১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো

-


ফিলিস্তিনকে জাতিসঙ্ঘের পূর্ণ সদস্য করার প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি দেশের মধ্যে ১২টি দেশের সমর্থন পাওয়া সত্ত্বেও জাতিসঙ্গোর পূর্ণ সদস্য হতে পারল না ফিলিস্তিন। ভোটে একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই ভেটো দেয়। ব্রিটেন ও সুইজারল্যান্ড ভোট দানে বিরত থাকে। আর যে ১২টি দেশ ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দিয়েছে তারা হলো স্লোভানিয়া, সিয়েরা লিওন, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, মোজাম্বিক, মাল্টা, জাপান, গায়ানা, ফ্রান্স, ইকুয়েডর, চীন ও আলজেরিয়া।

কোনো ভেটো না হলে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে ৯টি ভোট পেলেই সদস্যপদ পেয়ে যাওয়ার কথা। যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে চেষ্টা করেছিল, এই ৯ ভোট যাতে ফিলিস্তিন না পায়। কিন্তু তার চেয়ে বেশি পেয়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ প্রাথমিকভাবে ভোটাভুটির তারিখ শুক্রবার ধার্য করলেও পরে তা আগের দিন বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় হবে বলে জানান কুটনীতিকরা।
ফিলিস্তিনের সদস্যপ্রাপ্তির বিরুদ্ধে ভেটো দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র নিন্দা করেছে রাশিয়া। জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবানজিয়া বলেন, 'বিশ্ব সম্প্রদায়ের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ'ও ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে।

তিনি বলেন, ভেটো দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র জানাল, 'তারা ফিলিস্তিনিদের আসলে কী মনে করে। 'তিনি বলেন, ওয়াশিংটন আসলে মনে করে না যে ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব রাষ্ট্র থাকা উচিত। তারা কেবল ইসরাইলের স্বার্থই দেখে।
ভেটো ছাড়াই ফিলিস্তিনের জাতিসঙ্ঘ সদস্যপদ ঠেকানোর চেষ্টা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর জন্য ইউএনএসসির অন্য সদস্যদের ব্যবহার করতে চেয়েছিল দেশটি। বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইসরাইলের খবরে বলা হয়, এটি এমন এক পদক্ষেপ, যার মাধ্যমে কার্যকরভাবে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আসবে এবং বহুল প্রস্তাবিত দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়নের পথ উন্মোচিত হবে।
সেজন্য বাইডেন প্রসাশন আড়ালে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে জাতিসত্তা সদস্যপদ বাতিল করতে রাজি করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তিনি তাতে রাজি হননি। কারণ তিনি দীর্ঘ দিন ধরে বাইডেনকে বলছিলেন, যেন তিনি ইসরাইলকে চাপ দেন, জেরুসালেমে মার্কিন কন্স্যুলেট এবং ওয়াশিংটনে পিএলও কূটনৈতিক মিশন পুনরায় চালু করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেন। কিন্তু সে বিষয়ে বাইডেন থেকে ইতিবাচক কোনো সাড়া পাননি।
এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদের অন্য দেশগুলোকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের বিরোধিতা থেকে বিরত থাকতে বা বিরোধিতা করতে রাজি করার জন্য কাজ করেছে। যেন তাদের ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করতে বাধ্য হতে না হয়।


আরো সংবাদ



premium cement