্বর পৈশাচিক কায়দায় হত্যার কোনো দৃশ্যপট।
এক সময় নামাজ আর ইসলামী বই পড়ার অপরাধে শিক্ষার্থীদের হত্যা, নির্যাতন ও থানায় সোপর্দ করার ঘটনা ছিল নিত্যদিনের সাধারণ ঘটনা। কী বীভৎস চিত্র একটি স্বাধীন দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের! স্বৈরাচারী একনায়তন্ত্রের বেড়াজালে নিষ্পেষিত জনতা ছিল অসহায় ও নির্বিকার। সিরাত মাহফিল আর আলোচনা সভা সেখানে অপরাধ হিসেবেই বিবেচিত হতো। এ ছিল গুরুতর অন্যায়, তদুপরি মানবাধিকারেরও লঙ্ঘন। স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করা, কথা বলা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার সংবিধানিক অধিকারকে জালিমরা বরাবরই ভূলুণ্ঠিত করার চেষ্টা করেছে।
এমতবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪ সালের সিরাত অনুষ্ঠানটি তাদের সেই অপচেষ্টাকে প্রতিহত করে বাক ও ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার একটি জ্বলন্ত দৃষ্টান্তও বটে। আমরা আশা করি, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিরাত স্টাডি সেন্টার’ নামে যে প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালে সিরাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল, সেই সেন্টারটিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমতি ও সুযোগ দেবে। উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আন্ডার গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম সেমিস্টারের প্রথম কোর্সটিই সিরাতুন্নবী তথা মহানবী সা:-এর জীবন ইতিহাস সম্পর্কিত। এ ছাড়া আরবি, ইসলামিক স্টাডিজ ও বিশ্বধর্মতত্ত¡ বিভাগসহ অনেক বিভাগের পাঠ্যসূচিতে সিরাত সম্পর্কিত আলোচনা রয়েছে। সুতরাং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো অনেক সেন্টারের মতো ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিরাত স্টাডি সেন্টার’ অতি দ্রুততম সময়ে আলোর মুখ দেখবে, সেই প্রত্যাশা ও দাবি রইল।
লেখক : অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
omorfaruq@du.ac.bd
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা