কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের সাথে সংঘর্ষে জাতিসঙ্ঘের ১৩ শান্তিরক্ষী নিহত
- বিবিসি
- ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে বিদ্রোহী এম টোয়েন্টিথ্রি গোষ্ঠীর সাথে সংঘর্ষে জাতিসঙ্ঘের ১৩ শান্তিরক্ষীর মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গোমা শহরে বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে গিয়ে তাদের নয় সেনা নিহত হয়েছে। এ সময়ে মালাবির তিন সেনা এবং উরুগুয়ের একজন মারা গেছে। সেখানে সহিংসতার অবসান ঘটাতে বৈশ্বিক আহ্বানের মধ্যে কঙ্গো ও রুয়ান্ডার নেতাদের সাথে কথা বলার কথা জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ।
সহিংসতা তীব্র হয়ে ওঠায় জাতিসঙ্ঘের তরফে অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের গোমা শহর থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। মধ্য আফ্রিকার দেশটির এই শহরে দশ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় প্রাণক্ষয়ী সঙ্ঘাত নিয়ে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের পূর্বনির্ধারিত সোমবারের বৈঠক একদিন এগিয়ে নেয়া হয়েছে। বিদ্রোহী এম টোয়েন্টিথ্রি গোষ্ঠী রক্তপাত এড়াতে কঙ্গোর সেনাদের গোমায় আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছে। অন্য দিকে বিদ্রোহের পেছনে মদদ দেয়ার অভিযোগ তুলে রুয়ান্ডার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে কঙ্গো।
বিবিসি লিখেছে, পরিস্থিতি দেখতে বের হওয়া কঙ্গো সামরিক বাহিনীর এক গভর্নর বৃহস্পতিবার এম টোয়েন্টিথ্রি যোদ্ধাদের হাতে নিহত হওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। জানুয়ারির শুরুতে তারা কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় শহর মিনোভা ও মাসিসির নিয়ন্ত্রণ নেয়। ফরাসি প্রেসিডেন্ট কার্যালয় জানিয়েছে, সঙ্ঘাতের অবসান ঘটাতে কঙ্গো ও রুয়ান্ডার নেতাদের সাথে আলাদাভাবে ফোনে কথা বলেছেন মাক্রোঁ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান কাজা কালাস এম টোয়েন্টিথ্রির অগ্রযাত্রা থামানোর আহ্বান জানিয়েছেন এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির প্রতি রুয়ান্ডার সমর্থনের নিন্দা জানিয়েছেন। শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন অ্যাঙ্গোলার প্রেসিডেন্ট জোআং লুরেসু, যিনি আফ্রিকান ইউনিয়নের রুয়ান্ডা ও কঙ্গোর মধ্যস্থাকারীর দায়িত্বে রয়েছেন।
এম টোয়েন্টিথ্রি ও এর সমর্থকদের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের’ নিন্দা জানিয়ে তিনি বেসামরিক মানুষের জীবন রক্ষার স্বার্থে অবিলম্বে লড়াই বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা