১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সুইজারল্যান্ডে ইউক্রেন শান্তি সম্মেলন শুরু

ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউক্রেন শান্তি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার উদ্দেশ্যে জুরিখে পৌঁছালে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ফেলিক্স বাউম্যান তাকে স্বাগত জানান : ইন্টারনেট -

সুইজারল্যান্ডের বার্গেনস্টকে গতকাল শনিবার শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ইউক্রেন শান্তি সম্মেলন। এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে পৌঁছেছেন বিশ্বের অন্তত ৯০টি দেশের রাষ্ট্র-সরকারপ্রধান ও প্রতিনিধিরা। শেষ পর্যন্ত সম্মেলনে যায়নি চীন। আর ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া রাশিয়াকে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
ইউক্রেনে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিনের নির্দেশে পূর্ণমাত্রায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার জন্য রাশিয়াকে চাপ দেওয়ার লক্ষ্যেই বিশ্ব নেতারা একটি শীর্ষ সম্মেলনে সুইজারল্যান্ডে জড়ো হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ সম্মেলনে না থাকতে পারলেও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। এছাড়া ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও জাপানের নেতারা এরইমধ্যে সুইজারল্যান্ডে পৌঁছেছেন। সম্মেলন স্থলে আগেই পৌঁছেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এ দিকে সম্মেলনে মস্কোর শক্তিশালী মিত্র চীনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও শেষপর্যন্ত দেশটি অনুপস্থিতই থাকছে। রাশিয়া এই শীর্ষ সম্মেলনকে আগেই ‘নিরর্থক’ বলে প্রত্যাখ্যান করায় অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করার পরও যাচ্ছে না চীন। তবে রাশিয়ার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ভারত, তুরস্ক ও হাঙ্গেরি এতে যোগ দিচ্ছে। আশা করা হয়েছিল, মিত্র চীনকে দিয়ে রাশিয়ার ওপর কিছুটা চাপ সৃষ্টি করা যাবে। তবে চীন না আসায় রাশিয়াকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করার পশ্চিমা আকাক্সক্ষা কিছুটা ম্লান হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের জাতিসঙ্ঘের পরিচালক রিচার্ড গোয়ান বলেন, সুইজারল্যান্ডের বৈঠকটি ইউক্রেনের কূটনীনৈতিক সীমাবদ্ধতার ঝুঁকি নিয়ে বসছে। তবুও ইউক্রেনের জন্য এটি বিশ্বকে মনে করিয়ে দেয়ার একটি সুযোগ যে তারা জাতিসঙ্ঘের সনদের নীতিগুলো রক্ষা করছে। এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন শুক্রবার বলেছেন, ইউক্রেন তার ন্যাটোর উচ্চাভিলাষ ত্যাগ করলে এবং মস্কোর দাবিকৃত চারটি প্রদেশের পুরোটাই হস্তান্তর করতে সম্মত হলে রাশিয়া এই যুদ্ধের অবসান ঘটাবে। যদিও পুতিনের দাবি মেনে নেওয়া দ্রুত আত্মসমর্পণের সমতুল্য বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন জেলেনস্কি।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল