কঙ্গোতে অগ্ন্যুৎপাত, এলাকা ছাড়ছেন স্থানীয়রা
- রয়টার্স
- ২৪ মে ২০২১, ০১:৫০
আফ্রিকার মধ্যাঞ্চলীয় দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর নাইরাগঙ্গো আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে নেমে আসা লাভা পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান শহর গোমার বিমানবন্দরের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। শনিবার রাতে দেশটির সরকার ওই এলাকার সব বাসিন্দাকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ২০ লাখ মানুষের শহর গোমাতে কয়েক হাজার মানুষকে পায়ে হেঁটে শহর ছেড়ে চলে যেতে দেখা যায়, তাদের অনেকেই রুয়ান্ডার সীমানার দিকে যেতে দেখা গেছে।
রুয়ান্ডার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি কঙ্গোলিজ সীমান্ত পার হয়ে রুয়ান্ডায় প্রবেশ করেছে। রোয়ান্ডার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, কঙ্গো থেকে আসা মানুষদের জন্য তারা বিভিন্ন স্কুল ও ধর্মীয় উপাসনালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করবে। তাদের স্কুল ও উপাসনালয়গুলোতে রাখা হবে বলে রুয়ান্ডার রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে।
গোমাভিত্তিক আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ দারিয়ো টেডেস্কো জানান, প্রথমে লাভা পূর্বে রুয়ান্ডার দিকে প্রবাহিত হলেও আগ্নেয়গিরিটিতে নতুন ফাটল তৈরি হওয়ার পর প্রবাহ দক্ষিণে গোমার দিকে ঘুরে যায়। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘এবারের অগ্ন্যুৎপাতের ধরনও ২০০২ এর মতোই। আমরা ধারণা লাভা শহরের কেন্দ্রস্থলে দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে তার আগেই এটি থেমে যেতে পারে অথবা এগিয়ে যেতে পারে। ঠিক কী হবে তা আগে থেকে বলা মুশকিল।’
২০০২ সালে নাইরাগঙ্গোর শেষ অগ্ন্যুৎপাতে ২৫০ জন নিহত হয়েছিল এবং এক লাখ ২০ হাজার মানুষ গৃহহারা হয়। বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে সক্রিয় এই আগ্নেয়গিরিটিকে সবচেয়ে বিপজ্জনকগুলোর একটি বলেও বিবেচনা করা হয়। জাতিসঙ্ঘ জানিয়েছে, কঙ্গো থেকে তাদের সব বিমান পাশের দেশ উগান্ডায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। গোমার বেশির ভাগ এলাকা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা