নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করছে মিয়ানমার জান্তা
বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ- আল জাজিরা
- ০৩ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
মিয়ানমারজুড়ে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ও মানবশরীরের জন্য ক্ষতিকর অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ করেছে পিডিএফ, কাচিনসহ একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এই অস্ত্রগুলো রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষের শ্বাসযন্ত্রে আঘাত করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনার তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ এই অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে নেপালম, থার্মাইট বা সাদা ফসফরাস যা বাতাসের সংস্পর্শে এলে পুড়ে যায়।
কারেননি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্সের (কেএনডিএফ) ডেপুটি কমান্ডার ফো থাইকে মাউই। তিনি মাউ নামে পরিচিত। তিনি বলেছেন, এই রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত বোমাগুলো মাঝে মধ্যেই লক্ষ্যবস্তু বা ভবনে পড়ে না। যখন পোড়ানোর মতো কিছু পায় না, তখন এরা নিজেরাই পুড়ে ধোঁয়া তৈরি করে। আর এই ধোঁয়া অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি করে যা মানবশরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
ফ্রি বার্মা রেঞ্জার্স (এফবিআর) একটি অলাভজনক সংস্থা যা মিয়ানমারের ফ্রন্ট লাইনজুড়ে বেসামরিক নাগরিকদের চিকিৎসাসহায়তা প্রদান করে। এফবিআর জানিয়েছে, জান্তাবাহিনী যে অগ্নিসংযোগকারী অস্ত্র এবং অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করছে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সামরিক বাহিনী ছাড়াও রাষ্ট্রীয় প্রশাসন কাউন্সিল (এসএসি) বিষাক্ত টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে এফবিআর। সাধারণত ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য এই টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে তারা। এটি মানুষের শরীরে প্রবেশের সাথে সাথেই সে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। চলাচলের বা কর্মদক্ষতা হারায়।
এতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা, তা মূল্যায়ন করতে আরো তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের অস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে কি না, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেছে সংস্থাগুলো।
বন্যায় পানিবন্দী হাজারো মানুষ
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের কাচিন রাজ্যে বন্যায় হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িতে আটকা পড়েছে। এ ছাড়াও বিদ্যুৎ ও ফোন লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এদিকে রাজ্য আবহাওয়া অফিস আরো ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তা দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, উত্তর কাচিন রাজ্যের শহর মাইটকিনাতে কয়েক দিনের ভারী বর্ষণের পর আয়ারওয়াদি নদীর পানি ‘বিপদ সীমার’ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে অনেক ভবন প্লাবিত হতে এবং লোকজনকে তাদের জিনিসপত্র মাথায় করে নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। মাইটকিনারের একজন বাসিন্দা বলেছেন, ‘সেখানে বন্যার পানি খুব দ্রুত বাড়ছে। অনেক বাসিন্দা এখনো তাদের বাড়িতে আটকা পড়া অবস্থায় রয়েছে। বন্যার কারণে রোববার থেকে বিদ্যুৎ ও ফোন নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে গেছে। শহরে জ্বালানির ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং উদ্ধারকারীরা মোটর বোটে মানুষের কাছে পৌঁছাতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
মাইটকিনারের আরেক বাসিন্দা বলেন, তার বাড়ির নিচতলা পানিতে ডুবে গেছে এবং উদ্ধারকারী দল তাদের কাছে না পৌঁছানো পর্যন্ত তিনি প্রতিবেশীদের সাথে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বন্যার পানি কিছুটা কমতে দেখা গেছে। কিন্তু এখনো বৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, বন্যার পানি হাজার হাজার মানুষকে তাদের বাড়িতে আটকে রেখেছে এবং রাজ্য আবহাওয়া অফিস আগামী দিনে আরো ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তা দিয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা