১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

দিল্লিতে রেকর্ড বৃষ্টিতে ১১ জনের মৃত্যু

-

বৃষ্টির মৌসুম শুরুর প্রথমেই রেকর্ড বৃষ্টিতে ভারতের রাজধানী অঞ্চল দিল্লির বহু নিচু এলাকা ডুবে গেছে ও অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নগরীটিতে আবারো ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। শুক্রবার দিল্লিতে রেকর্ড-ভাঙা বৃষ্টি হয়েছে। এ দিন নগরীটিতে ২২৮ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এটি ১৯৩৬ সালের পর থেকে জুন মাসের এক দিনে হওয়া সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।
এই বৃষ্টির ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই দিল্লিবাসীকে আবারো ভারী বৃষ্টির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর নগরীটিতে রোববার ও সোমবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়ে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করে। ভারতের আবহাওয়া দফতরের (আইএমডি) রঙভিত্তিক সতর্কতা পদ্ধতি অনুযায়ী অরেঞ্জ অ্যালার্ট লোকজনকে ভারী বৃষ্টির জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানায়। আইএমডির আবহাওয়া বিজ্ঞানী সোমা সেন দেশটির গণমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ু এগিয়ে আসছে, উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি অংশে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার সকাল থেকেই ভারতের টেলিভিশনে জলমগ্ন আন্ডারপাসগুলোতে যানবাহন আটকে থাকার ও ডুবে যাওয়া সড়কগুলো দিয়ে লোকজনের পানি ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু সময় গড়ানোর সাথে সাথেই বৃষ্টিজনিত কারণে ঘটা মৃত্যুর খবর আসা শুরু হয়। মৃতদের মধ্যে বেশ কিছু শিশুও রয়েছে, তারা পানিতে তলিয়ে যাওয়া বিভিন্ন গর্তে পড়ে ডুবে মারা গেছে।
নগরীর বসন্ত বিহার এলাকায় একটি দেয়াল ধসে তিনজনের মৃত্যু হয়। দিল্লি বিমানবন্দরের এক ছাউনির একটি অংশ ধসে যাত্রীর জন্য অপেক্ষারত এক ক্যাব-চালকের মৃত্যু হয়। জলাবদ্ধতার কারণে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক যানজট ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ আন্ডারপাস প্রগতি ময়দান টানেল প্লাবিত হওয়ার পর বন্ধ করে দেয়া হয়। শনিবারও এ আন্ডারপাসটি বন্ধ ছিল।
এমন পরিস্থিতিতে ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসে দিল্লির বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন বলে খবর বলা হয়েছে। নগর কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে ও আসন্ন বৃষ্টির জন্য সবধরনের প্রস্তুতি নেয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। বৃষ্টির মৌসুম শুরু হওয়ার আগে তাপদাহে দগ্ধ হচ্ছিল দিল্লি। একপর্যায়ে নগরীর তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছিল। এই তাপদাহে বহু মানুষের মৃত্যু হওয়ার পর শুক্রবার থেকে নগরীজুড়ে শুরু হয় প্রবল বর্ষণ, এতে তাপমাত্রা নেমে গরম থেকে স্বস্তি মিললেও অতিবৃষ্টিতে ফের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে ও জলাবদ্ধতায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাব চলাকালে দিল্লিতে গড়ে প্রায় ৬৫০ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টিপাত হয়; কিন্তু এবার প্রথম এক দিনেই এর এক-তৃতীয়াংশ বৃষ্টি হয়ে গেছে।


আরো সংবাদ



premium cement