২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

মনিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে হামলা-গুলি

-

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মনিপুরে নতুন করে হামলা ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যটির জিরিবাম জেলায় এই হামলা ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। অবশ্য নতুন করে হওয়া এই সহিংসতায় কারো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সন্দেহভাজন হামলাকারীরা মনিপুরের জিরিবাম জেলার মংবুং মেইতেই গ্রামে নতুন করে আক্রমণ চালিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হামলাকারীরা অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে এবং ওই এলাকার গ্রাম স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতিশোধ নেয়ার প্ররোচনা দেয়। তবে গুলি বিনিময়ের ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলেও জানিয়েছেন তারা। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং রাত ৮টার দিকে গুলিবর্ষণ বন্ধ হয়।’

অন্যদিকে দ্য হিন্দু বলছে, কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযান পরিচালনা করার সময় নিরাপত্তা বাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছে বলে অন্য একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। গ্রামবাসীদের উদ্ধৃতি দিয়ে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘গত কয়েক দিনে গ্রামবাসীরা মংবুং মেইতেই গ্রামের ওপরে একাধিক ড্রোন উড়তে দেখেছেন।’ পুলিশের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সোমবার ইম্ফল পূর্ব জেলার চানুং এবং সি জুলেন গ্রামে অনুসন্ধান অভিযানের সময় নিরাপত্তা বাহিনী স্থানীয়ভাবে তৈরি সিঙ্গেল ব্যারেল, এসএলআর ম্যাগাজিন এবং তাজা গোলাবারুদ জব্দ করেছে।’

উপত্যকায় বসবাসকারী মেইতি সম্প্রদায় এবং পার্বত্য অঞ্চলে আধিপত্যকারী কুকি উপজাতিদের মধ্যে উত্তেজনা গত কয়েক মাস ধরে বেড়েছে। যার ফলে তাদের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষও হয়েছে। গত ১৬ মাস ধরে চলমান এই সঙ্ঘাতের কারণে ২২০ জনেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছেন এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। এছাড়া চলতি মাসের শুরু থেকে নতুন করে ছড়িয়ে পড়া সঙ্ঘাতে রাজ্যটিতে অন্তত ১১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে মনিপুরে চলমান জাতিগত সঙ্ঘাত মোকাবেলায় দেশটির কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক বাহিনীর (সিআরপিএফ) সদস্যদের মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত।


আরো সংবাদ



premium cement