সাগর ও আকাশপথে শেনজেন অঞ্চলে যুক্ত বুলগেরিয়া-রোমানিয়া
- এএফপি
- ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
শেনজেন অঞ্চলে আংশিক প্রবেশ ঘটল বুলগেরিয়া ও রোমানিয়ার। তবে কেবল সাগর ও আকাশপথেই বাকি শেনজেন দেশগুলোর সাথে আপাতত যুক্ত হতে পারছে তারা। অর্থাৎ, এই পথগুলোতে দেশ দু’টির নাগরিকেরা বিনা ভিসাতেই শেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগদানের এক দশকের বেশি সময় পর আজ রোববার আংশিকভাবে হলেও ইইউর অন্য সদস্যদের সাথে ভিসামুক্ত শেনজেন এলাকায় যুক্ত হলো বুলগেরিয়া ও সুইডেন। অর্থাৎ, এখন থেকে সমুদ্র বা আকাশপথে ভ্রমণের সময় ভিসা ছাড়াই এ দু’টি পূর্ব ইউরোপীয় দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি অংশগুলোর মধ্যে যাতায়াত করা সম্ভব হবে দর্শনার্থীদের পক্ষে।
অস্ট্রিয়ার ভেটোয় স্থল পথে এখনো শেনজেনে যুক্ত হতে পারেনি বুলগেরিয়া ও সুইডেন। কারণ হিসেবে বলা হয়, স্থলপথে এই দেশগুলো হয়ে সহজে ইউরোপীয় নন এমন অভিবাসীরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য দেশগুলোতে পৌঁছে যেতে পারবেন।
‘এটি দুই দেশের জন্যই একটি বড় সাফল্য।’ গত শনিবার বলেন, ইইউর প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন। তিনি আরো বলেন, ‘এটি এই এলাকার জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। অবাধ চলাচলের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম এলাকা এটি। আমরা সবাই মিলে আমাদের সব নাগরিকের জন্য একটি শক্তিশালী, আরো ঐক্যবদ্ধ ইউরোপ তৈরি করছি।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য ২৫টি দেশ এবং ইইউর বাইরের চার দেশ সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, আইসল্যান্ড এবং লিচেনস্টাইন শেনজেন অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। এ বছরের শেষ নাগাদ শেনজেনের পুরো সদস্য হওয়ার প্রত্যাশা করছে দেশ দু’টি। তারা ছাড়া ইইউভুক্ত অন্য সব দেশই শেনজেন অঞ্চলের পুরো সুবিধা ভোগ করে। এমনকি তাদের পরে ইইউর সদস্য হওয়া ক্রোয়েশিয়াও গত বছরের জানুয়ারি থেকে পুরোপুরিভাবে শেনজেন অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে।
রোমানিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাতালিন প্রেতোইও দেশটির সংবাদমাধ্যম নিউজ রোকে বলেন, একাধিক কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে স্থল সীমান্তে (শেনজেনে) যোগদানের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। রোমানিয়ার ট্রাকচালকেরা তাদের ইউরোপীয় প্রতিবেশীদের সাথে স্থল সীমান্তজুড়ে ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুবিধার জন্য দেশের সরকারকে চাপ দিচ্ছেন। কারণ তাঁদের এখন দীর্ঘ লাইনে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
রোমানিয়ার প্রধান রোড ট্রান্সপোর্ট ইউনিয়ন ইউএনটিআরআর জানিয়েছে, হাঙ্গেরি সীমান্তে গড়ে ১৬ ঘণ্টা দাঁড়াতে হয় গাড়িগুলোকে। ইউএনটিআরআর সেক্রেটারি জেনারেল রাদু দিনেস্কু বলেন, ‘সীমান্তে দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে প্রতি বছর সড়কপথ ব্যবহারকারীরা শত শত কোটি ইউরো হারাচ্ছে।’
বুলগেরিয়ান ব্যবসায়ীরাও তাদের হতাশা প্রকাশ করেছেন। বুলগেরিয়ান ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যাপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিএ) ভাসিল ভেলেভ বলেন, ‘বুলগেরিয়ান পণ্যের মাত্র ৩ শতাংশ আকাশ ও সমুদ্রপথে পরিবহন করা হয়, অন্য ৯৭ শতাংশ স্থলপথে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা