২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

লোহার খাঁচা থেকে রাজ সিংহাসন

লোহার খাঁচা থেকে রাজ সিংহাসন - সংগৃহীত

কিছু ক্ষণজন্মা ব্যক্তি তাদের নিজের মেধা, যোগ্যতা ও কর্মকুশলতার মাধ্যমে আজকের এই মানবসভ্যতা বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তারা শিক্ষা-সংস্কৃতি, আদর্শ, দর্শন, রাজনীতি, সুশাসন ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পৃথিবীকে মানবকল্যাণে সমৃদ্ধ ও গৌরবান্বিত করে ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করেছেন। তেমনি আবার কতিপয় ব্যক্তি পৃথিবীতে তাদের লোভ, আমিত্ব, অহঙ্কার, দাম্ভিকতা, গুম-খুন, অন্যায়-অত্যাচার, কুশাসন, যুদ্ধবিগ্রহ, দুর্নীতি, আণবিক-পারমাণবিক বোমার মতো মারণাস্ত্র তৈরি ও ব্যবহার করে ইতিহাসের খলনায়ক হয়েছেন। তাদের কুকর্ম-দুঃশাসন এবং নির্মমতার কারণে তারা পৃথিবীতে ঘৃণিত অভিশপ্ত হয়ে আছেন। তাদের ঔদ্ধত্য লালসা আর দাম্ভিকতায় অসংখ্য নগর-মহানগর, রাষ্ট্র ধ্বংস হয়েছে।

আমাদের দেশে ২০২৪ সালে গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে, যা আগস্ট অভ্যুত্থান নামে অভিহিত। ছাত্র-জনতার এই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বিগত ৫ আগস্ট সুদীর্ঘ ১৬ বছর ধরে জাতির কাঁধে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা এক দাম্ভিক একগুঁয়ে অহঙ্কারী স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতন ঘটেছে। বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত সুপরিচিত এবং জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে সমাদৃত শান্তিতে নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারপ্রধান হয়েছেন। ব্যক্তিজীবনে যিনি পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার নোবেল, আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল অ্যাওয়ার্ড ও কংগ্রেশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ইতিহাসে এই তিনটি পুরস্কার পেয়েছেন মাত্র ১২ জন।

এই নোবেল লরিয়েটকে নিয়ে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিগত কয়েক বছর ধরে রীতিমতো তোলপাড় চলছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংক, সামাজিক ব্যবসায় এবং থ্রি-জিরো ওয়ার্ল্ড কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে গোটা দুনিয়ায় ব্যাপক আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে, চলছে গবেষণা। তার থ্রি-জিরো ওয়ার্ল্ডের নতুন ধারণা ক্রমেই বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই থ্রি-জিরো ওয়ার্ল্ডের মাধ্যমে তিনি বিশ্ববাসীকে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করছেন, আগামী দিনের বিশ্বব্যবস্থাকে সব মানুষের কাছে নিরাপদ বাসযোগ্য করে তুলতে দারিদ্র্য হতে হবে শূন্যের কোঠায়, বেকারত্ব থাকতে হবে শূন্যের কোঠায়, আর গ্রিন হাউজ গ্যাসের নিঃসরণও হতে হবে শূন্য। তা ছাড়া দারিদ্র্য দূরীকরণে তিনি ক্ষুদ্রঋণের প্রবক্তা বা জনক হিসেবে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। এতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যক্রমে আপ্লুত। তিনি ইতোমধ্যে ১৪৫টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারের অধিকারী হয়েছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ৪৮ বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছে। বিশ্ববরেণ্য এই ব্যক্তিত্বের লেখা বই বিশ্বের ২৫টি দেশে অনূদিত হয়েছে। বিশ্বের ৩৩টি দেশের ১০৪টি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নামে অর্থাৎ ইউনূস সোস্যাল বিজনেস সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সর্বশেষ ২০২৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক খেলা অলিম্পিকে মূল থিম ছিল তার সোস্যাল বিজনেস থিউরির ওপর ভিত্তি করে পরিবেশিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উজ্জ্বল ভাবমর্যাদাসম্পন্ন শান্তিতে নোবেলবিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দু’টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতি ও অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। একটি তিনি বিগত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের রোষানলে নিপতিত হয়ে অত্যন্ত দুর্ভোগ-দুর্দশার শিকার হয়েছিলেন। অপরটি হচ্ছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ।

গত মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত এনবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) আমাকে খুবই ঘৃণা করেন। আমি জানি না কেন এমনটি হলো। এই বক্তব্যের বাস্তবতা পাওয়া যায় আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা এবং তার অনুগত দোসরদের কথায় ও আচরণে। তাদের বক্তব্য বিবৃতিতে প্রায়ই ইউনূসকে গরিবের রক্তচোষা সুদখোর হিসেবে আখ্যায়িত করতেন। পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধের জন্য ইউনূসকে দোষারোপ করে হাসিনা বলেছিলেন, তাকে পদ্মা নদীতে দু’টি চুবানি দিয়ে পদ্মা সেতুর ওপরে তোলা উচিত। তার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ১৬৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। দুর্নীতি দমন কমিশনকে লেলিয়ে দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আদালত ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

আদালত রায় ঘোষণার পর এর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, আমরা রায়ের জন্য অপেক্ষা করলাম, বন্ধু-বান্ধব মিলে সবাই একত্রে ছিলাম। যে রায় পেলাম, যে দোষ আমি করিনি, সেই দোষের ওপর শাস্তি দিলো। এটি আমাদের কপালে ছিল। জাতির কপালে ছিল।

গত ৩ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা এক মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গিয়ে ড. ইউনূস জজকোর্ট প্রাঙ্গণে বলেছিলেন, আজকের এ ছবিটা তুলে রাখুন, বটতলার এটি একটি ঐতিহাসিক ছবি হয়ে থাকবে। তিনি আরো বলেছিলেন, দুদকের বিচারের কাঠগড়ায় একজন নোবেলবিজয়ীকে দাঁড়াতে হলোÑ এটি রেকর্ডেড, এটি যুগ যুগ ধরে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবে।

পতিত স্বৈরাচারের সময় ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের এবং দায়েরকৃত মামলাগুলোর কার্যক্রম ও সক্রিয়তায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক মহল। বিশ্ব-সম্প্রদায়ের ধারাবাহিক উদ্বেগের একপর্যায়ে গত ২৮ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি দেন ১২৫ নোবেলবিজয়ীসহ ২৪২ বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব।

মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে নাজেহাল করলেও তিনি খুব বেশি ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি হাসিনার বিরুদ্ধে। মামলার হাজিরা দিতে গিয়ে একজন বয়স্ক মানুষ হলেও তাকে সাত-আট তলা পর্যন্ত সিঁড়ি বেয়ে আদালত কক্ষে প্রবেশ করতে হয়েছে। কিন্তু দেশের একজন আত্মমর্যাদাশীল সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে আদালতে মামলা চলাকালীন সময়ে আসামি হিসেবে লোহার খাঁচায় দাঁড়ানোর বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। এতে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। গত ১২ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন আদালতের এজলাসকক্ষে আসামিদের জন্য তৈরি করা লোহার খাঁচায় (আসামির কাঠগড়া) দাঁড়াতে হয়েছিল এই নোবেলবিজয়ীকে। মামলার কার্যক্রম শেষে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ‘আদালত চলাকালে একটি সভ্য দেশে কেন একজন নাগরিককে লোহার খাঁচায় (আসামির কাঠগড়া) দাঁড়িয়ে থাকতে হবে? যেখানে বিচারই শুরু হয়নি, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সুযোগও হয়নি, সেখানে নিরপরাধ নাগরিককে খাঁচার ভেতর থাকতে হবে কেন? লোহার খাঁচার তৈরি আসামির কাঠগড়া তো অপমানজনক। অপমান করার জন্য এটি করা হয়েছে। এটি তো আর সম্মান দেয়ার জন্য বানানো হয়নি। অপমানের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বানানো হয়েছে। আজ আমি অভিশপ্ত জীবনের শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছেছি। এই প্রথম আমাকে লোহার খাঁচায় দাঁড়াতে হলো।’

এই ‘অভিশপ্ত জীবনের’ ব্যাখ্যা দিয়ে ড. ইউনূস বলেছিলেন, ‘আমি বসে বসে চিন্তা করছিলাম, মহাকাব্যে কিছু দেব-দেবী থাকে। তারা অভিশাপ দেয়। যাদের অভিশাপ দেয়, তারা অভিশপ্ত জীবনযাপন করে। আমিও মনে হয়, কোনো মহাকাব্যের অংশ হয়ে গেছি। কোনো দেব-দেবী আমার ওপর অসন্তুষ্ট হয়েছে। তাদের অভিশাপের কারণে আজ আমি এখানে।’

আদালতে আসামিদের দাঁড়ানোর স্থানকে কাঠগড়া বলা হলেও বিগত পতিত স্বৈরাচারের সময় বিরোধী শক্তিকে মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি, অপমান-অপদস্থ করার জন্য কাঠগড়ার পরিবর্তে লোহার খাঁচার ব্যবস্থা করা হয়। লোহার খাঁচায় কোনো মানুষ থাকার কথা নয়, থাকে সাধারণত হিংস্র জন্তু-জানোয়ার। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, আওয়ামী লীগ সরকার প্রফেসর ইউনূসকে যেকোনো মূল্যে সাজা দিয়ে জেলহাজতে পাঠাতে সচেষ্ট ছিল। বিষয়টি তিনি হয়তো উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। ফলে তিনি বিবিসি বাংলার সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা রয়েছে, একটি মামলার সাজা হয়েছে। এর প্রভাব তার ব্যক্তিজীবনেও পড়ছে। ব্যক্তিগত জীবনে সবকিছু তছনছ হয়ে গেছে। আমার স্ত্রী একজন ডিমেনশিয়া রোগী। সে আমাকে ছাড়া কাউকেই চিনতে পারে না। তার দেখাশোনার দায়িত্ব সব আমার। এ অবস্থায় জেলে থাকতে হলে আমার স্ত্রীর কী অবস্থা দাঁড়াবে?

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, প্রফেসর ইউনূসকে মহান আল্লাহ পাক দয়া করে ফ্যাসিবাদের ভয়াবহ ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করেছেন। প্রফেসর ইউনূসকে বিধাতা লোহার খাঁচা থেকে তুলে সরাসরি রাজসিংহাসনে বসিয়ে দিয়েছেন। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের গতিপথ অনেকটা ত্বরিতগতিতে ইউটার্ন করেছে। যার রোষানলের কারণে জীবন তছনছ হয়ে গিয়েছিল তিনি পালিয়েছেন আর প্রফেসর ইউনূস সেই শূন্যস্থান পূরণ করেছেন। বিধাতার কী অভূতপূর্ব বিচার।
প্রফেসর ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অত্যন্ত জটিল ও কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করছেন। পতিত স্বৈরাচারের রেখে যাওয়া ১৬ বছরের জঞ্জাল পরিষ্কার করে দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। একই সাথে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির, ভঙ্গুর অর্থনীতি, সামাজিক সুরক্ষা, প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা,পতিত সরকারের দোসরদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হচ্ছে। ভারতে পালিয়ে গিয়ে শেখ হাসিনা বিভিন্ন উসকানিমূলক টেলিফোনে কল প্রচারের মধ্য দিয়ে পরিস্থিতিকে নাজুক করে তোলার চেষ্টা করছে। হিন্দুুত্ববাদী মোদি সরকার এবং ভারতের কতিপয় মিডিয়া বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কল্পকাহিনী সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এক ধরনের চাপে রাখার চেষ্টা করছে। যদিও আন্তর্জাতিক অঙ্গন বলতে গেলে গোটা পৃথিবী বাংলাদেশের তথা ড. ইউনূস সরকারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।

ব্যাংকিং সেক্টরে গতিশীলতা ফিরছে। গার্মেন্ট সেক্টরের সঙ্কটের সুরাহায় কাজ করা হচ্ছে। এই সরকারের সামনে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আগস্ট অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে ছাত্র-জনতার আকাক্সিক্ষত রাষ্ট্র সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কর্মযজ্ঞের মধ্যদিয়ে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান। সবকিছু মিলিয়ে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস জীবনের শেষ প্রান্তে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে অবস্থান করছেন। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের কল্যাণে দেব-দেবীর অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে অভিশপ্ত জীবনের গতিধারার পটপরিবর্তনের মাধ্যমে লোহার খাঁচা থেকে রাজসিংহাসনে পৌঁছে দিয়েছে, যা অনাদিকালে ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। একই সাথে জন-আকাক্সক্ষা পূরণ করে ফ্যাসিবাদের কবরের ওপর প্রফেসর ইউনূস যদি একটি গণতন্ত্রের পিরামিড তৈরি করতে সক্ষম হন তবে ইতিহাসে অমরত্বের দ্বারপ্রান্তে অনায়াসে পৌঁছে যাবেন। বাস্তবতা হচ্ছে, প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতার সুযোগ নেই। এই সরকার ব্যর্থ হলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নিহত এক হাজার ৪২৩ জন শহীদের রক্ত বৃথা হয়ে যাবে। ২২ সহস্রাধিক আহত ছাত্র-জনতার অন্তরে রক্তক্ষরণ হবে, যা আমাদের কখনো কাম্য নয়।
লেখক : আইনজীবী ও কলামিস্ট


আরো সংবাদ



premium cement
প্রধান উপদেষ্টার সfথে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চাটমোহরে গৃহবধূর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় জনতার হাতে এসআই আটক সাবেক আইনমন্ত্রী-সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল-তাপসসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘খালেদা জিয়া: এ বায়োগ্রাফি অব ডেমোক্রেসি’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন হিলি স্থলবন্দরে ভারত থেকে আবারো আলু আমদানি শুরু শেখ হাসিনাকে কি বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে ভারত? আরো ২ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো আনিসুল, সালমান, দীপু মনি ও পলককে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে কথিত জমাতুল আনসার সদস্যদের জামিন বাতিল তথ্য সংশোধন ও সংযোজনের জন্য বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের খসড়া তালিকা প্রকাশ এক দিনের ব্যবধানে আবারো বাড়ল স্বর্ণের দাম অন্তর্বর্তী সরকারের প্রয়োজনে সহায়তা দিতে প্রস্তুত জাপান : রাষ্ট্রদূত

সকল