ফ্রান্সের নির্বাচনে ইতিহাস গড়ার আশায় ডানপন্থীরা
- রয়টার্স
- ০১ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ করা হয়েছে গতকাল। গত কয়েক দশকের মধ্যে এবার প্রথমবারের মতো কট্টর ডানপন্থীরা ক্ষমতার খুব কাছে রয়েছে। দেশটির স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৬টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ছোট শহরগুলোতে ভোট গ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৪টায় এবং বড় শহরগুলোতে সন্ধ্যা ৬টায়।
প্রথমবারের মতো নির্বাচনপূর্ব সব জরিপে এগিয়ে ছিল ফ্রান্সের কট্টর ডানপন্থীরা। এবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ইতিহাস গড়ার আশা করছে তারা। বুথ ফেরত জরিপ বলছে, এবারের নির্বাচনে এগিয়ে আছে অভিবাসনবিরোধী ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমালোচনাকারী কট্টর ডানপন্থী নেতা মারিন লা পেনের এবং জগদান বাগদেলার দল ন্যাশনাল র্যালি (আরএন)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে প্রথম কোনো ডানপন্থী দল হিসেবে সম্ভবত ফ্রান্সের ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে তারা।
দুই পর্বের এ পার্লামেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোট গ্রহণ হবে ৭ জুলাই। ৫৭৭টি আসনের মধ্যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে কোনো দলকে অন্তত ২৮৯টি আসনে জিততে হবে। এবার আরএন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়ী হবে বলে বিশ্বাস জগদান বাগদেলার। এমন কিছু হলে তিনিই হবেন ফ্রান্সের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। তবে এমন কিছু হবে কি না তার জন্য পরবর্তী পর্বের ভোটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
জনমত জরিপ বলছে, আরএন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না, তারা মোট ভোটের ৩৩ থেকে ৩৬ শতাংশ পেতে পারে। আর নিউ পপুলার ফ্রন্ট ২৮ থেকে ২৯ শতাংশ, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থী দল পেতে পারে ২০ থেকে ২৩ শতাংশ ভোট। আগাম এই নির্বাচন নিয়ে ক্ষুব্ধ ম্যাক্রোঁর মিত্ররা। কারণ স্বাভাবিক নিয়মে ২০২৭ সালের আগে পার্লামেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল না; কিন্তু ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট নির্বাচনে ডানপন্থীদের অগ্রগতিতে শঙ্কিত হয়ে নিজেদের কর্তৃত্ব রক্ষা করতেই আগাম নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন ম্যাক্রোঁ। আগের নির্বাচনগুলোতে ফ্রান্সের ভোটাররা কট্টর ডানপন্থী দলগুলোকে সামনে আসতে দেয়নি। কিন্তু এবার জ্বালানির দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে ডানপন্থীদের দিকে ঝুঁঁকেছে দেশটির সাধারণ মানুষ। কারণ ডানপন্থীরা জ্বালানির ওপর ভ্যাট কমাতে এবং ৩০ বছরের কম বয়সীদের আয়কর থেকে মুক্তির আশ্বাস দিয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা