১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নাইজারে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ঘাঁটিতে রাশিয়ার সেনাদের প্রবেশ

-


আফ্রিকার দেশ নাইজারের একটি মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ঢুকে পড়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বলে জানিয়েছেন একজন সিনিয়র মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা। নাইজারের সেনা শাসকরা তাদের দেশ থেকে মার্কিন বাহিনীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের পর এ ঘটনা ঘটেছে। নাইজারে বর্তমানে শাসনকারী সামরিক কর্মকর্তারা মার্চ মাসে ওয়াশিংটনকে তাদের দেশে অবস্থানরত প্রায় এক হাজার মার্কিন সেনাসদস্যকে প্রত্যাহার করতে বলেছিলেন। ইতোমধ্যে নাইজারের নতুন জান্তা সরকার যুক্তরাষ্ট্রকে পাশ কাটিয়ে রাশিয়া ও ইরানের সাথে তাদের সম্পর্ক আরো গভীর করছে।
গত বছরের জুলাইয়ে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের আগে আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধে আফ্রিকার দেশটির গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যা বর্তমানে মারাত্মক সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রুশ সেনারা ওই বিমানঘাঁটিতে মার্কিন বাহিনীর সাথে একত্রে অবস্থান করছেন না। কারণ হিসেবে জানা গেছে, তারা নাইজারের রাজধানী নিয়ামীতে দিওরি হামানি আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের পাশে অবস্থিত এয়ারবেস ১০১ নামে পরিচিত সামরিক স্থাপনায় আলাদা হ্যাঙ্গার ব্যবহার করছেন। একই ঘাঁটিতে রুশ সামরিক কর্মীদের মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্র ও মস্কো বাহিনীকে এমন একসময়ে ঘনিষ্ঠ করে তোলে, যখন ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের পর কিয়েভের ঘনিষ্ঠমিত্র ওয়াশিংটনের সাথে মস্কোর সম্পর্ক প্রতিনিয়ত উত্তেজনাপূর্ণ ও সঙ্ঘাতপূর্ণ হয়ে পড়ে।

এর আগে নাইজারের সামরিক জান্তা সরকারের দাবিতে সাড়া দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সে দেশ থেকে তাদের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহারে সম্মত হয়। মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ট ক্যাম্পবেল গত মাসের শেষ দিকে নাইজারের প্রধানমন্ত্রী আলি লামিন জেইনের সাথে আলোচনার পর এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তবে কবে নাগাদ সেনা প্রত্যাহার করা হবে, সে বিষয়টি এখনো জানানো হয়নি।
আগামী দিনে প্রত্যাহারের সময়সীমা নিয়ে প্রতিরক্ষা বিভাগের সাথে আলোচনা হতে পারে। এরপর সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা নির্ধারণ করা হবে। নাইজারে এক হাজারের বেশি মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। নাইজার থেকে সেনা প্রত্যাহারে আফ্রিকায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতিতে গভীর প্রভাব ফেলবে। গত বছরের ২৬ জুলাই সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন দেশটির প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের সদস্যরা। অভ্যুত্থানের পর নাইজারের প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের প্রধান আবদোরাহমানে চিয়ানি নিজেকে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেন, যা যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে একটি অভ্যুত্থান হিসেবে দেখছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের বাবার কবরে অগ্নিসংযোগ মামলা শেষ হলে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান : মির্জা ফখরুল কালিয়াকৈরে ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা ৫ আগস্টের পর চাঁদাবাজি-ছিনতাইয়ে র‍্যাবের ১৬ সদস্য আটক : ডিজি মিয়ানমারে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর থেকে শত শত সৈন্যসহ জেনারেল আটক শনিবার থেকে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে’ পাওনা টাকা চাওয়ায় চা দোকানির হাত ঝলসে দেয়ার অভিযোগ হাসিনার বিবৃতিকে ভারত সমর্থন করে না : বিক্রম মিশ্রি ডুয়েটে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা অন্বেষণে সেমিনার ও প্রদর্শনী মেলা শুক্রবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

সকল