১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
ইসরাইলের হামলা

ইরানের বিমানঘাঁটিতে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র প্রকাশ

স্যাটেলাইটের ছবিতে ইস্পাহানে একটি এয়ারফিল্ডে আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থার কিছু ক্ষয়ক্ষতি দেখা গেছে
-

ইসরাইলের হামলায় ইরানের ইস্পাহান বিমানঘাঁটিতে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির কিছু চিত্র স্যাটেলাইট দিয়ে তোলা ছবিতে ধরা পড়েছে। রোববারের আগের ২৪ ঘণ্টায় ওই ছবিগুলো তোলা হয়। বিবিসি ভেরিফাই স্যাটেলাইট দিয়ে তোলা দু’টি ছবি বিশ্লেষণ করে দেখেছে, ইস্পাহানের একটি এয়ারফিল্ডে একটি আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থার কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত শুক্রবার ভোরে ইরানের আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থা ইস্পাহানের আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরাইল ইস্পাহানে ওই হামলা চালিয়েছে।
ইরান ড্রোন ধ্বংস করার কথা জানালেও বলেছে, বিদেশ থেকে ওই ড্রোন পাঠানো হয়নি। ইসরাইল ইরানে হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্যই করেনি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রাচ্যের দুই চিরশত্রু ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশেষ করে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের একটি কনস্যুলেটে ড্রোন হামলায় দুই শীর্ষ পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তাসহ ইরানের বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন।
যার প্রতিশোধ নিয়ে গত ১৩ এপ্রিল ইরান ইসরাইলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। যদিও ইরানের ছোড়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর ৯৯ শতাংশই ইসরাইলের আকাশে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়। ইরানের হামলার পর থেকেই ইসরাইল কিভাবে তার জবাব দেবে তা নিয়ে বিশ্বরাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সসহ পশ্চিমা মিত্ররা ইসরাইলকে এ ক্ষেত্রে সংযম প্রদর্শন করার আহ্বান জানায়। তার মধ্যেই শুক্রবার ভোরে হামলার খবর আসে। যে হামলার বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ দিকে ইরানে ড্রোন হামলার দায় ইসরাইল এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি। কিন্তু ইরানের নেতারা এই হামলার ঘটনাকে গুরুত্বহীন, ছোট এবং শিশুদের খেলাধুলার সাথে তুলনা করে রীতিমতো হাস্যরস করেছেন। এমনকি ইসরাইলের ড্রোনগুলো ‘শিশুদের খেলনার মতো’ বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গতকাল রোববার এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত শুক্রবার ইসরাইলের সন্দেহভাজন সীমিত সামরিক হামলাকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি দাবি করেছেন, এটি ‘কোনো হামলা ছিল না’ এবং ইসরাইলের এই হামলার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টিও স্বীকার করতে অস্বীকার করেছেন তিনি। হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে বলেছেন, ‘এই হামলা এবং ইসরাইলের মধ্যে কোনো সংযোগ রয়েছে বলে আমাদের কাছে প্রমাণিত হয়নি। এগুলো ড্রোন নয়, এগুলো ছিল খেলনার মতো যা দিয়ে আমাদের শিশুরা খেলে।’
এ দিকে একজন ইসরাইলি কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের কেবল ইরানকে বোঝানোর উদ্দেশ্য ছিল- ইরানের অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার ক্ষমতা রয়েছে ইসরাইলের। মূলত গত শুক্রবার ইরানের অনেক ভেতরে একেবারে মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইস্পাহান শহরের কাছে একটি ইরানি বিমানবাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে এই হামলাটি চালাতে দেখা গেছে; কিন্তু ইসরাইলের সেই ড্রোন কোনো কৌশলগত স্থানে আঘাত করেনি বা বড় ধরনের ক্ষতি কোনো ক্ষতিও করেনি।


আরো সংবাদ



premium cement