২৬ চীনা তুলা কোম্পানিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
উইঘুর গণহত্যা- আরটি
- ১৮ মে ২০২৪, ০০:০০
চীনের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর বেইজিংয়ের কথিত গণহত্যা এবং উইঘুরদের জোরপূর্বক শ্রমদানে বাধ্য করার অভিযোগ তুলে ২৬টি চীনা তুলা রফতানিকারী কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি) এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেজান্দ্রো মায়োরকাস গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নীতিগতভাবে গণহত্যাবিরোধী; আর আমাদের জাতির সরবরাহ চেইনে বাধ্যতামূলক শ্রমের মাধ্যতে তৈরি পণ্য প্রবেশ করবে- তা আমরা বরদাশত করব না।’
চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জিনজিয়াংয়ে বসবাসকারী সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর বেইজিং নির্মম অত্যাচার করছে বলে গত কয়েক বছর ধরে অভিযোগ করে আসছে ওয়াশিংটন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় এই ইস্যুতে ওয়াশিংটনের সাথে বেইজিংয়ের সম্পর্কে ব্যাপকমাত্রায় টানাপোড়েন চলেছে।
চীনের কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে উইঘুর গণহত্যা এবং সেখানকার কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে উইঘুরদের জোরপূর্বক শ্রমদানে বাধ্য করার অভিযোগ করে আসছে ওয়াশিংটন। তবে বেইজিং বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। কাপড়ের সুতা তৈরির উপযোগী তুলা উৎপাদনের জন্য জিনজিয়াং বিখ্যাত। যে ২৬ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে, সেগুলোর সবই জিনজিয়াংভিত্তিক। এগুলোর মধ্যে পাঁচটি জিনজিয়াং থেকে তুলা কেনা এবং বাকি ২১টি সেই তুলা যুক্তরাষ্ট্রের পাইকারি বাজারে রফতানি করে। বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে আলেজান্দ্রো মায়োরকাস জানিয়েছেন, উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট (ইউএফএলপিএ) নামের একটি মার্কিন আইনের ভিত্তিতে নেয়া হয়েছে এ পদক্ষেপ। এই আইনের আওতায় এর আগে ২০২১ সালে মার্কিন আমদানিকারকদের জিনজিয়াং থেকে তুলা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারির পর তাকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন পার্লামেন্টের কয়েকজন জনপ্রতিনিধি।