০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ২ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

আফ্রিকায় রাশিয়ার শস্য পাঠাতে চায় তুরস্ক

-

ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে পশ্চিমাদের অবরোধের মুখে পড়েছে রাশিয়া। আফ্রিকা অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ এই রাশিয়ার শস্যের ওপর নির্ভর করে থাকে। কিন্তু অবাধ যোগাযোগ থমকে যাওয়ায় শস্য আমদানিতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ছোট অর্থনীতির দেশগুলো। এমন পরিস্থিতিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান জানিয়েছেন, রাশিয়ার শস্য আফ্রিকা ও বিশ্বের অন্যান্য অংশে পাঠাতে চায় তার দেশ।
এ জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের কাছে একটি নতুন প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি। কাজাখস্তানের আস্তানায় সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনে পুতিনের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এরদোগান।
পরে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা খুব ভালো সূচনা করেছি। বিশেষ করে কৃষ্ণসাগর করিডোর দিয়ে শস্য সরবরাহে। আপনি জানেন, আমরা এই করিডোর দিয়ে ৩০ মিলিয়ন টন শস্য পরিবহন করেছি।’ ‘আমি পুতিনকে ইউরোপকে গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা না করে, তুরস্ক হয়ে একটি করিডোরের মাধ্যমে আফ্রিকায় শস্য পরিবহন করার প্রস্তাব দিয়েছে। একই সাথে খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সংবেদনশীলভাবে গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য দেশে শস্য সরবরাহের জন্য একটি নতুন প্রক্রিয়া চালু করার বিষয়ে তার মতামত জানতে চেয়েছি।’
২০২২ সালের জুলাইয়ে কৃষ্ণসাগরে ‘ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ’ নামে একটি নিরাপদ সামুদ্রিক মানবিক করিডোরের চুক্তি করে জাতিসঙ্ঘ, তুরস্ক ও রাশিয়া। উদ্যোগটি বাস্তবায়নের ফলে তিনটি ইউক্রেনীয় বন্দর থেকে শস্য এবং অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী ভর্তি এক হাজারটিরও বেশি জাহাজ ইউক্রেন ছেড়ে যায়। কিন্তু গত বছরের ১৭ জুলাই এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় রাশিয়া। এর ফলে খাদ্যসঙ্কটে পড়েছে বহু দেশ।


আরো সংবাদ



premium cement