ইইউ নির্বাচনে গাজা যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে
- আলজাজিরা
- ০৮ জুন ২০২৪, ০০:২৬
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচন ঐতিহ্যগতভাবে জীবনযাত্রার খরচ, খামার নীতি, জলবায়ু পরিবর্তন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিবাসন নীতির মতো বিষয়গুলোতে ফোকাস করে। কিন্তু মহাদেশটি এই সপ্তাহের গুরুত্বপূর্ণ ভোটের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সাথে সাথে একটি নতুন বিষয় সামনে এসেছে তা হলো প্যালেস্টাইন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনীতিবিদদের গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ, অধিকৃত পশ্চিমতীরে সহিংসতা এবং ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ নিয়ে ২৭-দেশের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক বক্তৃতা ভোটারদের পছন্দের মূল বিষয় হয়ে উঠেছে।
স্লোভেন-ইতালীয় মারুস্কা এই বছরের ইইউ নির্বাচনে প্রথমবার মতো ভোট দেবেন। তিনি বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে, আমি এটিকে (ফিলিস্তিন ইস্যু) একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে মনে করি, যা ভোটারদের তাদের সমর্থনকারী দলগুলোর আসল রূপ দেখায়। আমি জার্মানি থেকে ভোট দেব। এখানে শুধু একটি দলই আছে যারা ফিলিস্তিন সম্পর্কে সোচ্চার, যার নাম ‘এমইআরএ-২৫’ বামপন্থী, প্যালেস্টাইনপন্থী ইউরোপীয় রাজনৈতিক দল।”
থমাস ম্যাডেন্স বেলজিয়াম ভিত্তিক একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং মানবাধিকারকর্মী। তিনি বলেন, প্যালেস্টাইন ঔপনিবেশিক ধারাবাহিকতার একটি বিষয়। ইউরোপের রাজনীতিবিদদের উচিত ইতিহাসের আলোকে আলোচনা করা। তিনি আলজাজিরাকে বলেন, আপনি যদি ফিলিস্তিনের ব্যাপারে ন্যায়বিচার করতে না পারেন, আমি আপনাকে ভোট দিতে যাচ্ছি না।
বৃহস্পতিবার থেকে রোববার অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে প্রায় ৩৭৩ মিলিয়ন মানুষ ভোটে অংশগ্রহণ করবে। তারা ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ৭২০ সদস্য নির্বাচন করবে। ইইউ নীতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি এই আইন প্রণেতারা ব্লকের শীর্ষ নেতাদেরও নির্বাচন করবে যেমন পররাষ্ট্রনীতি প্রধান এবং ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি।
মার্ক বোটেঙ্গা বেলজিয়ামের বামপন্থী ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য এবং একজন ইইউ আইনপ্রণেতা। আসন্ন নির্বাচনে তার আসন ধরে রাখার জন্য প্রচার অভিযান চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘প্রচারের জন্য সারা দেশে ভ্রমণ করার সময় আমি দেখেছি লোকেরা ক্রয়ক্ষমতা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অভিবাসনের মতো ক্ল্যাসিক নির্বাচনী বিষয় নিয়ে কথা বলছে। তবে এ বছর ফিলিস্তিন নিয়ে আলোচনা একটি কেন্দ্রীয় বিষয়।’
তিনি যোগ করেছেন, ‘আমি মনে করি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকরা দেখেছেন যে কিভাবে প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিবিদরা ইউক্রেন সম্পর্কে কথা বলতে পছন্দ করে। ইউক্রেনকে সমর্থন করার জন্য ইউরোপীয় জোটের সত্যিই কতটা প্রয়োজন, যুদ্ধ জয়ের জন্য তাদের অস্ত্র ও অর্থ দেয়া দরকার। কিন্তু এরাই আবার ফিলিস্তিনের ইস্যুতে ভণ্ডামি ও দ্বৈতনীতি অনুসরণ করছে। মানুষ এর অবসান চায়। সুতরাং রাজনীতিবিদরা কিভাবে ফিলিস্তিন ইস্যু দেখছে তা ইউরোপীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করবেই।’