১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

পশ্চিমারা বৈশ্বিক সঙ্ঘাতের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে : পুতিন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়ের বার্ষিকীতে বক্তৃতা দিচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন : ইন্টারনেট -


পশ্চিমা দেশগুলোকে বৈশ্বিক সঙ্ঘাতের ঝুঁকি সৃষ্টির জন্য অভিযুক্ত করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, কাউকেই বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তিধর দেশকে হুমকি দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়ের বার্ষিকীতে তিনি এই সতর্কতা উচ্চারণ করেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার বৈশ্বিক সঙ্ঘাতের ঝুঁকি সৃষ্টির জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে অভিযুক্ত করেছেন এবং বলেছেন, কাউকে বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তিধর দেশকে হুমকি দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে না।
টানা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। রাশিয়ান সৈন্যরা ইউক্রেনের পশ্চিমা-সমর্থিত বাহিনীর বিরুদ্ধে সাফল্যের সাথে অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে প্রেসিডেন্ট পুতিন ‘অহঙ্কারী’ পশ্চিমা অভিজাত দেশগুলোকে নাৎসি জার্মানিকে পরাজিত করার ক্ষেত্রে সোভিয়েত ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ভুলে যাওয়ার এবং বিশ্বজুড়ে সঙ্ঘাত সৃষ্টি করার অভিযোগ এনেছেন।

পুতিন বৃহস্পতিবার মস্কোর রেড স্কোয়ারে বলেন, ‘আমরা জানি এই ধরনের উচ্চাকাক্সক্ষার অত্যধিকতা কোন দিকে নিয়ে যায়। রাশিয়া বিশ্বব্যাপী সংঘর্ষ প্রতিরোধে সবকিছু করবে। তবে একই সাথে, আমরা কাউকে আমাদের হুমকি দেয়ার সুযোগ দেবো না। আমাদের কৌশলগত বাহিনী সবসময় যুদ্ধের প্রস্তুতির অবস্থায় থাকে।’ ২০২২ সালে রুশ সেনাবাহিনীকে ইউক্রেনে পাঠিয়েছিলেন পুতিন। সেই থেকে এই যুদ্ধ এখনো চলছে। দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধকে তিনি পশ্চিমের সাথে (রাশিয়ার) লড়াইয়ের অংশ হিসেবে নিয়েছেন।

ইউক্রেন এবং পশ্চিমারা বলছে, পুতিন সাম্রাজ্যবাদী ধাঁচে ভূখণ্ড দখলের কাজে নিয়োজিত। তারা চলমান এই যুদ্ধে রাশিয়াকে পরাজিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও বর্তমানে ক্রাইমিয়া উপদ্বীপসহ ইউক্রেনের প্রায় ১৮ শতাংশ এবং পূর্ব ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করে রাশিয়া। রাশিয়া বলেছে, এসব ভূখণ্ড এক সময় রাশিয়ান সাম্রাজ্যের অংশ ছিল এবং এখন এগুলো আবারো রাশিয়ার অংশ।
উল্লেখ্য, সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ২৭ মিলিয়ন লোককে হারিয়েছিল। যার মধ্যে ইউক্রেনের লাখ লাখ মানুষও ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাৎসি বাহিনীকে বার্লিনে হটিয়ে দেয়া হয় এবং সেখানেই যেখানে হিটলার আত্মহত্যা করেছিলেন। এরপর ১৯৪৫ সালে রাইখস্ট্যাগের ওপরে লাল সোভিয়েত বিজয় ব্যানার উত্থাপিত হয়েছিল। এদিন পুতিন বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শিক্ষা ভুলে যেতে চাইবে। তবে নাৎসি জার্মানির পরাজয়ের সাথে জড়িত সব মিত্রদের সম্মান জানিয়েছে রাশিয়া। তিনি জাপানি সামরিকবাদের বিরুদ্ধে চীনা জনগণের লড়াইয়ের কথাও উল্লেখ করেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশে মুসলিম কৃষকের ধানে আগুনকে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বলে প্রচার শিক্ষানুরাগী এস এম খলিলুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ সিরিয়ার নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাষ্ট্র! ইতিহাসের প্রথম : ৪০০ বিলিয়ন ডলারের মালিক মাস্ক ২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ সৌদি আরবে সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর সচল ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম-হোয়াটসঅ্যাপ ভারতীয় মিডিয়াতে ইসকনের ওপর হামলার খবর ভুয়া : সিএ প্রেস উইং ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মির্জা ফখরুল টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা ঢাকা সফর নিয়ে ভারতের এমপিদের ব্রিফ করলেন বিক্রম মিশ্রি রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন দুর্নীতি তদন্তে অগ্রাধিকার পাবে

সকল