গাজা যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
কাতারের রাজধানী দোহায় গাজা যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের সাথে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। হামাসের অন্যতম মুখপাত্র আবদুল লতিফ আল-কানু এ খবর জানিয়ে বলেছেন, দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হবে মূলত গাজাবাসীর জন্য আশ্রয়, ত্রাণসাহায্য ও পুনঃনির্মাণ প্রক্রিয়া নিয়ে। তেল আবিব যুদ্ধবিরতি চুক্তির মানবিক দিকগুলো বাস্তবায়নে গড়িমসি করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
কানু বলেন, গাজাবাসীর জন্য জরুরি ভিত্তিতে আশ্রয় ও মানবিক ত্রাণ পাঠানো দরকার, এতে বাধা দেয়ার কোনো অধিকার ইসরাইলের নেই। গাজা উপত্যকায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ৩৩ ইহুদিবাদী বন্দীর মুক্তির বিনিময়ে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তি পাওয়ার কথা। ছয় সপ্তাহব্যাপী এই ধাপের অর্ধেকের বেশি এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপ বাস্তবায়নের মাঝপথে দ্বিতীয় ধাপের বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা, যা মঙ্গলবার শুরু হয়েছে বলে খবর দিল হামাস।
দ্বিতীয় ধাপেও একইভাবে উভয়পক্ষ তাদের হাতে থাকা পরস্পরের বন্দীদের মুক্তি দেবে এবং এরমধ্যে তৃতীয় দফার আলোচনা শুরু হবে- যার মাধ্যমে ইসরাইলি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার ও গাজা যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি ঘটবে। তবে ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, চলমান যুদ্ধবিরতি একটি অস্থায়ী চুক্তি এবং এটির মেয়াদ শেষ হলে গাজায় আবার সামরিক আগ্রাসন চালানোর অধিকার তেল আবিবের আছে।
এক ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা
দক্ষিণ গাজা শহরের খান ইউনুসে ইসরাইলি সেনারা এক ফিলিস্তিনি শিশুকে গুলি করে হত্যা করেছে। ওয়াফা সংবাদ সংস্থার মতে, খান ইউনুসের পূর্ব অংশে ওই নাবালককে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। গাজায় যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরাইলি বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে কখনো কখনো মারাত্মক পরিণতি হয়েছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী এই সপ্তাহের শুরুতে গাজা উপকূলে একটি গাড়িতে বিমান হামলা চালিয়ে বলেছে যে, ওই রাস্তায় চলাচলের অনুমতি নেই। এদিকে ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স সোসাইটি (পিপিএস) এবং প্রিজনার্স অ্যাফেয়ার্স অথরিটি জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরজুড়ে ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত ভারী অভিযানের মধ্যে গতরাত থেকে একজন শিশু এবং সাবেক বন্দীসহ কমপক্ষে ৩০ জন ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
২০ লাশ উদ্ধার
এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরো ২০ ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৭ হাজার ৫৫০ জনে পৌঁছেছে। দীর্ঘ ১৫ মাসের বেশি সময় পর গত মাসেই ফিলিস্তিনের গাজায় কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি। তবে এরপর থেকেই সেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে একের পর এক উদ্ধার হচ্ছে নিহতদের লাশ। আর এতে করে বেড়েই চলেছে প্রাণহানির সংখ্যা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা