০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

নেপালে বিমান বিধ্বস্ত নিহত ১৮

নেপালে বিধ্বস্ত বিমানকে ঘিরে সেনাবাহিনী ও উদ্ধারকর্মীদের তৎপরতা : ইন্টারনেট -

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সৌর্য এয়ারলাইন্সের ছোট একটি বিমান দুর্ঘটনায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তবে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা থেকে অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন বিমানটির পাইলট। গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে বিমানটি কাঠমান্ডুর বিমানবন্দর থেকে পোখরা নগরীর উদ্দেশে উড্ডয়নের সময় রানওয়েতে কাত হয়ে পড়ে আগুন ধরে যায়।
দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটিতে যতজন ছিলেন তাদের মধ্যে শুধু পাইলটই বেঁচে গেছেন; বাকিদের করুণ মৃত্যু হয়েছে। তিনি এখন একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বিমানটিতে ক্রু এবং টেকনিশিয়ানসহ মোট ১৯ আরোহী ছিল বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের নিরাপত্তা প্রধান অর্জুন চাঁদ। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে এক আরোহীর বেঁচে যাওয়ার খবর জানিয়েছে। এ বিষয়ে ত্রিভুবন বিমানবন্দরের মুখপাত্র তেজ বাহাদুর পৌদেল বলেছেন, ‘কেবল বিমানের ক্যাপ্টেনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
নেপাল পুলিশের প্রকাশিত ছবিতে বিমানবন্দরের রানওয়েতে জ্বলতে থাকা বিমান থেকে ঘন ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। দমকলকর্মীদেরকে আগুন নেভাতে দেখা গেছে টিভিতে। বিমানটি সামান্য একটু উড়েই রানওয়েতে কাত হয়ে পড়ে বিধ্বস্ত হতেও দেখা যায়।
ত্রিভুবন বিমানবন্দরেরর তথ্য কর্মকর্তা গনেন্দ্র বলেন, বিমানটি কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পোখরা যাওয়ার পথে ছিল। এই বিমান দুর্ঘটনা আরো একবার নেপালে আকাশপথে ভ্রমণের বিপদ নতুন করে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। পার্বত্যময় হওয়ার কারণে নেপাল বিমান চালনার জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
২০০০ সাল থেকে নেপালে বিমান কিংবা হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে প্রায় ৩৫০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
১৯৯২ সালে সবচেয়ে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেছিল কাঠমান্ডুগামী একটি পাকিস্তানি এয়ারলাইন্সের বিমানের। পাহাড়ে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণহানি হয়েছিল ১৬৭ জনের। আর সাম্প্রতিক সময়ে বড় ধরনের প্রাণঘাতী দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছর জানুয়ারিতে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজের। ওই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিল ৭২ জন।


আরো সংবাদ



premium cement