তালেবান ক্ষমতায় আসার পর প্রথম কাবুল সফরে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- তাসনিম নিউজ
- ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি গতকাল রোববার কাবুলে পৌঁছেছেন, যা তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানে ইরানের কোনো উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তার প্রথম সফর। এক দিনের এই সফরটি দুই দেশের সম্পর্ক শক্তিশালী করতে পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি। আরাকচি তার সফরের প্রথম দিনেই আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সাথে বৈঠক করেন।
পরে তিনি আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক বিষয়ক উপপ্রধানমন্ত্রী আব্দুল গনি বরাদরের সাথে আলোচনা করার কথা রয়েছে বলে রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে। আলোচনায় সীমান্ত নিরাপত্তা, রাজনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করা এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইরান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের কিছু টানাপড়েন রয়েছে, বিশেষ করে পানি অধিকার এবং হেলমান্দ ও হারিরুদ নদীতে বাঁধ নির্মাণ নিয়ে।
ইরান আফগানিস্তানের সাথে ৯০০ কিলোমিটার (৫৬০ মাইল) সীমান্ত রয়েছে এবং এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম শরণার্থী সংগ্রহকারী দেশ, যেখানে দুই দশকের যুদ্ধের পর দেশ ত্যাগ করা আফগান শরণার্থীদের অধিকাংশ বসবাস করছে। ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করার পর, শরণার্থী প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। গত সেপ্টেম্বর মাসে ইরানের স্থানীয় মিডিয়া জানায়, আফগানিস্তানের সাথে পূর্ব সীমান্তে ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ দেয়াল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যা মূলত শরণার্থী প্রবাহের প্রবেশ পথ।
ইরানের কর্মকর্তারা তখন বলেছিলেন, সীমান্তকে আরো শক্তিশালী করতে কাঁটাতারের পাশাপাশি পানি দিয়ে ভর্তি করা গর্ত তৈরি করা হবে, যাতে জ্বালানি ও পণ্য চোরাচালান, বিশেষ করে মাদক বন্ধ করা যায় এবং অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধ করা যায়। ডিসেম্বর মাসে জাতিসঙ্ঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি বলেছিলেন, ৬ মিলিয়নেরও বেশি আফগান শরণার্থী ইরানে আশ্রয় নিয়েছে।
ইরান দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানে সক্রিয় কূটনৈতিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে, তবে তালেবান শাসন প্রতিষ্ঠার পরও সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে, আফগানিস্তানে ইরান সংসদীয় প্রতিনিধিদল একবার পানি ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করার জন্য সফর করেছিল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা