১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে সংঘর্ষে উত্তাল আর্জেন্টিনার রাজধানী

-

আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ার মিলের অর্থনৈতিক সংস্কার প্যাকেজ সেনেটে অনুমোদিত হওয়া নিয়ে বিক্ষোভ সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজধানী বুয়েনস আয়ার্স। গত বুধবার সিনেটে ভোটাভুটির সময় কংগ্রেস ভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের সাথে দাঙ্গা পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়।
বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে পেট্রল বোমা ও পাথর ছুড়ে মারে এবং গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাদের অভিযোগ, সরকারের এই পদক্ষেপে লাখ লাখ আর্জেন্টাইন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এসব সংঘর্ষের ঘটনায় বহু মানুষ আহত হয়েছেন। স্থানীয় গণমাধ্যম ঘটনাস্থলকে ‘যুদ্ধক্ষেত্র’ বলে বর্ণনা করেছে। দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপ করে।
ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট মিলে দেশটির পিছিয়ে পড়া অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে যে সংস্কার প্রস্তাব করেছেন, তার মধ্যে রয়েছে, অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা, পেনশন কাঁটছাট এবং শ্রমিকদের অধিকার হ্রাস করা। আর্জেন্টিনার গভীর অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যেই ডানপন্থী অর্থনীতিবিদ মিলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছয় মাস পার করে ফেললেও অর্থনীতির পতন ঠেকাতে কোনো সফলতা দেখাতে পারেননি তিনি।
বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি এখন প্রায় ৩০০ শতাংশের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে। আর্জেন্টিনার অর্ধেকের বেশি মানুষ এখন দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছেন। মিলের এই ‘অপ্রত্যাশিত’ পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে দেশটির বামপন্থী রাজনৈতিক দল, শ্রমিক ইউনিয়ন এবং সামাজিক সংগঠনগুলো।
তার পরও বুধবার সিনেটে তার সংস্কার প্রস্তাব পাস হয়। ভোটাভুটিতে প্রথমে প্রস্তাবটির পক্ষে-বিপক্ষে সমান ৩৬-৩৬ ভোট পড়েছিল। তখন সেনেট চেম্বারের প্রধান ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্তোরিয়া ভিলারুয়েল প্রস্তাবের পক্ষে নিজের ভোটটি দিয়ে এ পরিস্থিতির অবসান ঘটান। অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে তিনি বলেন, ‘যে আর্জেন্টাইনরা ভুগছে, যারা অপেক্ষা করছেন, সন্তানরা দেশ ছেড়ে যাচ্ছে যারা এটি দেখতে চান না তাদের জন্য আমার ভোটটি ইতিবাচক।’
পূর্ণ অনুমোদনের আগে ৩২৮ অনুচ্ছেদের এ বিলটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নিরীক্ষা করা হবে। তারপর এটি চূড়ান্ত ভোটাভুটির জন্য কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে ফেরত যাবে। সিনেটে বিলটি পাস হওয়ার আগে বিক্ষোভকারীরা সেøাগান দেয়, ‘দেশ বিক্রির জন্য নয়, দেশকে আগলে রাখতে হয়।’ আরেকটি ব্যানারে লেখা ছিল : ‘কীভাবে একজন রাষ্ট্রপ্রধান রাষ্ট্রকে ঘৃণা করতে পারেন?’


আরো সংবাদ



premium cement

সকল