মরক্কোতে কোকাকোলা-পেপসি বয়কটের ডাক
- মরক্কো ওয়ার্ল্ড নিউজ
- ১২ জুন ২০২৪, ০০:০৫
টানা আট মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইল। প্রাণহানি হয়েছে ৩৭ হাজারেরও বেশি মানুষের। আর এই ইস্যুতে বিশ্বের অনেক দেশেই কোমলপানীয় ব্র্যান্ড কোকাকোলা বয়কটের ডাক দেয়া হচ্ছে। আর এবার সেই বয়কটের ডাক ছড়িয়ে পড়ল উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোতেও। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশটিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোকাকোলা ও পেপসি ব্র্যান্ডের কোমলপানীয় বয়কটের ডাক দেয়া হয়েছে।
পবিত্র ঈদুল আজহা এগিয়ে আসার সাথে সাথে মরক্কোর সোশ্যাল মিডিয়াতে কোকা-কোলা এবং পেপসি বয়কট করার ডাক উঠতে শুরু করেছে। গাজায় চলমান যুদ্ধে ইসরাইলের প্রতি এই কোম্পানিগুলোর কথিত সমর্থনের কথা উল্লেখ করে এই ডাক দেয়া হচ্ছে। সাধারণত ছুটির সময়কালে কোমলপানীয়ের ব্যবহার বেড়ে যায়। কিন্তু মরোক্কানদের এই আমেরিকান কোমল পানীয় জায়ান্ট থেকে দূরে থাকার জন্য মানুষকে অনুরোধ করছেন অ্যাক্টিভিস্টরা।
বয়কট কোকাকোলা হ্যাশট্যাগসহ সোশ্যাল মিডিয়াতে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন পোস্টে জোর দিয়ে বলা হচ্ছে, তাদের (কোকাকোলা) পণ্য ক্রয় করে গ্রাহকরা কার্যত ‘তাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের রক্ত পান করছেন।’ কেউ কেউ অবশ্য এসব কোমলপানীয়ের বদলে মরোক্কান পুদিনা চা ব্যবহারের জন্য যুক্তি দিচ্ছেন। তাদের দাবি, কোমল পানীয়ের বিকল্প হিসেবে এই চা ব্যবহার করা হলে তা হবে স্বাস্থ্যকর এবং একইসাথে এটি স্থানীয় অর্থনীতির জন্যও ভালো হবে। কেউ কেউ অবশ্য কোমলপানীয়ের পরিবর্তে প্রাকৃতিক জুস বা মরক্কোর তৈরি পানীয় বেছে নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
যাইহোক, কোকাকোলা এবং পেপসির স্থানীয় কর্মীদের ওপর এই ধরনের বয়কটের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। মরোক্কান নাগরিকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ কোমলপানীয় সেক্টরে কাজ করে এবং এই পানীয় বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেলে তাদের চাকরি হারাতে হতে পারে। বয়কটের এসব আহ্বান বৃহত্তর ‘বয়কট, ডাইভেস্টমেন্ট অ্যান্ড স্যাংকশনস (বিডিএস) আন্দোলনের’ অংশ যা অর্থনৈতিক পন্থায় ইসরাইলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চায়।
মরক্কো ওয়ার্ল্ড নিউজ বলছে, গাজায় ইসরাইলের চলমান আগ্রাসনের মধ্যে কোকাকোলাকে বিশেষ করে পশ্চিমতীরের অ্যাটারোটে একটি কারখানা পরিচালনার জন্য লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা