অবৈধ অভিবাসীদের গুয়ানতানামো পাঠাবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
- বিবিসি
- ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
গুয়ানতানামো বে কারাগারে যাতে হাজার ত্রিশেক অবৈধ অভিবাসীকে বন্দী রাখা যায়, সেজন্য সেখানে নতুন স্থাপনা নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, কিউবায় যুক্তরাষ্ট্রের নৌঘাঁটিতে যে হাই-সিকিউরিটি সামরিক কারাগার রয়েছে, নতুন বন্দিশালাটি সেটি থেকে পৃথক হবে। এই বন্দিশালায় স্থান হবে সেই সব ‘জঘন্যতম’ অবৈধ অভিবাসীদের, যারা আমেরিকার জনগণের জন্য হুমকির কারণ।
গুয়ানতানামো বে কারাগারে দীর্ঘ দিন ধরে অভিবাসীদের রাখা হচ্ছে, যা নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো সমালোচনা করে আসছে। ট্রাম্পের ‘বর্ডার সিজার’ টম হোম্যান বুধবার বলেছেন, সেখানে বর্তমানে যে স্থাপনা সুবিধা রয়েছে তা বর্ধিত করা হবে। আর তা পরিচালনা করবে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)।
তিনি বলেন, সাগরে মার্কিন কোস্টগার্ডের হাতে অভিবাসী ধরা পড়ার পর তাদের সরাসরি সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে এবং ওই বন্দিশালায় ‘সর্বোচ্চ’ মান নিশ্চিত করা হবে। বর্ধিত বন্দিশালা নির্মাণে কত খরচ হবে কিংবা কবে সেই কাজ শেষ হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। কিউবা সরকার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘দখল করা’ ভূমিতে অবৈধভাবে আটক রাখা ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছে। কথিত লেকেন রাইলি অ্যাক্টকে আইনে রূপান্তরের জন্য স্বাক্ষর করার সময় ট্রাম্পও ওই ঘোষণা দেন। ওই আইনে চুরি বা সহিংস অপরাধের জন্য গ্রেফতার অবৈধ অভিবাসীদের বিচারের জন্য কারাগারে রাখা বিধান রাখা হয়েছে।
গত বছর ভেনেজুয়েলার এক অভিবাসীর হাতে প্রাণ হারানো জর্জিয়ার এক নার্সের নামে ওই বিলটি করা হয়। গত সপ্তাহে বিলটি কংগ্রেসে পাস হয়, যেটিকে প্রশাসনের ‘প্রাথমিক আইনি বিজয়’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। হোয়াইট হাউজের ইস্ট রুমে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, গুয়ানতানামোর নতুন নির্বাহী আদেশে প্রতিরক্ষা ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগকে ৩০ হাজার শয্যার এ স্থাপনার ‘প্রস্তুতি শুরু করতে’ নির্দেশ দেয়া হবে। “তাদের (অভিবাসীদের) মধ্যে কিছু এতটাই খারাপ যে, তাদের ধরে রাখার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকেও বিশ্বাস করি না, কারণ আমরা চাই না তারা ফিরে আসুক। তাই আমরা তাদের গুয়ানতানামোতে পাঠাতে যাচ্ছি। সেখান থেকে বের হওয়া খুব কঠিন ব্যাপার।”
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা