ঘূর্ণিঝড় গায়েমির আঘাতে ফিলিপাইনে প্রাণহানি ২০
- রয়টার্স
- ২৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
ঘূর্ণিঝড় গায়েমির আঘাতে রাজধানী ম্যানিলাসহ সমগ্র উত্তর ফিলিপাইনে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঝড়বৃষ্টি, বন্যা, ভূমিধস এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন তারা।
এ ছাড়া ঝড়ের কারণে বাড়িঘর ভেঙে নিরাশ্রয় হয়েছেন ছয় লাখেরও বেশি মানুষ। ম্যানিলার প্রধান বিমানবন্দর ১১৪টি ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে এবং বিভিন্ন বন্দরে আটকা পড়েছেন অন্তত ২৬০ জন যাত্রী। দেশটির সরকারি দুর্যোগ মোকাবেলা অফিস এসব তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার ফিলিপাইনের উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় গায়েমি। আছড়ে পড়ার কিছু সময় পর বাতাসের গতি কমে এলেও ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকে। ফলে রাজধানী ম্যানিলাসহ বিভিন্ন শহর ও গ্রামে বুধবার থেকেই শুরু হয় বন্যা।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জেআর বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রাজধানীসহ বন্যাকবলিত প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ত্রাণতৎপরতা শুরু করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্যায় আটকে পড়াদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার কাজও চলছে। বন্যায় বাড়িঘর ডুবে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি স্কুলঘর ও গির্জাতেও আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। লুজন দ্বীপের লেডিলিন বার্নাস তাদেরই একজন। বন্যায় আমার বাড়ির দোতলা পর্যন্ত ডুবে গেছে। সবকিছু নষ্ট হয়েছে, ভিজে গেছে... আমি কিছুই রক্ষা করতে পারিনি বলে রয়টার্সকে জানান বার্নাস।
ডুবে গেল দুই জাহাজ
শক্তিশালী টাইফুন গায়েমির আঘাতে একটি ট্যাংকার ও একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। তেলবাহী ট্যাংকার ডুবে যাওয়ায় সমুদ্রের পানিতে সেগুলো মিশে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ম্যানিলা উপসাগরে ডুবে যাওয়া ট্যাংকারটিতে ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন লিটার তেল ছিল। এমটি টেরা নামের ট্যাংকারটি ডুবে যাওয়ার সময় ইলিওলিতে যাচ্ছিল। এটিতে থাকা ১৭ জন ক্রুয়ের মধ্যে একজন নিখোঁজ রয়েছেন। ফিলিপাইনের কোস্টগার্ডের মুখপাত্র জানিয়েছেন ট্যাংকারের তেল সমুদ্রের পানি থেকে পড়া আটকাতে তারা ‘সময়ের সাথে লড়াই’ করছেন।
তাইওয়ানে নিহত ২
প্রবল শক্তিশালী টাইফুন গায়েমির আঘাতে তাইওয়ানে অন্তত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। দ্বীপটির আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় গায়েমি বুধবার স্থানীয় সময় রাতে পূর্বাঞ্চলীয় উপকূল দিয়ে স্থলে উঠে আসে। টাইফুনটির প্রভাবে দ্বীপটিতে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়। এজন্য সামরিক বাহিনীকে প্রস্তুত অবস্থায় রাখা হয়ে ।