লেবাননে নাসরুল্লাহর জানাজার আগে ইসরাইলের হামলা
- মেহের নিউজ
- ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর দাফন গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হওয়ার পর গতকাল তাকে জানাজা শেষে বৈরুতে দাফন করা হয়। হামাস নেতার দাফন শুধু একটি শোকসভা নয়, বরং এটি হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক শক্তির প্রদর্শনী হিসেবেও দেখা হচ্ছে, যা সংগঠনটির দুর্বল অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ দিকে নাসরুল্লাহর জানাজার আগে লেবাননের আনসার শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত মারাইস এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে এ হামলা চালানো হয়। দেশটির সরকারি জাতীয় সংবাদ সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। তবে, খবরে হতাহতের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য দেয়া হয়নি।
ইসরাইলের সামরিক অভিযানের প্রথম পর্যায়ে নাসরুল্লাহ গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর, বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে এক বাঙ্কারে বৈঠকরত অবস্থায় বিমান হামলায় প্রাণ হারান। নাসরুল্লাহ হিজবুল্লাহ সমর্থকদের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয়, দীর্ঘ সময় ধরে ইসরাইলের সাথে সংঘর্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সংগঠনটিকে একটি শক্তিশালী সামরিক শক্তিতে পরিণত করেছেন। তার নেতৃত্বে হিজবুল্লাহ আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে বিশাল প্রভাব বিস্তার করেছে এবং তিনি আধুনিক আরব ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেন।
নাসরুল্লাহর জানাজার প্রস্ততি চলাকালে লেবাননে হামলাটি চালানো হলো। হামলার কয়েক ঘণ্টা পর অনুষ্ঠিত হয় নাসরুল্লাহর জানাজা ও দাফন। এতে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। নাসরুল্লাহর জানাজায় যোগ দিতে ইরানের শীর্ষ কূটনীতিকরাও যোগ দিয়েছেন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি এবং ইরানি পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাকের গালিবাফ রোববার ভোরে নাসরুল্লাহর নামাজে জানাজায় যোগ দিতে বৈরুতে উপস্থিত হন।
আরাকচি ও গালিবাফ ছাড়াও আয়াতুল্লাহ খামেনির কার্যালয়, ইরানের বিচার বিভাগ, ইরানি সরকার ও সংসদের প্রতিনিধি ও দেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের একটি দল অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ইসরাইলের বিমান হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহর দীর্ঘকালীন নেতা হাসান নাসরুল্লাহ। তার মৃত্যুর পর, নাসরুল্লাহ প্রথমে তার পুত্র হাদির পাশে সমাহিত হন, যাকে ১৯৯৭ সালে হিজবুল্লাহর হয়ে লড়াই করার সময় হত্যা করা হয়েছিল। তার আনুষ্ঠানিক দাফন স্থগিত রাখা হয়েছিল যতক্ষণ না ইসরাইল দক্ষিণ লেবানন থেকে নিজেদের বাহিনী প্রত্যাহার শুরু করে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা