কঙ্গোতে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা বিদ্রোহীদের
- আলজাজিরা
- ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
মানবিক কারণে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআরসি) পূর্বাঞ্চলে তাদের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেবে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। রুয়ান্ডা-সমর্থিত বাহিনী ঘোষণা এম২৩ এ ঘোষণা দিয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার এএফসি/এম২৩ বিদ্রোহী জোট ঘোষণা করেছে, তারা মঙ্গলবার থেকে একতরফা যুদ্ধবিরতি শুরু করবে। প্রতিবেশী দেশ রুয়ান্ডার হাজার হাজার সেনা সমর্থিত এম২৩ গোষ্ঠীটি গত সপ্তাহে পূর্ব ডিআরসির প্রধান শহর গোমা দখল করে নেয়।
জাতিসঙ্ঘের অনুমান, রুয়ান্ডা সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩ গ্রুপের সাথে ডি আর কঙ্গোর সামরিক বাহিনীর লড়াইয়ে ৯০০ জন নিহত হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সোমবার জাতিসঙ্ঘ জানিয়েছে, গোমার রাস্তা থেকে কমপক্ষে ৯০০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি হতে পারে। মোট লাশের সংখ্যায় ইতোমধ্যেই মর্গে নেয়া লাশ এবং এখনো শহরে পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে প্রায় ২ হাজার ৯০০জন আহত ব্যক্তির কথা জানিয়েছে। যুদ্ধ থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্য একটি মানবিক করিডোর স্থাপনের আহ্বান ক্রমেই বাড়ছে। তবে ডিআরসি সরকারের পক্ষ থেকে এই ঘোষণার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি এবং দেশটির সামরিক বাহিনী যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে কি না তা স্পষ্ট নয়।
বিদ্রোহীরা এক্স-এ পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘অ্যালায়েন্স ফ্লুভ কঙ্গো (এএফসি/এম২৩) জনসাধারণকে জানাচ্ছে, কিনশাসার শাসকগোষ্ঠীর সৃষ্ট মানবিক সঙ্কটের প্রতিক্রিয়ায় তারা মানবিক কারণে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করছে।
দুই মিলিয়ন জনসংখ্যার শহর এবং বিশাল খনিজ সম্পদে ভরা গোমা দখল করার পর বিদ্রোহীরা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে পূর্ব ডিআরসির আরেকটি আঞ্চলিক কেন্দ্র বুকাভুর দিকে অগ্রসর হয়েছে। এর আগে তারা রাজধানী দখলের জন্য ডিআরসিজুড়ে ব্যাপক অভিযান চালানোর ঘোষণা করেছিল। তবে তারা বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে, প্রাদেশিক শহর আক্রমণ করবে না। এম২৩ মুখপাত্র লরেন্স কানিউকা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এটা স্পষ্ট করে দিতে হবে যে বুকাভু বা অন্যান্য এলাকা দখল করার আমাদের কোনো ইচ্ছা নেই। তবে আমরা বেসামরিক জনসংখ্যা এবং আমাদের অবস্থান রক্ষার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা