লেবাননে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ইসরাইলের

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তানুযায়ী দক্ষিণ লেবানন থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময়সীমা পেরোনোর পরও সেখানে রয়ে যাওয়া ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে ২২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে লেবাননের কর্তৃপক্ষ। গত রোববার ভোররাতেই দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হয়ে যায়।
লেবানন যুদ্ধবিরতির শর্ত এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করেনি, এমন কথিত অভিযোগ করে নিজ সেনাদের দক্ষিণ লেবাননের রেখে দেয় ইসরাইল। সেখানে থাকা ইসরাইলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননের বাসিন্দাদের নিজেদের এলাকায় না ফেরার নির্দেশ দেয়। কিন্তু রোববার সকালে তাদের আদেশ উপেক্ষা করে দক্ষিণ লেবাননে ফিরতে শুরু করে স্থানীয় বাস্তুচ্যুত বেসামরিক লেবাননিরা, এদের লক্ষ্য করেই গুলিবর্ষণ করে ইসরাইলি বাহিনী।
ইসরাইলের দাবি, দক্ষিণ লেবাননকে হিজবুল্লাহর অস্ত্র মুক্ত করে সেখানে লেবাননের সেনাবাহিনী মোতায়েন করার কথা থাকলেও সেটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করেনি লেবানন সরকার। অপর দিকে ইসরাইল তাদের সেনা প্রত্যাহারে গড়িমসি করছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে লেবাননের যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত সামরিক বাহিনী। তারা জানায়, ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে তাদের এক সেনাও নিহত হয়েছে।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় বেসামরিক জনতার ওপর ইসরাইলি হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত ও ১২৪ জন আহত হয়েছেন। হামলার শিকার লোকজন তাদের এখনো অধিকৃত শহরগুলোতে ফেরার চেষ্টা করছিল। হিজবুল্লাহ-ইসরাইল সঙ্ঘাত গাজা যুদ্ধের সমান্তরালেই চলেছে।
হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধের এক পর্যায়ে দক্ষিণ লেবাননে স্থল অভিযান চালায় ইসরাইলি বাহিনী। স্থল ও আকাশপথে শুরু হওয়া তাদের তীব্র আক্রমণে লেবাননের ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। এ যুদ্ধে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে।
যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ল
এদিকে ইসরাইল ও লেবাননের প্রতিরোধ সংগঠন হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজ রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে এই সমঝোতা আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকবে।