ইউরোপে বৈষম্যের শিকার বাস্তুচ্যুতরা
- ইনফোমাইগ্রেন্টস
- ২৪ জুন ২০২৪, ০০:০৫
ইউরোপে সুরক্ষা খুঁজতে আসা বাস্তুচ্যুতরা কখনো কখনো তাদের জাতিগত পরিচয়ের কারণে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। ইউরোপের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা কাউন্সিল অব ইউরোপ এ কথা বলেছে। বাস্তুচ্যুত মানুষের প্রতি ‘বিদ্বেষপূর্ণ’ রাজনৈতিক বক্তব্য এবং ইহুদিবিরোধী ও মুসলিমবিরোধী কর্মকাণ্ডের উত্থানের বিষয়েও উদ্বিগ্ন কাউন্সিল অব ইউরোপ। গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বর্ণবাদ ও অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে কাউন্সিল অব ইউরোপ কমিশনের (ইসিআরআই) বার্ষিক রিপোর্টে এ কথা বলা হয়।
এতে বলা হয়েছে, ইউরোপে সুরক্ষা খুঁজতে আসা মানুষের জন্মস্থান, গায়ের রঙ এবং ধর্মের ভিত্তিতেই তাদের সাথে আচরণ করা হয়। এতে ‘ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা বাস্তুচ্যুত মানুষদের’ আশ্রয় দেয়ার প্রশংসনীয় প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানানো হয়েছে। কিন্তু ইউক্রেনীয়দের চেয়ে ‘আন্তর্জাতিক সুরক্ষা পাওয়া অন্যান্য দেশের মানুষের’ জন্য অভ্যর্থনা ব্যবস্থার মানের ক্ষেত্রে ‘দৃশ্যত পার্থক্য’ থাকায় এর সমালোচনা করেছে কাউন্সিল অব ইউরোপ। ‘ইউরোপের বাইরে থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য’ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু সদস্য রাষ্ট্রে আশ্রয় চাওয়ার সুযোগ খুবই সীমিত করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি। ইসিআরআই জানিয়েছে, ‘যুদ্ধ এবং অন্যান্য জরুরি অবস্থার কারণে বাস্তুচ্যুত সব মানুষকে দ্রুত সুরক্ষা দেয়া উচিত।’ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া আক্রমণ শুরু করার পর ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা তৃতীয় দেশের নাগরিকদের সাথে করা আচরণেরও সমালোচনা করেছে বিভিন্ন এনজিও এবং জাতিসঙ্ঘের সংস্থাগুলো।
রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করার কয়েকদিন পর অস্থায়ী সুরক্ষা নির্দেশিকা (টিপিডি) কার্যকর করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর মধ্য দিয়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে অস্থায়ী সুরক্ষার সুযোগ দেয়া হয়। টিপিডি কার্যকর করার কারণে লাখো ইউক্রেনীয় খুব দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা, কল্যাণ সুবিধা, আবাসন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন। এটি ইউক্রেনীয়দের স্থানীয় নাগরিকদের মতো প্রায় সমান অধিকার এবং সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু তৃতীয় দেশের নাগরিকরা, যারা ইউক্রেন থেকেও পালিয়ে এসেছেন, তাদের এই সুযোগ দেয়া হয়নি।
৫৪-পৃষ্ঠার ইসিআরআই রিপোর্টে আরো দেখা গেছে, কাউন্সিল অব ইউরোপের সদস্য রাষ্ট্রগুলোতেও ‘অভিবাসী-বিরোধী বিবৃতি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।’ আইসিআরআই জানিয়েছে, রাজনীতিবিদেরা যখন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে একটি প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করতে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য রাখেন, তখন নতুন আসা আশ্রয়প্রার্থীদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হয়।
রাজনীতি ও নির্বাচনে সুবিধা পেতেই এ ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেয়া হয় বলেও মনে করছে কাউন্সিল অব ইউরোপ। ইসিআরআই বলছে, বাস্তুচ্যুত ইউক্রেনীয়দের ক্ষেত্রে সংহতি এবং সমর্থনকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা