বর্ণবাদ ও বৈষম্যের ফলে ফ্রান্স ছাড়ছেন মেধাবী মুসলিমরা
- এএফপি
- ২০ মে ২০২৪, ০০:০০
বিজনেস স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষে চাকরির জন্য প্রায় ৫০টি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ৩২ বছর বয়সী আদম; কিন্তু সফল না হওয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাই পাড়ি জমান তিনি। উত্তর আফ্রিকান বংশোদ্ভূত আদম এএফপিকে বলেছেন, ‘ফ্রান্সের চেয়ে এখানে অনেক ভালো লাগছে। এখানে সবাই সমান। আপনার বস ভারতীয়, আরব কিংবা একজন ফরাসিও হতে পারেন। আমার ধর্ম এখানে বেশি গ্রহণযোগ্য।’
গত মাসে প্রকাশিত ‘ফ্রান্স, ইউ লাভ ইট বাট ইউ লিভ ইট’ নামে একটি গবেষণা বলছে, উচ্চশিক্ষিত মুসলিম ফরাসি নাগরিকরা ফ্রান্স ছেড়ে দুবাই, লন্ডন, নিউ ইয়র্ক ও মন্ট্রিলের মতো শহরগুলোতে পাড়ি জমাচ্ছে। তবে সংখ্যাটি কত সেটি জানা কঠিন বলে গবেষকরা বলছেন। তারা অনলাইনে একটি জরিপের প্রশ্নমালা প্রকাশ করেছিলেন। প্রায় এক হাজার জন এতে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৭১ শতাংশ বলেছেন, তারা বর্ণবাদ ও বৈষম্যের জন্য ফ্রান্স ছেড়েছেন।
আদম এএফপিকে বলেন, ফ্রান্সে ‘আপনি নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যালঘু ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এলে আপনাকে দ্বিগুণ পরিশ্রম করতে হয়।’ তবে ফ্রান্সে লেখাপড়া করতে পারায় আদম ফ্রান্সের প্রতি ‘দারুণ কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করেছেন। বন্ধু, পরিবার, ফ্রান্সের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক জীবন মিস করার কথাও জানিয়েছেন। তারপরও ‘ইসলামোফোবিয়া’ ও ‘সিস্টেম্যাটিক রেসিজম’ (যেমন কারণ ছাড়াই পুলিশ আপনাকে দাঁড় করিয়ে দেয়) থেকে মুক্তি পাওয়ায় আদম খুশি বলে জানান।
অনেকদিন ধরেই ফ্রান্সে অভিবাসীরা থাকছেন। সাবেক উপনিবেশ উত্তর ও পশ্চিম আফ্রিকার মানুষজনও সেখানে বাস করেন। কিন্তু মুসলিম অভিবাসীদের উত্তরসূরিরা বলছেন, ফ্রান্স মুসলমানদের জন্য ক্রমে প্রতিকূল হয়ে উঠছে, বিশেষ করে ২০১৫ সালে ফ্রান্সে ইসলামিক স্টেটের হামলার পর। ওই হামলায় ১৩০ জন মারা যান। তারা বলছেন, ফ্রান্সে স্কুলে সব ধর্মের প্রতীক প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মুসলিম নারীদের ক্ষেত্রে বেশি প্রয়োগ করা হয়। মরোক্কান বংশোদ্ভূত ৩৩ বছয় বয়সী ফরাসি মুসলিম এএফপিকে বলেন, তিনি অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কোনো ‘শান্তিপূর্ণ সমাজে’ চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা