২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১, ২৫ রজব ১৪৪৬
`

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলের হামলা

-

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। শুক্রবার ইসরাইলি সেনারা লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে বিভিন্ন শহরে হামলা চালায়। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় দাবি করেছে, লেবাননের পক্ষ থেকে চুক্তির পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শুক্রবার ইসরাইলি সেনারা লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে বিভিন্ন শহরে হামলা চালিয়েছে। যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী রোববার সেনা প্রত্যাহারের আগে সীমান্ত অঞ্চলে ব্যাপক সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল।
লেবাননের জাতীয় সংবাদ সংস্থা (এনএনএ) জানায়, ইসরাইলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননের আইতারুন শহরে ঘরবাড়ি ধ্বংস করে, কান্তারা শহরের একটি মসজিদে আঘাত হানে এবং রাব থালাথিনে তীব্র বিস্ফোরণ ঘটায়। ইসরাইলি মিডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহুর সরকার যুদ্ধবিরতি চুক্তির সময়সীমা অতিক্রম করেও সেনা অবস্থান বজায় রাখার পরিকল্পনা করছে। এর পেছনে যুক্তি দেয়া হয়েছে, লেবাননের সেনাবাহিনী দক্ষিণে ধীরগতিতে মোতায়েন হওয়ায় হিজবুল্লাহ সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
নভেম্বরে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী, ইসরাইলি বাহিনী লেবানন ছাড়বে এবং হিজবুল্লাহ দক্ষিণ লেবানন থেকে সরে যাবে। চুক্তি বাস্তবায়নের সময়সীমা ছিল ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। হিব্রু সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেটের এক খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইল নতুন মার্কিন প্রশাসনের কাছে সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে। সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও ন্যাশনাল ইউনিটি পার্টির নেতা বেনি গান্তজ বলেন, হিজবুল্লাহর যেকোনো চুক্তি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে, তা ছোট হোক বা বড়, সামরিক অভিযান আরো তীব্র করা উচিত।
জাতিসঙ্ঘের এক সূত্র আলজাজিরাকে জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননের পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় অংশ থেকে সরে গেলেও পূর্বাঞ্চলে কিছু অবস্থান ধরে রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ দিকে দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলোতে ফিরে আসা বাসিন্দারা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এলাকা দেখে হতবাক হয়েছেন। লেবাননের সৈকতবর্তী নাকৌরা শহরে ফিরে না আসার জন্য সেখানকার বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে লেবাননের সেনাবাহিনী। ইসরাইলি বাহিনী প্রস্থানের সময় শহরটিতে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল